Tuesday, July 30, 2019

জন্ম শতবর্ষেও উপেক্ষিত অজিত কুমার বন্দোপাধ্যায়


সন্দীপ বাগ:- বনেদিয়ানা আর আভিজাত্যের মোড়কে ঘরোয়া আলোচনা আর সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হল অজিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম শতবর্ষের অনুষ্ঠান। মূলত পারিবারিক অনুষ্ঠান হলেও আগ্রহী সুধীজনের প্রবেশাধিকার ছিল। এই পরিবারের কেউই আর হাওড়ার বাসিন্দা নন। এই উপলক্ষ্যে এই দিন সন্ধ্যায় ওনারা হাওড়ায় পরস্পরের সঙ্গে পুর্নমিলিত হলেন।
অজিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহুমুখী প্রতিভা ও সামাজিক অবদান মনে রাখার মতো। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। পাশাপাশি ফুটবল খেলায়। ধানবাদ একাদশের রাইট উইঙ্গার ছিলেন। ওনার বড় দাদা ছিলেন একই দলের গোলকিপার। পরে ১৯৪০ সালে শীল্ড ফাইনালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে এরিয়ানের হয়ে হ্যাট্রিক করে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে শীল্ড জয়ী হন। সেদিন রাতে ওনার মা রাতের খাবার দেবার সময় মোহনবাগানকে এভাবে হারাবার জন্য ছেলের কাছে নিজের অত্যন্ত খারাপ লাগার কথা বলেছিলেন।
ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়াই করে হাইকোর্ট পাড়ায় ১০নং ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রীটে নিজের চার্টার্ড ফার্ম গড়ে তোলেন। বর্ণবিদ্বেষী ব্রিটিশদের শায়েস্তা করেছেন সুযোগ পেলেই।
সুপুরুষ চেহারা, পোষাক ও রুচিতে খাঁটি বাঙালী ছিলেন। খাদ্য রসিক ছিলেন। সামাজিক মান মর্যাদা বাড়ানোর জন্য গড়ে তোলেন হাওড়া রোটারী ক্লাব।

এই সময় হাওড়ার একমাত্র কলেজ ছিল নরসিংহ দত্ত কলেজ। এখানে বাণিজ্য শাখা ছিল না। উনি কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ জ্ঞান সেন মহাশয়কে বাণিজ্য শাখা চালু করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন।
জ্ঞান বাবু বলেন বিশ্বযুদ্ধ চলছে বলে বাণিজ্য শাখার সামান্য প্রয়োজন আছে। যুদ্ধ শেষে পঠনপাঠন হিসেবে এর আর কোনও গুরুত্ব থাকবে না। তখন উনি বিজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্য মহাশয়ের দ্বারস্থ হন। বিজয়বাবু ওনাকে ডাক্তার দীনবন্ধু মুখোপাধ্যায়ের কাছে নিয়ে যান। দীনবন্ধু বাবু বলেন অজিত বাবু দায়িত্ব নিলে তিনি জমি দিতে রাজী আছেন। এই ভাবে ১৯৪৮ সালে তৈরী হল হাওড়ার প্রথম কমার্স কলেজ শিবপুর দীনবন্ধু ইন্সটিটিউশন। অজিতবাবু কলকাতায় নিজের চার্টার্ড ফার্ম ছেড়ে দিনের বেলা আসতে পারবেন না। তাই নতুন ভাবে  তৈরী কলেজের কমার্স বিভাগের পঠনপাঠন শুরু হল সান্ধ্যকালীন সময়ে। নিজের পুত্রদের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হবার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হাওড়ার দীনবন্ধু কলেজে পড়িয়েছেন। আজকের দিনে যা চিন্তার অতীত। ভালো গান করতে পারতেন। রোটারী ক্লাবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত অভিনয় করতেন।
এদিনের অনুষ্ঠানের প্রত্যেড়ক বক্তার থেকেই বনেদিয়ানায় ঋদ্ধ হাওড়ার সেই সময়টাকে পাওয়া গেল। হাওড়াকে আধুনিক ভাবে গড়তে তাঁদের অবদানসমূহকে ছোঁয়ার চেষ্টা ছিল এদিনের অনুষ্ঠানের মূল ভাবনা।
মনোজ মিত্রের নাটক শোনা ছিল উপস্থিত দর্শক- শ্রোতাদের কাছে একটি দুর্লভ অভিজ্ঞতা। এদিন তিনি একটি পুরো নাটক পড়ে শোনান। নাটকের নাম - কাক চরিত্র।


সঙ্গীত পরিবেশনে ঋদ্ধি মিউজিক একাডেমী এবং কাব্যপাঠে সুবীর মিত্রের পরিবেশনা ছিল অসামান্য।
স্মৃতিকথনে ছিলেন সুমন চৌধুরী ও নীলাঞ্জনা রায়।

বর্ধমান স্টেশনের নাম পরিবর্তন হচ্ছে না, স্পষ্ট জানিয়ে দিল রেল



HOWRAH TIMES ডিজিটাল ডেস্ক:- বটুকেশ্বর দত্তের মৃত্যুদিনে পাটনার বাড়িতে তাঁকে সম্মান জানাতে এসে  কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিহারের বিজেপি নেতা নিত্যানন্দ রাই- ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বর্ধমান স্টেশনের নাম বদলের। বিপ্লবী বটুকেশ্বরের জন্ম বর্ধমানেই। কাজেই বর্ধমান স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হবে স্বাধীনতা সংগ্রামী বটুকেশ্বর দত্তের নামে।

এই মুহূর্তে বর্ধমান স্টেশনের নাম পরিবর্তনের যে  কোনও পরিকল্পনা নেই  একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিল ভারতীয় রেল। পূর্ব রেলের অধীনে থাকা বর্ধমান স্টেশনের নাম পরিবর্তনের খবর প্রকাশ্যে আসতেই  দীর্ঘ সমালোচনা ও বিতর্ক চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। যদিও মঙ্গলবার রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে বর্ধমান স্টেশনের নাম পরিবর্তনের কোনও প্রস্তাব এখনই তাঁদের কাছে নেই। 

Monday, July 29, 2019

ক্যাফে কফি ডে-র প্রতিষ্ঠাতা নিখোঁজ, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার আশঙ্কা


HOWRAH TIMESডিজিটাল ডেস্ক:- সবচেয়ে বড় কফি চেন ক্যাফে কফি ডে-র প্রতিষ্ঠাতা নিখোঁজ।  এশিয়ার সবচেয়ে বড় কফি এস্টেটের মালিক  ভি জি সিদ্ধার্থের গাড়ির ড্রাইভারের বয়ান‌ অনুযায়ী,  সোমবার সন্ধ্যায়  ম্যাঙ্গালোরের নেত্রাবতী নদীর ওপরে এক সেতুর ওপর দিয়ে গাড়িতে চড়ে যাচ্ছিলেন শিল্পপতি ভি জি সিদ্ধার্থ। তিনি সেতুর ওপরে ড্রাইভারকে গাড়ি দাঁড় করিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যান।   সেতুর ওপরে গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার পরে দীর্ঘক্ষণ তিনি না   ফেরায়    ড্রাইভার তাঁকে খুঁজতে যায়। তাঁর মোবাইল সুইচড অফ ছিল। ড্রাইভার তখন শিল্পপতির বাড়িতে খবর দেয়। বাড়ির লোকজন খবর দেয় পুলিশকে।



ভি জি সিদ্ধার্থ কর্ণাটকের বিজেপি নেতা এস এম কৃষ্ণের জামাই। শিল্পপতি নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনে কৃষ্ণর বাড়ির সামনে ভিড় জমতে থাকে। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, যেখান থেকে সিদ্ধার্থ নিখোঁজ হয়েছেন, সেই জায়গার নাম জেপ্পিনা মোগারু। যে সেতুর ওপরে তিনি গাড়ি থামিয়েছিলেন, তার নাম উল্লাল ব্রিজ।



ম্যাঙ্গালুরু সিটি পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমবার সেতু থেকে এক ব্যক্তিকে জলে ঝাঁপ দিতে দেখা গিয়েছে। তাই নেত্রাবতী নদীতেও তাঁর দেহের সন্ধান চালাচ্ছে ডুবুরিরা।


তাঁর সন্ধানে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ওই কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। উপকূল রক্ষীদেরও

Friday, July 26, 2019

ফুটবল সাইজের উল্কা আছড়ে পড়ল ধানক্ষেতে, তৈরি হল ৪ ফুট গভীর গর্ত



HOWRAH TIMESডিজিটাল ডেস্ক:- বিহারে একটি ধানের ক্ষেতে উল্কাপিন্ড আছড়ে পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। যে জায়গায় উল্কখন্ডটি পড়ে সেখানে  চার ফুট গভীর গর্ত হয়ে যায়। কিছুক্ষণের জন্য ধোঁয়ায় ভরে যায় চারদিক। বিহারের মধুবনীর এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।



 মধুবনীর জেলাশাসক শীরসত কপিল অশোক জানিয়েছেন ওই পাথরের খণ্ডটির ওজন প্রায় ১৫ কিলোগ্রাম। কারোর গায়ে পড়লে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত।

Thursday, July 25, 2019

অনুপম খুনে যাবজ্জীবন মনুয়া ও তার প্রেমিক অজিতের


HOWRAH TIMES ডিজিটাল ডেস্ক:-স্বামীকে খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হল মনুয়া মজুমদার ও তার প্রেমিক অজিত রায়কে। আজ বারাসতের ফাস্ট ট্র্যাক ফোর্থ কোর্টের বিচারক তাদের এই সাজা শোনান।

২০১৭ সালের ২ মে বেসরকারি সংস্থার কর্মী অনুপমকে তাঁর বাড়িতেই নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। তদন্তে নেমে প্রথমে অন্ধকারে থাকলেও  পুলিশ পরে নানা তথ্যের উপর ভিত্তি করে মনুয়া ও অজিত ওরফে বুবাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।   অনুপমের দেহ ছাড়াও বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার হয়। সেই সব প্রমাণের সঙ্গে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে খুনের ১৫ দিন পরে অজিত ও মনুয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জেরা করে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র, পোশাক উদ্ধার করে পুলিশ। সে সবই আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। অজিত যে খুনের সময়ে ঘটনাস্থলে ছিল, তা প্রমাণ করতে তার আঙুলের ছাপ ও ফরেন্সিক রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে  ৮৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ।


এদিন মামলার রায় শুনতে ভিড় ছিল আদালতে। অনুপমের মা, বাবা, আত্মীয়েরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বন্ধুরা।

এ দিন রায় ঘোষণার পরে কাঁদতে থাকেন অনুপমের মা কল্পনা সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘ছেলে-বৌমাকে আমরা খুবই ভালবাসতাম। বৌমা যে এমন করবে, ভাবতেও পারিনি।’’

অনুপমের বাবা জগদীশ বলেন, ‘‘আমি অসুস্থ অবস্থায় এসেছি। এই দু’বছর একফোঁটা ঘুমোতে পারিনি। ওদের ফাঁসির সাজা হলেই আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে।’

১০ ঘন্টা বন্ধ থাকবে সাঁতরাগাছি স্টেশন, বাতিল বহু দূরপাল্লার ট্রেন ও লোকাল



সাঁতরাগাছি স্টেশনে ফুট ওভারব্রিজ তৈরির কারনে‌ সাঁতরাগাছি স্টেশন ১০ ঘন্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দঃপূঃ রেল। আগামী রবিবার সকাল ১১-১৫ থেকে রাত ৯-১৫ পর্যন্ত এই স্টেশনে একই সাথে ট্র্যাফিক ও পাওয়ার ব্লক নেওয়া হবে। বাতিল করা হয়েছে ১৫ টি মেল- এক্সপ্রেস ট্রেন ও ৩০ টি ইএম ইউ লোকাল , ১১টি দূরপাল্লার ট্রেনের ছাড়ার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে।‌


পর্যটক টানতে কলকাতা ও হাওড়া থেকে বকখালি নয়া বাস পরিষেবা


HOWRAH TIMESডিজিটাল ডেস্ক:- ও হাওড়া থেকে বকখালি পর্যন্ত বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু হল। হাতানিয়া- দোয়ানিয়া  নদীর ওপর সেতু তৈরি হয়ে যাওয়ায় বকখালি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের  ভিড় ক্রমশই বাড়ছে। আপাতত দশটি বেসরকারি বাসকে ওই রুটে চলার পারমিট দিল জেলা পরিবহন দফতর। ভাড়া ধার্য হয়েছে ১০২ টাকা এবং হাওড়া থেকে বকখালি পর্যন্ত ১০৮ টাকা।

এদিকে এই রুটে বাস চালু হচ্ছে নামখানা- বকখালি রুটে যে কুড়িটি বাস চালু আছে তাদের রুজিরুটিতে টান পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম ভেঙে লুটের চেষ্টা আন্দুলের যুবকের ! গ্ৰেফতার অভিযুক্ত


HOWRAH TIMES ডিজিটাল ডেস্ক:- রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম ভেঙে লুটের চেষ্টার ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করল হাওড়া সিটি পুলিশ। ধৃতের নাম কমলাকান্ত জানা। তিনি একটি অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থার কর্মী।  বছর বত্রিশের ওই যুবকের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে।  তবে গত চার বছর ধরে তিনি হাওড়ার আন্দুল রোডের দ্যুইলায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশ জানায়, ওই যুবক প্রচুর ঋণ করে ফেলায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন। মূলত ঋণের টাকা মেটাতেই তিনি এটিএম লুট করার পরিকল্পনা করেন। বুধবার হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ (জোন-২) স্বাতী ভাঙালিয়া জানান, বেলেপোলের কাছে সম্পূর্ণ অরক্ষিত ওই এটিএমের সিসি ক্যামেরা খারাপ ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছিলেন কমলাকান্ত। ঘটনার রাতে তিনি দূরে স্কুটি রেখে দিয়ে মাথায় হেলমেট পরে এটিএমে ঢোকেন।  একটি লোহার রড দিয়ে এটিএম ভাঙার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। পরে স্কুটি চেপে পালিয়ে যান কমলাকান্ত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে ঐ যুবক পুলিশকে  জানিয়েছে,  প্রচুর ঋণ করে ফেলায়  মূলত ঋণের টাকা মেটাতেই তিনি এটিএম লুট করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
  প্রাথমিক‌ পর্বে   এটিএমের ক্যামেরা খারাপ থাকায়  দুষ্কৃতীর কোনও ছবি পাওয়া যায়নি। এটিএমের উল্টো দিকে থানার একটি ক্যামেরা ও বেলেপোল মোড়ে ট্র্যাফিক পুলিশের একটি ক্যামেরার ছবি দেখে শেষ পর্যন্ত অপরাধীকে চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধরা পড়ার পরে  অপরাধ স্বীকার করেছে‌ ঐ যুবক। 


তল্লাশি চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে একটি ইম্প্রোভাইজড ওয়ান শাটার ও ৮ এমএম তাজা গুলি উদ্ধার হয়। পাশাপাশি যে স্কুটিতে করে তিনি এটিএম চুরির চেষ্টা করেন সেটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর কাছ থেকে।

Wednesday, July 24, 2019

বাসের জানলায় কনুই বের করে রাখার ভুলে হাত খুইয়ে খেসারত দিতে হল‌ যাত্রীকে


বাসের জানালা  দিয়ে হাত বার করে রাখার চরম খেসারত দিতে হল এক যাত্রীকে।
 বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে টালিগঞ্জ করুণাময়ী কালি মন্দিরের সামনে। জখম ব্যক্তির নাম উৎপল কর্মকার। হরিদেবপুর থেকে ৪০ এ বাসে চেপে টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর দিকে যাচ্ছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের উৎপল বাবু। ঠিক টালিগঞ্জ-করুণাময়ী ক্রসিংয়ের কাছে একটি নির্মীয়মান পিলারের সাথে ঘষা খেয়ে এক ধাক্কায় কনুই থেকেই ছিটকে বেরিয়ে গিয়ে কাটা হাত গিয়ে পড়ে‌ পাশের নর্দমায়।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তি বর্তমানে এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে।


কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় ধৃত ২ ছাত্র


দুর্ঘটনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনতা। রাস্তার পাশে একটি নর্দমা ছিল। হাত খুলে ওই নর্দমায় গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর ওই জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, রক্তে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা-নর্দমা। রাস্তার গা ঘেঁষে দাড়িয়ে থাকা নির্মীয়মাণ বাড়ির ওই পিলার এরপর ভেঙে দিতে উদ্যত হয় ক্ষিপ্ত জনতা। শাবল, গাঁইতি দিয়ে পিলার ভাঙতে দেখা যায় স্থানীয়দের

দূর্ঘটনা সামলে কেমন আছে সাঁতরাগাছি ফুট ওভারব্রিজ ! ন'মাস পরেও ছবিটা কি বদলেছে?


রণতোষ মুখোপাধ্যায়:-  সকাল ৯টা বেজে ৫ মিনিট, সাঁতরাগাছি স্টেশনের ৪এবং ৫ নং প্ল্যাটফর্মে প্রায় একই সময়ে‌ ডাউন পাঁশকুড়া-সাঁতরাগাছি ও হলদিয়া-হাওড়া লোকাল ঢুকেছে। শালিমারগামী কোনও এক্সপ্রেস ‌‌‌‌‌‌ট্রেনের যাত্রী যাঁরা সাঁতরাগাছি থেকে বাস বা ট্যাক্সি ধরবেন তারা আসছেন ফুট ওভারব্রিজ ধরে ১ নং প্ল্যাটফর্মের দিকে।যাঁরা ট্রেন ধরবেন হাওড়ার দিকের তারা নামার চেষ্টা করছেন ৫বা ৬ নং প্ল্যাটফর্মে নামার সিঁড়ি দিয়ে। আর ডাউন হলদিয়া ও পাঁশকুড়া  এই দুই লোকালের বিপুল পরিমাণ যাত্রী ঐ একই সিঁড়ি দিয়ে ওভারব্রিজের উপরে ওঠার চেষ্টা করছেন। তারাও কলকাতা গামী বাস ধরবেন।ঐ ভিড়ে আবার মিশে‌ আছেন‌ স্টেশনের ১ নং প্ল্যাটফর্মের দিক থেকে আসা ডাউন‌ ট্রেন‌ ধরার নিত্যযাত্রীরাও। সব মিলিয়ে সাঁতরাগাছির ৫০ বছরের পুরানো এবং সঙ্কীর্ণ ওভারব্রিজে এটাই প্রতিদিনের চিত্র।

২০১৮, ২৩ অক্টোবরের অভিশপ্ত রাতের পরেও চিত্রটা খুব একটা বদলায়নি।গত ২৩ অক্টোবর'১৮ সন্ধ্যে ছ'টা নাগাদ ২টি দুরপাল্লার ট্রেন একসঙ্গে ঢুকে পড়ে সাঁতরাগাছি স্টেশনে। এরপরই ঘটে সেই ভঙ্ককর ঘটনা ৷ হুড়োহুড়িতে ওভারব্রিজে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ২ জনের ৷ আহতে হয়েছিলেন দুই  শিশু-সহ প্রায় ১৪ জন ৷ ৯ মাস আগের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল যে রেলের নিরাপত্তায় বিস্তর ফাঁক রয়েছে , প্রয়োজনীয়তা রয়েছে আরও সজাগ হওয়ার ৷


 সাঁতরাগাছি ওভারব্রিজে পদপিষ্টের ঘটনার পর তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ে। ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রায় ৩০ পাতার  রিপোর্ট দাখিল করেছিল। রিপোর্টে কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীদের গাফিলতির পাশাপাশি  দায়ী করা হয়  ঘোষণার গাফিলতিকে। স্টেশন ম্যানেজার, কমার্শিয়াল বিভাগের টিসি, টিটিআই, সিটিআইকেও সমানভাবে দায়ী করা হয়েছিল রিপোর্টে। রেল কর্মীদের কর্তব্যের গাফিলতিতেই ঘটনাটি ঘটেছে এটা কমিটি  স্পষ্ট করেছিল ৷

সাঁতরাগাছি ফুটব্রিজ দুর্ঘটনার পর কেমন আছে সাঁতরাগাছি? কী বলছে প্রতিদিনের চিত্র?


এই স্টেশনে দূর্ঘটনার পর থেকেই ফুট ওভারব্রিজে ভিড় সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছিল  আরপিএফ ও ভারত স্কাউট অ্যান্ড গাইডসের সদস্যদের। এমনকি ট্রেন ধরার জন্য কোনও যাত্রী ওভারব্রিজে দৌড়ালে তাকে‌ বিরত করতেও দেখা যেত আরপিএফের তরফে। যত দিন গড়িয়েছে  শিথিল হয়েছে পাহারা। এখন আর দেখা মেলেনা আরপিএফের। গুটিকয় ভলেন্টিয়ার যারা ফুট ওভারব্রিজের ভিড় সামলাতে দায়িত্বে ‌‌‌থাকেন তারা নিজেদের ‌‌‌ফোন সামলাতে আর খোশ গল্পে‌ মেতে‌ থাকেন বেশি।

দূর্ঘটনার পর পরই  সাঁতরাগাছি স্টেশনে  ১২ ফুট চওড়া আর একটি ফুট ওভারব্রিজ ৩ মাসের মধ্যে চালু করার নির্দেশ দিয়়েছিলেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান। সেখানে এসক্যালেটরের ব্যবস্থা থাকাার কথা বলা হয়েছিল। 
সাঁতরাগাছি স্টেশনের ফুট ওভারব্রিজে পদপিষ্ট হয়ে দু'জনের মৃত্যুতেও রেলের যে টনক নড়েনি, তার প্রমাণ আবারও সেই   কর্তব্যে গাফিলতির প্রতিদিনের  চিত্রটা।

বর্তমানে সাঁতরাগাছিতে ৬টি প্ল্যাটফর্ম আছে। দৈনিক এই স্টেশন থেকে ছাড়ছে ও ফিরছে ১১ জোড়া দূরপাল্লার ট্রেন। প্রতিদিন প্রায় ২০০টি লোকাল এই স্টেশনের ওপর দিয়ে চলাচল করা ছাড়াও সপ্তাহে ৭৭টি দূরপাল্লার ট্রেন এই স্টেশনে থামে। ফলে সেখানে যাত্রী–‌চাপও অনেক বেশি। কিন্তু ১ নং  প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে যেতে ভরসা এখনও সেই  প্রায় ৫০ বছরের পুরনো ৯ ফুট চওড়া ও ১৩০ ফুট লম্বা একটিমাত্র ফুট ওভারব্রিজ।


প্রতিদিন এই সঙ্কীর্ণ পথেই যাতায়াত ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌করেন হাজার হাজার মানুষ। রেল প্রশাসনের উদাসীনতায় আবারও ‌‌‌‌যে কোনও দিন ফিরতে পারে‌ ২৩ অক্টোবর'১৮ 'র‌ স্মৃতি। আবারও তদন্ত, আবারও তদন্ত রিপোর্ট আবারও যে‌ কে সেই।


Tuesday, July 23, 2019

কমনওয়েলথ টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন বাংলার ঐহিকা মুখার্জি ।


HOWRAH TIMES:-  কটকে আয়োজিত কমনওয়েলথ টেবিল টেনিসে মহিলাদের সিঙ্গলসে সোনা জিতে  ইতিহাস গড়লেন বাংলার ঐহিকা মুখার্জি ।এই প্রথম কোনো ভারতীয় মহিলা টেবিল টেনিস খেলোয়ার কমনওয়েলথ টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে মহিলাদের সিঙ্গলসে সোনা জিতলেন। ফাইনালে ভারতের মধুরিকা পাটকরকে ১১-৬,১১-৪, ১১-৯, ১৯-১৭ তে হারালেন ঐহিকা।


  টেবিল টেনিসে   নয়া নজির গড়ে ভারতের মুখই উজ্জ্বল করেছেন ঐহিকা।

Monday, July 22, 2019

এবার `মোহনবাগান রত্ন` পাচ্ছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেশব দত্ত


Howrah TIMESডিজিটাল ডেস্ক:- এই প্রথম ফুটবলের বাইরে অন্য কোনও খেলা থেকে মোহনবাগান রত্ন পেতে চলেছেন কোনও খেলোয়াড়।
এর আগে এই পুরস্কার পেতেন শুধু মাত্র ফুটবলাররা। এ বার থেকে অন্য খেলার জগতের দিকপালরাও এই পুরস্কার পাবেন। এ বারই তার সূচনা হল।

 মোহনবাগান রত্নের তালিকায় এবার দু’জন কিংবদন্তী ক্রীড়াবিদ। ফুটবলার প্রসূন ব্যানার্জির পাশাপাশি এবার মোহনবাগান রত্ন পেতে চলেছেন হকি কিংবদন্তী কেশব দত্ত। ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসের দিন যুগ্মভাবে এই রত্ন তুলে দেওয়া হবে দুই বিভাগের দুই কিংবদন্তী খেলোয়াড়ের হাতে।

ক্লাবের হয়ে দীর্ঘ কেরিয়ারে ২৮টি ট্রফি জেতা প্রসূন ব্যানার্জিকেই  মোহনবাগান রত্ন সম্মানে ভূষিত করতে চলেছে মোহনবাগান ক্লাব। সবুজ-মেরুনের ঘরের ছেলে হিসেবে পরিচিত প্রসূন বন্দোপাধ্যায়।


  প্রসূন ব্যানার্জির পাশাপাশি এবার মোহনবাগান রত্ন পেতে চলেছেন হকি কিংবদন্তী কেশব দত্ত।  ১৯৪৮ ও  ১৯৫২ অলিম্পিকে দেশকে জোড়া সোনা এনে দেওয়া হকির কিংবদন্তি তারকা কেশব এখন কার্যত শয্যাশায়ী।


মোহনবাগান রত্ন ছাড়াও মোহনবাগানের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার পাবেন প্রাক্তন ফুটবলার অশোক চট্টোপাধ্যায়। ওই দিনই স্পেশাল স্পোর্টস পারসোনালিটি সম্মান দেওয়া হবে ভারতীয় ক্রিকেটের মহম্মদ শামিকে।



প্রতিবারের মতই এবারেও জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৯ জুলাই পালন হবে মোহনবাগান দিবস। ঐতিহ্য মেনে ওই দিনই এই সম্মান তুলে দেওয়া হবে তাদের হাতে। একই সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আজীবন সদস্য কার্ড তুলে দেওয়া হবে সৌরভ গাঙ্গুলি, ভেস পেজ, চুনী গোস্বামী, দেবশঙ্কর হালদার ও প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির হাতে।
২৯ জুলাই অনুষ্ঠানে এবার সঙ্গীত পরিবেশন করবেন অনুপম রায়।

পবিত্র শ্রাবণের প্রথম সোমবার, শৈব তীর্থ তারকেশ্বরে শৈবভক্তের ঢল


রণতোষ মুখোপাধ্যায়-  ১৯৭৭সালের বাংলা ছবি 'বাবা তারকনাথ'এ সন্ধ্যা রায়ের তারকেশ্বর ধামে যাএা একদিকে যেমন তারকেশ্বর মহিমাকে পুননবীকৃত করেছিল তেমনই তারকেশ্বর যাএাকে  সর্বজনীন করে তুলতেও  বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল।প্রাচীন কিংবদন্তি কে মাথায় রেখেই একথা অনস্বীকার্য।

বিদ্বজ্জনেরা বলেন,তারকলিঙ্গ দর্শনেই পাপরাশি ভষ্মীভূত হয়,  স্পর্শনে অদ্বৈতজ্ঞান জন্মায় এবং চরনামৃত পানে মুক্তিপথের অধিকারী হওয়া যায়। অসংখ্য শ্রদ্ধাবান ভক্ত  রোগ ব্যাধি ও বিভিন্ন কষ্ট লাঘবের জন্য বাবার কৃপা প্রার্থী হয়ে মন্দির চত্বরে ধর্না দেয় আজও। চিরজাগ্রত তারকনাথের অনুকম্পায় দৈব ঔষধে বহু মানুষের রোগমুক্তির কথা আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে।.    তারকেশ্বর হুগলি জেলার একটি পৌর শহর।এটি উক্ত জেলার চন্দননগর মহকুমার একটি থানাও বটে।প্রসিদ্ধ হিন্দু তীর্থক্ষেত্র কলকাতা থেকে ৫৮ কিলোমিটার দূরে অবস্হিত এই শহর রাজ্যের প্রসিদ্ধ শৈব তীর্থক্ষেত্র।এই জুলাই-অগাষ্ট মাসে তারকেশ্বরের পথে কাঁধে বাঁক নিয়ে হাঁটেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীরা।


সাধারণ থেকে সুদৃশ্য,  আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার  সেই সারি নিজ নিজ এলাকার গঙ্গা থেকে বা বৈদ্যবাটির নিমাই তীর্থ ঘাট থেকে বাঁকে জল নিয়ে পৌঁছন তারকেশ্বর।.    হুগলি জেলার এই মন্দিরের ইতিহাস অতি প্রাচীন। কিংবদন্তি জানায়, বিষ্ণুদাস নামে জনৈক শিবভক্ত অযোধ্যা থেকে হুগলিতে এসে সপরিবারেই সেখানে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু স্থানীয় লোকজন তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখতেন। খানিকটা একঘরে হয়েই বাস করতেন বিষ্ণুদাস। পরিস্থিতি এমনটাই হয়ে দাঁড়ায় যে, বিষ্ণুদাসকে স্থানীয় মানুষ বাধ্য করে কঠিন পরীক্ষা দিয়ে প্রমাণ করতে যে, তিনি সৎ মানুষ। বিষ্ণুদাসকে তপ্ত লোহার একটি দণ্ডকে খালি হাতে ধরতে বলা হয়। তিনি তা-ই করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। সেই সঙ্গে মনে গভীর যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকেন। তিনি তাঁর ইষ্টদেবতা মহাদেবকে ডাকতে থাকেন এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের জন্য।



• কয়েকদিন পরে বিষ্ণুদাসের ভ্রাতা স্থানীয় জঙ্গলে এক আশ্চর্য বিষয় লক্ষ্য করেন। তিনি দেখেন, গরুরা প্রতিদিন জঙ্গলের একটি বিশেষ স্থানে গিয়ে দুধ দিয়ে আসে। তিনি এই স্থানে গিয়ে একটি পাথর দেখতে পান।

• এই সময়েই বিষ্ণুদাস স্বপ্নাদেশ পান যে, জঙ্গলে তাঁর ভাইয়ের দেখা ওই পাথরটিই মহাদেবের তারকেশ্বর রূপ। সেখানে বিষ্ণুদাস একটি মন্দির নির্মাণ করেন। এবং সেই স্থানই তারকেশ্বর ধাম নামে পরিচিত হয়।

• সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারকেশ্বর মন্দির অনেকবার নির্মিত ও পুনর্নির্মিত হয়েছে।   ১৭২৯ সালে বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজা ভারামল্ল প্রাচীন এই মন্দির নির্মাণ করান।আজকের আটচালা মন্দিরটি তৈরি করেন শিয়াখালার গোবর্ধন রক্ষিত।

 তারকেশ্বর মন্দির বাংলার চালা স্থাপত্যের আদর্শ উদাহরণ। যে ক’টি প্রাচীন চালা মন্দির বাংলায় টিকে রয়েছে, তার মধ্যে তারকেশ্বর অন্যতম।

• তারকেশ্বর স্বয়ম্ভূলিঙ্গ। এই লিঙ্গের মহিমা অপার।

• প্রাচীন এই কিংবদন্তির সঙ্গে কালে কালে যুক্ত হতে থাকে দেবমহিমা। তারকেশ্বর মন্দির-সংলগ্ন পুষ্করিণী দুধপুকুরকে ঘিরেও গড়ে ওঠে মিথ।

     হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, এই পুকুরে ডুব দিয়ে স্নান করলে যাবতীয় মনস্কামনা পূর্ণ হয়।রামকৃষ্ণ পরমহংসের পত্নী   সারদা দেবী একাধিকবার এই মন্দিরে পূজা দিতে এসেছিলেন।


শ্রাবণ মাস শৈবদের কাছে বিশেষ পবিএ মাস।এই মাসের সোমবারগুলিতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে তারকনাথকে স্নান করানোর উদ্দেশ্যে।এবারও তার অন্যথা হয়নি,আসলে পুণ্য আর বিশ্বাসের হাত ধরেই তো দেবমহিমা গড়ে ওঠে, ।
' তুমি পাথর না কি প্রাণ - আজ তোমার পরীক্ষা ভগবান'--  আর এই উওর খুঁজতে ক্রমেই বাড়তে থাকে পুণ্যার্থীদের ভিড়।




চাঁদের পথে পাড়ি দিল চন্দ্রযান ২। হুগলির গুড়াপের অখ্যাত গ্ৰাম আজ গর্বিত


HOWRAH TIMES ডিজিটাল ডেস্ক: উৎক্ষেপণ হল চন্দ্রযান-২-এর। সোমবার দুপুর ২টো ৪৩ মিনিটে চন্দ্রযান-২-কে নিয়ে উড়ে গেল জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভিহেকল। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে চাঁদের পথে পাড়ি জমাল ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযান। ১৬ মিনিটের উড়ানের শেষে মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে চন্দ্রযানকে পৌঁছে দেবে রকেট বাহুবলী।

গত সপ্তাহে চন্দ্রযান ২-এর উড়ান প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে স্থগিত হয়ে গেছিল । আজকের দিনটার জন্য কোটি কোটি দেশবাসীর পাশাপাশি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল হুগলির গুড়াপের শিবপুর গ্ৰাম।
 এই গ্ৰামেরই একটি ছেলে  একসময় বাবার হাত ধরে মাঠের কাজে নামতো, আর আজ সেখান থেকেই চন্দ্রযান ২ মিশনের গুরুভার যার কাঁধে তিনি  হুগলির বাঙালি চাষীর ছেলে চন্দ্রকান্ত৷ বাবা-মা যখন নাম রেখেছিলেন তখন ঘুনাক্ষরেও ভাবেননি ছেলের নাম একদিন জুড়ে যাবে চন্দ্র অভিযানের সাথে। আজ এটাই সত্যি, এই বাঙালিকে ছাড়া চাঁদে‌ যাওয়াই হত না ইসরোর। হুগলির চন্দ্রকান্তের তৈরি অ্যান্টেনার ভরসায় চাঁদের কক্ষপথে ঢুকছে ইসরো।

 ২০০১ সালে ইসরোতে যোগদানের পরে ক্রমশই নিজের কাজের মাধ্যমেই সামনে এগিয়ে গিয়েছেন চন্দ্রকান্ত৷ হয়ে উঠেছেন চন্দ্রযান ২-এর অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী৷
চন্দ্রযান ২ অভিযানে চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছে ভারত৷
'
'রাজা কা বেটা হি রাজা নেহি বনেগা, ওহি বনেগা জোর হকদার হ্যায়।' হালফিলের বলিউড হিট 'সুপার ৩০' -তে আনন্দ কুমার-রূপী হৃত্বিকের মুখের এই ডায়লগ নিজের জীবন দিয়ে সত্যি প্রমাণ করলেন চন্দ্রকান্ত। হুগলির শিবপুর গ্রামের এক অতি সাধারণ কৃষকের ছেলে চন্দ্রকান্ত।


Saturday, July 20, 2019

বর্ধমান রেল স্টেশনের নাম বদলে হবে বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের নামে


HOWRAH TIMES ডিজিটাল ডেস্ক:-বর্ধমান রেল স্টেশনের নাম বদলে যাবে শীঘ্রই। স্বাধীনতা সংগ্ৰামী বটুকেশ্বর দত্তের নামে হতে চলেছে এই স্টেশন।
কে এই বটুকেশ্বর দত্ত?
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ থানা এলাকার ওঁয়াড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বটুকেশ্বর দত্ত। ওয়ারি গ্রাম এখন পড়ে পূর্ব বধমান জেলায়। সেখানেই জন্ম হয়েছিল তাঁর |


ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে উনিশ শতকের শূন্য দশকে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন বটুকেশ্বর দত্ত।

কানপুরে কলেজে পড়ার সময় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন বটুকেশ্বর দত্ত। জড়িয়ে পড়েন স্বাধীনতা আন্দোলনে।

১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল দিল্লিতে কেন্দ্রীয় আইনসভা কক্ষে ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত বোমা ফেলেন, “ইনকিলাব জিন্দাবাদ” স্লোগান দিয়ে দেশমুক্তির দাবিতে লিফলেট ছড়ান ও তারপর দু’জনেই স্বেচ্ছায় ধরা দেন।

 জেলে তিনি এবং ভগৎ সিং ভারতীয় রাজনৈতিক জেলবন্দিদের সাথে নোংরা আচরণের বিরুদ্ধে ও রাজবন্দীর অধিকারের দাবীতে এক ঐতিহাসিক অনশনের শুরু করেন এবং কিছু অধিকার আদায়ে সক্ষম হন তাদের জন্য । তবে এই অনশনে শহীদ হন বিপ্লবী যতীন দাস।

লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ ভগৎ সিং, শুকদেব ও রাজগুরুর ফাঁসি হলেও বটুকেশ্বর দত্তের বয়স কম থাকায় তাঁকে ১৯৩০ সালের ৬ জুন ব্রিটিশ সরকার আন্দামানের সেলুলার জেলে পাঠিয়ে দেয়।
১৯৩৮ এ   তিনি জেল থেকে মুক্ত হন।

১৯৬৩ সালে তিনি বিহার বিধান পরিষদের সদস্য হন।

বটুকেশ্বর দত্ত বিপ্লবী সদস্যদের নিকট বি কে নামে পরিচিত ছিলেন।

 দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যিনি নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছিলেন সেই   বিপ্লবীর শেষ জীবন কিন্তু ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক।  জেল থেকে মুক্তি পেলেও স্বাধীন ভারতে তার মূল্যায়ন হয়নি, দারিদ্রের সাথে লড়াই করে জীবন কেটেছে। স্বাধীনতার পর বিবাহ করে বিহারের পাটনায় বসবাস করতেন। সরকারি সাহায্য বা সম্মান বিশেষ কিছু পাননি। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে পরিবহণ ব্যবসা করতেন। ২০ জুলাই ১৯৬৫ দিল্লীর একটি হাসপাতালে প্রায় লোকচক্ষুর অন্তরালে তার মৃত্যু হয়।

হাজার কেজির পিতলের দূর্গা, থিম ভাবনায় এগিয়ে হাওড়া শ্যামপুরের এই পুজো


HOWRAH TIMESডিজিটাল ডেস্ক:- শ্রাবণের বাতাসে পুজোর গন্ধ না থাকলেও শহর ও শহরতলীর বিশিষ্ট পুজোকমিটি গুলি এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছেন তাদের প্রস্তুতি। এ বছর কোন‌ পুজো কমিটি দর্শকদের জন্য কি চমক আনতে চলছেন তা ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আনছেন তারা। কলকাতার পাশাপাশি এই চমকের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই হাওড়া জেলার। জেলার বিশিষ্ট পুজোগুলির অন্যতম শ্যামপুর থানার বাছরী ফুটবল মাঠ দুর্গা পুজো কমিটি। বিগত বছরগুলিতে তারা কখনও সাতশ কেজির ঝিনুক আবার কখনও বা হাজার কেজির কাচের দূর্গা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জেলার মানুষকে। আর ৫৪ তম বর্ষে তাদের এবারের ভাবনা ,  হাজার কেজি পিতলের দুর্গা।



বেশ কয়েক বছর ধরেই  অভিনবত্ব ও দর্শক টানার নিরিখে এই পুজোটি হাওড়া জেলার অন্যতম সেরা পুজো গুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।
 শ্যামপুর থানার  এই ঐতিহ্যবাহী পুজোটি   ন'টি গ্রাম নিয়ে একসাথে এই পুজোর আয়োজন করে।
পুজোর দিন গুলিতে এই পুজো ও প্রতিমা দেখতে দর্শনার্থীদের ভীড় থাকে চোখে  পড়ার মতো ।

হাওড়ার বাগনানে নতুন প্রজাতির পতঙ্গের সন্ধান মিলল হাওড়ারই গবেষকের হাত ধরে


পৃথ্বীশরাজ কুন্তী: ভারত তার সংস্কৃতি,গৌরবময় ইতিহাস,জাতি ও ভাষাগত বৈচিত্র‍্যের পাশাপাশি জীববৈচিত্র‍্যের জন্যও বিশ্ববিশ্রুত।পৃথিবীর ৭ টি অতিবৈচিত্র‍্যশালী দেশের মধ্যে অন্যতম এই দেশ।ভারতের জীববৈচিত্র্য অনুসন্ধানে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা নিষ্ঠার সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণও জীববৈচিত্র্য অনুসন্ধানের এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।এই স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই একটি দল ২০১৭ সাল নাগাদ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বিশিষ্ট অধ্যাপক অমল কুমার মন্ডল ও লেডী ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যাপিকা সংযুক্তা মন্ডল পাড়ুইয়ের নেতৃত্বে জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত কাজ শুরু করে।এই দলেরই প্রধান সদস্য হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা ড.সৌরভ দোয়ারী।


জীববৈচিত্র‍্যের অনুসন্ধানকারী এই দলের গভীরে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এক বিস্ময়কর তথ্য।অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে সৌরভ বাবু ও তাঁর সহযোগী গবেষকগণ হাওড়ার বাগনান-২ নং ব্লকের রূপনারায়ণ নদের তীরে লম্বা শুঁড়যুক্ত এক বিশেষ প্রজাতির পতঙ্গের সন্ধান পেয়েছেন যা ভারতে ইতিপূর্বে কখনো দেখা যায়নি বলে তাঁরা দাবি করেন।সেই দাবির ভিত্তিতেই শুরু হয় আরও গভীরভাবে অনুসন্ধানের কাজ।প্রাপ্ত পতঙ্গটির ছবি ও তথ্য সবিস্তারে পরীক্ষা করে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এই দলটি জানতে পারে এটি একপ্রকার লম্বা শুঁড়যুক্ত বিটল যা ইতিপূর্বে ভারতে দেখা মেলেনি।

যেহেতু দেশের মধ্যে পতঙ্গটির আগে কখনো দেখা মেলেনি তাই তার সম্পর্কে সুনিশ্চিত হতে ও বিস্তারিত তথ্য জানতে লুক্সেমবার্গের 'ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি'-এর বিজ্ঞানী ফ্রান্সিসকো ভিটালি ও কেরলের প্রখ্যাত পতঙ্গবিদ সঙ্গমেষ হায়ারম্যাথের কাছে পাঠানো হয় প্রাপ্ত পতঙ্গটির ছবি ও তথ্য।পতঙ্গ গবেষণা জগতের দুই প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব তাঁদের দাবিকে সম্পূর্ণভাবে মান্যতা দেন। পতঙ্গটির পরিচিতি সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়ার পরই প্রাণীবিদ্যা জগতের অন্যতম আন্তর্জাতিক জার্নাল 'International Journal of Zoology Studies'-এ তাঁদের গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।

সৌরভ বাবুদের গবেষণা অনুযায়ী উক্ত জার্নালে জানানো হয়েছে পতঙ্গটির বৈজ্ঞানিক নাম Blepephaeus nepalensis। এটি এক প্রকারের লম্বা শুঁড়বিশিষ্ট বিটল যা সেরামবাইসিডি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত।উল্লেখ্য,১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রখ্যাত পতঙ্গবিদ হায়াসি নেপালের বালাজুতে প্রথম এই প্রজাতির সন্ধান পান।তার নমুনা বর্তমানে সাপোরের হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্টোমলজিক্যাল মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।পেশায় বাগনান-১ ব্লকের ভূঁয়েড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.সৌরভ দোয়ারী জানান,নেপালের পর বিশ্বে এই প্রজাতির প্রথম দেখা মিলল হাওড়ার বাগনানে।তিনি আরও জানান, বর্তমানে এই প্রজাতির বাস্তুতান্ত্রিক ও পরিবেশগত ভূমিকা নিয়ে তাঁরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।সৌরভবাবুর কর্মকান্ডে স্বভাবতই খুশি পরিবার ও প্রিয়জনরা।ভারতীয় পতঙ্গ গবেষণার মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হল এই সুদীর্ঘ গবেষণার মধ্য দিয়ে।


অষ্টম দিনে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন, অনশনে‌ অসুস্থ আরও সাত


HOWRAH TIMES ডিজিটাল ডেস্ক:- উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আন্দোলন আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হল। শুক্রবার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে,রাজ্য সরকার পদক্ষেপ না করায় তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন।

প্রসঙ্গত, টানা সাতদিন   পার হয়ে আট দিনে পড়ল সল্টলেকের উন্নয়ন ভবনের সামনে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন।
পিআরটি স্কেল অনুয়ায়ী বেতন কাঠামো চালু, অনৈতিক ভাবে বদলি করা শিক্ষকদরে পুরনো স্কুলে ফিরিয়ে নিয়ে আসা-সহ একাধিক দাবিতে টানা সাতদিন  পার হয়ে অষ্টম দিনে পড়ল সল্টলেকের উন্নয়ন ভবনের সামনে প্রাথমিক শিক্ষকদের এই অনশন। ইতমধ্যেই নতুন‌ করে আরও সাতজন শিক্ষকের অসুস্থ হয়ে‌ পড়ার খবর পাওয়া গেছে।

Friday, July 19, 2019

হাওড়ায় কাটা মুন্ডু কান্ডে রহস্যের কিনারা, পুলিশের জালে খুনী স্বামী


HOWRAH TIMES  ডিজিটাল ডেস্ক:-অবশেষে বালির জেটিয়া ঘাট থেকে উদ্ধার হয়েছে হওয়া কাটা মুন্ডুটি কার তার হদিশ মিলল। খুন হন হওয়া ঐঐ তরুণী পরিচয় পাওয়া গেল ৷  বাড়িতে কসাই ডেকে স্ত্রী-কে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী-সহ ২৷ শিবপুরের গণেশ চ্যাটার্জি লেন থেকে ধৃত মহিলার স্বামী উপেন্দ্র রজক এবং তার দুই সঙ্গী ৷ গ্রেফতার দিলওয়ার খান নামের এক কসাই ও ৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে উপেন্দ্রদের গ্রেফতার করে পুলিশ ৷



প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে বালি ব্রিজের নিচে জেটিয়া ঘাটে গঙ্গায় একটি ট্রলি ব্যাগ দেখতে পান স্থানীয়েরা। খুলতেই দেখা যায় সেটির ভিতর রয়েছে এক মহিলার কাটা মুন্ডু। শিউরে ওঠেন সকলে। খবর দেওয়া হয় বালি থানায়। পুলিশ এসে ওই ব্যাগটি উদ্ধার করে। 





হাওড়া সিটি পুলিশের প্রথম থেকেই   অনুমান ছিল, লোহার তৈরি ধারালো অস্ত্র ভরা ব্যাগটি যেমন গঙ্গায় ভেসে আসা সম্ভব নয় তেমনই একজনের পক্ষেও এই ভারি ব্যাগ ফেলে যাওয়া সম্ভব নয়। দুই বা তার বেশি ঘাটে এসে যখন ব্যাগটি ফেলে তখন  ভাটা চলছিল। যা সম্ভবত আঁচ করতে পারেননি ঐ‌ ব্যক্তিরা।তারা ভেবেছিলেন ব্যাগ ভেসে চলে যাবে।কিন্তু ভাটা চলায় কাদায় আটকে যায় ব্যাগ। তাদের ধারণা সত্যি করেই এই খুনে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলল।

হাওড়ায় উদ্ধার তরুণীর কাটা মুন্ডু ঘিরে ক্রমশ রহস্য দানা বাঁধছে


HOWRAH TIMESডিজিটাল ডেস্ক:- জেটিয়া ঘাট থেকে মহিলার কাটা মুন্ডু ও দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল ,শুক্রবা ,রাত পর্যন্ত  মৃত মহিলার পরিচয়ও জানতে পারেনি পুলিশ। তবে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দাদের ধারণা , বালির গঙ্গার ঘাটে কাটা মাথা ভেসে আসেনি।কারন দেহ ছাড়া মাথা পচন ধরে ফুলে না ওঠা পর্যন্ত ভেসে ওঠেনা। উদ্ধার হওয়া ঐ কাটা মুন্ডুটিতে কোথাও পচন ধরেনি। মহিলার হাত ও পা অবশ্য শুক্রবার রাত পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। পুলিশের অনুমান, লোহার তৈরি ধারালো অস্ত্র ভরা ব্যাগটি যেমন গঙ্গায় ভেসে আসা সম্ভব নয় তেমনই একজনের পক্ষেও এই ভারি ব্যাগ ফেলে যাওয়া সম্ভব নয়। দুই বা তার বেশি ঘাটে এসে যখন ব্যাগটি ফেলে তখন  ভাটা চলছিল। যা সম্ভবত আঁচ করতে পারেননি ঐ‌ ব্যক্তিরা।তারা ভেবেছিলেন ব্যাগ ভেসে চলে যাবে।কিন্তু ভাটা চলায় কাদায় আটকে যায় ব্যাগ।


Thursday, July 18, 2019

দ্বিতীয় হুগলি সেতুর আলোকসজ্জায় কোটি কোটি টাকার 'কেলেঙ্কারি', মত ক্যাগের


HOWRAH TIMES ডিজিটাল ডেস্ক:-১৯৯২ সালের ১০ অক্টোবর উদ্ধোধন হয় বিদ্যাসাগর সেতুর।সূচনা লগ্নে এই সেতুতে আলোর অপ্রতুলতা নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল বিস্তর। যেহেতু হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার (এইচআরবিসি) বিদ্যাসাগর সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে তাই তারা পরে সিদ্ধান্ত নেয় সোডিয়াম বেপার ল্যাম্প বসানোর। ২০১০ এর মাঝামাঝি সিদ্ধান্ত হয় বেপার ল্যাম্প বাতিল করে এলইডি লাগানোর। উদ্দেশ্য ছিল, সৌন্দর্যয়ন ও খরচ কমানো।খরচ কমা ছাড়াও ঐ নয়া ব্যবস্থায় কার্বন নির্গমনের হার ও কমার কথা। কিন্তু লাগানোর কিছুদিনের মধ্যেই  এলইডি গুলি খারাপ হয়ে যায়। সেগুলি বর্তমানে অচল হয়ে পড়ে আছে। এটিকে 'অপচয়ী ব্যয়' বলে মনে করছে
কন্ট্রোলার অ্যান্ড  অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ক্যাগ)। নষ্ট হওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি। যে সংস্থা এই কাজ করেছিল তারা ঠিকমতো কাজ করতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত না হয়েই টিকার সংস্থাকে‌ টাকা দেওয়া হয়েছিল এবং খারাপ হয়ে যাওয়ার পরেও সেই সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে এইচআরবিসি-র আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ করেছে ক্যাগ।

ট্রলি ব্যাগে মহিলার টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার‌ হাওড়ায়


HOWRAH TIMES ডিজিটাল ডেস্ক:- গঙ্গার ঘাটে মহিলার  টুকরো টুকরো  দেহ উদ্ধার , এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে  তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল  বালির ছোট জেটিয়া ঘাটের কাছে।জেটীয়া ঘাটের কাছে ভেসে আসা একটি ট্রলি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণীর দেহ। সামনের খোপে  রাখা কাটা মুণ্ডু এবং ভিতরের খোপে দেহাংশ।


 বৃহস্পতিবার সকালে বালি ব্রিজের নিচে জেটিয়া ঘাটে গঙ্গায় একটি ট্রলি ব্যাগ দেখতে পান স্থানীয়েরা। খুলতেই দেখা যায় সেটির ভিতর রয়েছে এক মহিলার কাটা মুন্ডু। শিউরে ওঠেন সকলে। খবর দেওয়া হয় বালি থানায়। পুলিশ এসে ওই ব্যাগটি উদ্ধার করে। তরুণীর নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
 পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মহিলার পরিচয় এবং কিভাবে এই বস্তাবন্দি দেহ সেখানে এল তা জানার চেষ্ঠা করছে পুলিশ। নিহত ওই মহিলার দেহ গঙ্গার জলে ভেসে এসেছে, নাকি কেউ অন্য জায়গায়  খুন করে তাঁর দেহ সেখানে ফেলে গেছে তা জানার জন্য বালি জেটিয়া ঘাটের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ।

ন্যায্য বেতন কাঠামো নিয়ে অনড় প্রাথমিক শিক্ষকদের আমরণ অনশন ষষ্ঠ দিনে পড়লো


রণতোষ মুখোপাধ্যায়:- কথায় বলে, বাড়ির  মজবুতি তার ভিতে আর শিক্ষার্থীর ভিত  প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অথচ সরকারি শিক্ষাব্যবস্থায় সবচাইতে অবহেলিত বোধহয়   এই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিই। অধিকাংশ স্কুলগুলিতেই এখন একজন বা দুজন শিক্ষক-- তা দিয়েই চলছে কোনও রকমে জোড়াতালি পঠন-পাঠন । প্রাথমিক স্কুলে সেই গায়ে হাওয়া লাগানোর দিন আর নেই। শিক্ষকদের পড়ানো ছাড়াও করতে হয় আরো নানান ধরনের কাজ। অথচ বেতন একজন গ্রুপ ডি  কর্মচারীর তুলনাতেও কম।       প্রতিবাদের পথে হেঁটে  প্রতিকার চাইতে গেলেই শিক্ষক-   শিক্ষিকাদের উপর নেমে এসেছে পুলিশের লাঠিচার্জ, জলকামান।
টানা পাঁচ দিন পার হয়ে ছ’দিনে পড়ল সল্টলেকের উন্নয়ন ভবনের সামনে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন। পিআরটি স্কেল অনুয়ায়ী বেতন কাঠামো চালু, অনৈতিক ভাবে বদলি করা শিক্ষকদরে পুরনো স্কুলে ফিরিয়ে নিয়ে আসা-সহ একাধিক দাবিতে টানা পাঁচ দিন পার হয়ে ছ’দিনে পড়ল সল্টলেকের উন্নয়ন ভবনের সামনে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন।
পিআরটি স্কেল আদায়ের দাবি এবং ১৪ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বদলির প্রতিবাদে গত শনিবার থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। অনশন ছ' দিনে পড়লেও সরকারি ভাবে কোনও  আশ্বাস তো মেলেইনি  উল্টে   শিক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, স্কুলে উপস্থিত না-হয়ে যাঁরা অনশনে অংশ নিয়েছেন, নির্ধারিত ছু‌টির দিন থেকেই তা বাদ দেওয়া হবে। আর এতেই   অনশনকারীদের আন্দোলন আরও অনমনীয় হয়েছে।


ধরনা এবং অনশন মঞ্চ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা দাবি করেছেন, “পিআর‌টি স্কেল আমাদের দাবি নয়, আমাদের অধিকার। ১৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের ওই আমরণ অনশন যে দাবি না পূরণ হওয়া পর্যন্ত জারি থাকবে, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের যুক্তি, ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন প্রায় অর্ধেক। এই বৈষম্য ঘোটাতেই তাঁরা আন্দোলন জারি রাখবেন”।

আন্দোলনকারীদের এও অভিযোগ তাদের ন্যায্য দাবীর বেতন কাঠামোর এই আন্দোলনে চড়ানো হচ্ছে বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনের রঙ। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, কবি মন্দাক্রান্তা সেন থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার।

পাশে‌ দাঁড়িয়েছেন ‌‌‌‌কবি শঙ্খ ঘোষও। তিনি তাঁর বিবৃতিতে  জানিয়েছেন -

"আবারও কিছু ন্যায্য দাবি নিয়ে এ রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকশিক্ষিকারা সরকারের কাছে কিছু আবেদন জানিয়েছিলেন। কোনও কোনও প্রসঙ্গে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করতে চাননি বা পারেননি সরকারপক্ষ। এটা প্রায় অবিশ্বাস্য ব্যাপার যে, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা প্রায় অর্ধেক বেতন পান। শিক্ষার বা প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ে যে বিন্দুমাত্র সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে — মনে হয় সে-বিষয়ে সরকার সম্পূর্ণ উদাসীন। এর প্রতিবাদে সংগতভাবেই নিপীড়িত শিক্ষকসমাজ আজ আন্দোলন করছেন। কোনওরকম সদর্থক প্রতিক্রিয়া না মেলায় শেষপর্যন্ত আঠারোজন ইতিমধ্যেই আমরণ অনশনের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন আজ পাঁচদিন হল। সমস্ত নাগরিক সমাজের চোখের সামনে এটা যে ঘটতে পারছে এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই। মাঝে মাঝে আমাদের নিজেদের নিতান্ত অসহায় বলে মনে হয়। তবুও আমরা শুধু এইটুকু আশা করে থাকতে চাই যে, অবস্থাবিবেচনায় সরকারের কোনও সুচেতনা হবে, এবং এই অবর্ণনীয় দুর্দশা থেকে প্রাথমিক শিক্ষকসমাজের মুক্তির একটা ব্যবস্থা তাঁরা করবেন।" --  শঙ্খ ঘোষ


 সরকারের সুচেতনা হবে কবে তা জানেন না আন্দোলনকারীদের কেউই। বিগত দিনের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেছে সুচেতনা জাগ্ৰত হতে‌ লেগে গেছে ২৭-২৮ দিন।ততদিনে অনশনরত বেশ কিছু শিক্ষক হয়ত অসুস্থ হয়ে  ভর্তি হবেন হাসপাতালে, কোনও ‌‌‌‌‌‌মহিলা শিক্ষকের‌ গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যাবে চিরতরে । এতকিছুর বিনিময়ে হয়ত ভাঙবে‌ সরকারের ঘুম। আসলে‌ যে ঘুমিয়ে থাকে তার ঘুম ভাঙানো যায় কিন্তু যে ঘুমিয়ে থাকার অভিনয় করে তার ঘুম ভাঙানো------!

হাওড়া শ্যামপুরে বাছরী যুব সংঘে মা সাজবেন রেশমী সুতোর সাজে

অর্পণ দাস:  হাওড়া গ্রামীণ অঞ্চলের শ্যামপুর থানার বাছরী গ্রামের "বাছরী যুব সংঘের" সার্বজনীন দুর্গোৎসবের এবছর ৫৩ তম বর্ষ । বিগত...