Friday, May 31, 2019

লেদের আড়ালে অস্ত্র কারখানা,হাওড়া এখন দ্বিতীয় মুঙ্গের!


 NewsHTimesওয়েব ডেস্ক:- হাওড়া শহরের ঘিঞ্জি এলাকাগুলির গলিঘুঁজির মধ্যে লুকিয়ে থাকা ঘুপচি ঘরগুলিতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শাখাবিস্তার করছে তা বারংবার 'হাওড়া টাইমস' খবরের শিরোনামে নিয়ে এসেছে।লেদকারখানার আড়ালে ছোট কারখানাগুলি অনেকক্ষেএেই বেআইনিভাবে অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ তৈরি করছে বলে খবর পাওয়া যায় মাঝে মাঝেই।আগে ভিনরাজ্যে তৈরি হওয়া অস্ত্র এরাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হত কিন্তু তার খরচ বেশি হওয়ায় ভিনরাজ্যে র অস্ত্র কারবারীরা এরাজ্যেই বিশেষ করে হাওড়ায় ডেরা বেঁধে অস্ত্র কারখানা বানিয়ে ফেলছে যা অত্যন্ত উদ্বেগের।হাওড়া শহরে টিকিয়াপাড়া,দাশনগর,পিলখানা এলাকায় ছোটবড় বহু লেদকারখানা আছে ।কাজের অভাবে যে কারখানাগুলি ধুঁকছে সেগুলিকেই টার্গেট করছে ঐ কারবারীরা!এলাকার কোনও লিঙ্কম্যানের সাহায্যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে এই অস্ত্র কারবার।

গতকাল হাওড়ার পিলখানায় আবারও এক বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিস মিলেছে। উদ্ধার অসম্পূর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার স্ট্র্যান্ড রোডে কাস্টমস হাউসের সামনে থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয় ২২টি অসম্পূর্ণ পিস্তল ও ১ লক্ষ টাকার জাল নোট। ধৃতদের জেরা করেই হাওড়ার এই  অস্ত্র কারখানার কথা জানতে পারে তা‌রা। সেইমতো গতকাল  হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কারখানায় তল্লাশি চালায় এসটিএফ। উদ্ধার হয় ২৬টি অসম্পূর্ণ ৭ এম এম পিস্তল, ১টি লেদ মেশিন, ২টি মিলিং মেশিন, ১টি ড্রিলিং মেশিন-সহ একাধিক অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। 


এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে মহম্মদ চাঁদ সহ মোট তিনজন। বাড়ির মালিকের নাম তারকনাথ সাউ। তিনি স্থানীয় বিজেপি নেতা বলে জানা গিয়েছে। প্রয়োজনে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

ধৃত মহম্মদ চাঁদ, মহম্মদ সুলতান এবং মহম্মদ শিল্টু বিহারের বাসিন্দা। ৩ বছর ধরে কারখানা চলছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পুলিশের দাবি, বাড়ি ভাড়া নিয়ে কারখানা শুরু করে মহম্মদ চাঁদ। কোথায় অস্ত্র পাচার হচ্ছিল, খতিয়ে দেখছে এসটিএফ।

ঘটনায় বিজেপি নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়ার  প্রসঙ্গে উত্তর হাওড়ার পরিচিত বিজেপি নেতা উমেশ রাই জানান, প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলারের আত্মীয় এই কাজ করতেন। তাঁর মাধ্যমে হাওড়ায় অস্ত্র আমদানি করছিল তৃণমূল। এটা তৃণমূলেরই অস্ত্র কারখানা বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও তাঁর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপিকে এর জন্য দায়ী করেছেন উত্তর হাওড়ার তৃণমূল সভাপতি গৌতম চৌধুরী। তিনি জানান, বাড়িটির মালিক বিজেপির কার্যকর্তা। সেখানে অস্ত্রের কারখানা তৈরি করেছে বিজেপি।




জনশ্রুতি, এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা


News H Timesওয়েব ডেস্ক :- প্রাচীনযুগের একটি কিংবদন্তী অনুযায়ী দক্ষযজ্ঞের সময় সতীর বাম গুল্ফ(গোড়ালি) তমলুকের এই অংশে পতিত হয়েছিল তাই এটি ৫১ সতীপীঠের অন্যতম । দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা দেবী বর্গভীমার মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন । ভরতচন্দ্রের 'অন্নদামঙ্গল' হতে জানা যায় এই তীর্থ দেবী শিবানীর "বাম গুলফ" অর্থাৎ বাঁ চরণের গোড়ালির স্পর্শে ধন্য। দেবীর নাম বর্গভীমা, মতান্তরে দেবী ভীমরূপা এবং ভৈরব কপালী। যথা-

"বিভাসে বাম গুলফ ফেলিল কেশব-
ভীমরূপা দেবী তাহে কপালী ভৈরব।।"

কিন্তু তন্ত্রমতে দেবীর নাম কৃপালিনী ও ভৈরব সর্বানন্দ। কিন্তু বর্তমানে মন্দিরে ওঠার সোপান শ্রেণীর বাম পার্শ্বে প্রতিষ্ঠিত ভৈরব ভূতনাথ।

এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা ও প্রতিষ্ঠাতা নিয়ে অনেকগুলি মতবাদ প্রচলিত।

প্রথম প্রবাদ বলে, চণ্ডীমঙ্গল গ্রন্থের নায়ক ধনপতি সওদাগর সিংহল যাত্রার সময়ে প্রতিষ্ঠা করেন এই মন্দির। তাঁর এক ভৃত্য এক কুন্ডের সন্ধান পায়, যার জলে ডোবালে যে কোনও কিছুই সোনা হয়ে যায়। ধনপতি সেই মতো সব সম্পদ সোনায় রূপান্তরিত করে বিপুল সম্পদ লাভ করেন। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ, তিনি নির্মাণ করেন বর্গভীমার মন্দির।


 দ্বিতীয় প্রবাদ বলে, তাম্রলিপ্তের রাজা তাম্রধ্বজ এবং এক ধীবর রমণীর কথা। সেই ধীবর রমণী জানতে পারে, এই কুন্ডের জল ছিটিয়ে দিলে মৃত প্রাণ পায়। তাম্রধ্বজের প্রাসাদে মাছ জোগান দেওয়ার সময়ে সে একদিন তাজা রাখার জন্য এই কুন্ড থেকে জল নিয়ে ছিটিয়েছিল মাছের গায়ে। মাছগুলো বেঁচে ওঠে এবং ধীবর রমণী সেই অবিশ্বাস্য সংবাদ দেয় রাজাকে। রাজা ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে এসে কুন্ডের জায়গায় দেখতে পান এক বেদী আর তার উপরে অধিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী দেবীকে। তারপর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন এই মন্দির।

তৃতীয় প্রবাদ মতে, কৈবর্ত রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কালু ভুঁইয়া বর্গভীমার মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা।
বর্গভীমার মন্দিরের খ্যাতি আছে পুরাণেও। পুরাণ বলে, দক্ষ হত্যার পর তার কপালটি শিবের হাতে আটকে ছিল ব্রহ্মহত্যার অপরাধে। এই তাম্রলিপ্তে বর্গভীমার কুন্ডে এসে সেই কপাল খসে পড়ে। তাই পুরাণ এই পীঠকে কপালমোচন নাম দিয়েছে। তাছাড়া, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এমন বার্তা  বঙ্গের  বর্গভীমার মতো আর কোনও কালী-মন্দির  বহন করে না।


চতুর্থ প্রবাদ মতে, এই মন্দির হাজার হাজার বছরের পুরনো নয়, সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতকে   মারাঠা আক্রমনের সময় মারাঠা সর্দার এই দেবীর পুজো করেছিলেন। আর তাই বর্গীদের দ্বারা পুজিতা এই ভীমারূপী মা "বর্গভীমা" নামে পরিচিত।

বর্গভীমার মন্দিরটি আদতে ছিল এক বৌদ্ধ স্থাপত্য। রাজা অশোকের তৈরি তাম্রলিপ্তের স্তূপের উপরে এই মন্দির নির্মিত হয়। মন্দিরের বাইরের স্থাপত্য ও গঠনপ্রণালীও বাংলার মন্দিরশিল্প থেকে আলাদা। ভিতরের গঠনপ্রণালী একান্তভাবেই বৌদ্ধ বিহারের মতো; বুদ্ধগয়ার মন্দিরের সঙ্গে যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে। ৩০ ফুট উঁচু বুনিয়াদের উপরে মূল মন্দিরটি প্রায় ৬০ ফুট উঁচু। ভেতরে ঢুকলে মনে হবে, ছাদটি তৈরি হয়েছে বড় একটি শ্বেতপাথর কুঁদে। মূল মন্দিরের সামনে রয়েছে যজ্ঞ মন্দির। এই দুই মন্দির জগমোহন নামের খিলান দিয়ে যুক্ত। যজ্ঞ মন্দিরের সামনে বলিদান ও দেবীবন্দনার জন্য রয়েছে নাটমন্দির। তার সামনে তোরণ ও নহবতখানা। একখণ্ড পাথরের সামনের দিক কুঁদে তৈরি হয়েছএ এই অনুপম দেবী মূর্তি। দেবী মূর্তির বেদীর নিচে সোপাণশ্রেণির মধ্যে ভূতিনাথ ভৈরবের অবস্থান। শোনা যায়, কালাপাহাড়ের মতো হিন্দুত্রাসও ওড়িশা বিজয় অভিযানকালে এই দেবীদর্শনে মুগ্ধ হয়ে মন্দির রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফারসিতে দলিল লিখে যান। সেই বাদশাহি পাঞ্জা আজও আছে বর্গভীমার পূজকদের কাছে। 

দেবী বর্গভীমাকে অনেকে চণ্ডীতন্ত্রে কথিত ভীমা দেবী বলে মনে করেন। এই দেবীর মূর্তি একটি কৃষ্ণপ্রস্তর খণ্ডের সম্মুখভাগে খোদাই করে নির্মাণ করা হয়েছে। এই মূর্তির গঠন উগ্রতারা মূর্তির মতই। দেবীর ধ্যান ও পূজাদি যোগিনী মন্ত্র ও নীল তন্ত্রানুসারে সম্পাদিত হয়।

পথ নির্দেশঃ
হাওড়া নিউ কমপ্লেক্স থেকে মেচেদা, খড়গপুর ইত্যাদি মেদিনীপুরগামী লোকাল ট্রেনে মেচেদা ষ্টেশনে নেমে বাইরে বেরতেই চোখে পড়বে বাস স্ট্যান্ড। সেখানে গিয়ে মানিকতলা গামী বাসের খোঁজ নিয়ে তাতে আধ ঘণ্টার পথ পেরিয়ে মানিকতলা মোড়ে বা হসপিটাল মোড়ে নেমে রিকশায় বা টোটোতে মিনিট ১০শেক পথ এক্কেবারে মন্দিরের সামনে আপনাকে পৌঁছে দেবে। 

(মন্দিরে দুপুরে অন্ন ভোগ পেতে হলে সকাল ১০টার মধ্যে মন্দির কমিটির অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। টিকিত ৯০ টাকা।)





ছবি ও তথ্য:-টিম হাওড়া টাইমস এবং অরিজিৎ চন্দ।

সন্ন্যাসী সাংসদ এবার রাষ্ট্রমন্ত্রী।থাকেন খড়ের চালাঘরে, চড়েন সাইকেল


রণতোষ মুখোপাধ্যায় :-তার ছবি দিয়ে ভোটের আগে এমন কোনও ব্যানার বা ফেস্টুন ঝোলেনা যাতে লেখা থাকবে 'সততার প্রতীক'   অথচ    তিনিই দেশের সবথেকে গরিব সাংসদ।   গাড়ির বদলে সাইকেল অথবা অটো রিকশায় ঘুরে বেড়ান। অটো ভাড়া নিয়ে ভোটের প্রচার করেছেন। থাকেন খড়ের চালা বাড়িতে।         নাম প্রতাপ চন্দ্র সারেঙ্গী।   তিনবারের বিধায়ক। ওড়িশার বালাসোর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচিত সাংসদ।    গতকাল মোদী মন্ত্রিসভায় রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এই মানুষটি।


পিছিয়ে পড়া মানুষের সেবায় তিনি তাঁর জীবনকে উৎসর্গ করেছেন।
ওড়িশার বালাসোরের প্রত্যন্ত গোপীনাথপুর গ্রামে ব্রাহ্মণ পরিবারে তাঁর জন্ম। ১৯৭৫ সালে
উৎকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বালাসোরের ফকির মোহন কলেজ থেকে তিনি স্নাতক হন। কিশোর বয়স থেকেই আধ্যাত্মিক জগতের প্রতি তাঁর অমোঘ আকর্ষণ ছিল।  স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন। রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীর জীবন বেছে নিতে চেয়েছিলেন। বেশ কয়েকবার বেলুড় মঠেও নাকি এসেছিলেন সন্ন্যাসী হওয়ার বাসনায় । যদিও সেই সাধ তাঁর পুরণ হয়নি। রামকৃষ্ণ মঠের মহারাজরা কথা বলে জানতে পেরেছিলেন বাড়িতে তাঁর বিধবা মা রয়েছেন। মহারাজরা তাঁকে মায়ের সেবা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে গ্রামে ফিরে আসেন।  গরিব আদিবাসী ছেলেমেয়েদের জন্য চালু করেন স্কুল।


ভালো থাকবেন স্যার, আপনাদের জন্যেই রাজনীতি লগ্নভ্রষ্টা হতে হতেও বারংবার বেঁচে যায়। প্রায় বখে যাওয়া রাজনীতি কে আপনাদের মতো সৎ পাত্রে পাত্রস্থ করতে পারলে কোটি কোটি ভারতবাসী ও অনেকটা নিশ্চিন্ত হতে পারে।

প্রোমোটারের 'পুকুরচুরি' রুখতে রাতপাহারায় এলাকার মহিলারা


News H Times:-  বেআইনি নির্মাণের স্বর্গ রাজ্য হাওড়া শহর। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে এই মুহূর্তে হাওড়া শহরে বাস্তু জমি আর নেই বললেই চলে। কিন্তু তাতে কি! জমি হাঙরদের তাই এখন নজর পড়েছে জলাভূমি এবং পুকুরের উপরে।আইনকে কিভাবে বুড়ো আঙুল দেখাতে হয় তা তো বিলক্ষণ জানেন এই কাজের সাথে যুক্ত অসাধু প্রোমোটার চক্র।তার ওপর এদের মাথায় শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের আশীর্বাদের হাত তো থাকেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর  গলায় যখন প্রায়ই শোনা যায় জল ধরো জল ভরো শ্লোগান ,তখন ভাইদের  (পড়ুন,দিদির ভাইদের)  শ্লোগান,পুকুর ধরো পকেট ভরো। 
সম্প্রতি এমনই এক অভিযোগে উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাওড়ার  সাঁকরাইলে।

অভিযোগ, সাঁকরাইল স্টেশনের কাছে একটি তিন বিঘা জলাভূমি ধীরে ধীরে পরিকল্পিত ভাবে ভরাট করার চেষ্টা চলছে। অভিযোগের তির  , রাজনৈতিক  মদতপুষ্ট কিছু অসাধু প্রোমোটারের দিকে।

আরও অভিযোগ,স্থানীয় লোকজন বিষয়টি সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতি , সাঁকরাইল থানা, বিএলআরও ,বিডিও , মৎস দফতর থেকে শুরু করে মন্ত্রী অরূপ রায়ের দফতরে পর্যন্ত চিঠি লিখে জানিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও জলাভূমি ভরাট বন্ধ হয়নি। আর তাতেই রাজনৈতিক মদতের ছায়া দেখছেন এলাকাবাসী। তাই প্রশাসনের ওপর ভরসা না রেখে স্থানীয় মহিলারা এই জলাভূমি রক্ষা করতে নিজেরাই পালা করে ২৪ ঘন্টা পাহারায় বসেছেন।


স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য,এলাকার নিকাশি নালাগুলি এই জলাভূমিতেই গিয়ে পড়েছে।তাই বর্ষাকালে এই এলাকার জল জমা থেকে মুক্তি পেতে এই জলাভূমি ই ভরসা।কিন্তু জলাভূমিটি যেভাবে ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে তাতে এই বর্ষায় এলাকাটি ডুবে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন। অবিলম্বে  এই জলাভূমি ভরাট বন্ধ না করলে এলাকার মানুষ প্রতিবাদে আরও বড় আন্দোলনে  নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।তাদের আরোও অভিযোগ, যেভাবে জলাভূমি টির দুদিক দিয়ে রাবিশ,আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে তাতে কিছুদিনের মধ্যেই ভরাট হয়ে যাবে এই জলাভূমি।



Thursday, May 30, 2019

মনিরুলের বিজেপি যোগে ক্ষোভ বাড়ছে বিজেপির অন্দরেই


News H Times ওয়েব ডেস্ক:- সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামকে ঘিরে এবার বিজেপির অন্দরেই গৃহযুদ্ধ বেঁধে গেল। বুধবার রাতেই ফেসবুকে মণিরুলের যোগদান নিয়ে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত।

এছাড়াও সদ্য বিজেপি সাংসদ হওয়া সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা খাঁ-ও এনিয়ে তীব্র আপত্তি প্রকাশ করেছেন।

যদিও আজ অনুপম তার ফেসবুক একাউন্টে এর পাল্টা তুলোধুনা করেছেন ‌‌‌‌‌তার সমালোচকদের।তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন মনিরুলের বিজেপি যোগের সাথে তার বিন্দুমাত্র কোনও যোগাযোগ নেই।
 প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বীরভূমের পরিচিত বিজেপি নেতা কালোসোনা মন্ডল। বৃহস্পতিবার কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়ে কালোসোনা মন্ডল জানান, 'আমরা মণিরুলকে মানব না। বিজেপিকে এর মাশুল গুণতে হবে।' তাঁর কথায়, এরজন্যে দল ছেড়ে দিতে হলেও তাঁর কোনও অসুবিধা নেই।


একালের 'অগ্নিশ্বর' । রোগী দেখার ফিস নেন মাত্র ৫ টাকা !


News H Times ওয়েব ডেস্ক:- কথায় আছেআছে  ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুঁলে ঠিক কত এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।তবে ডাক্তার ছুঁলে ধরে নিন কমপক্ষে ৮০০-১০০০টাকা ভিজিট তারপর নানান টেস্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যদি শোনেন ডাক্তারের ফিস মাত্র পাঁচ টাকা , নির্ঘাত ভিরমি খাবেন ।কি বললেন, হোমিওপ্যাথি ডাক্তার? না মশাই,রীতিমত পড়াশোনা করা অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার।এককালে মেডিকেল কলেজের লেকচারার ছিলেন।    তিনি কালনার মানুষের কাছে ঈশ্বর, ডঃ শ্রী গৌরাঙ্গ গোস্বামী।আজও নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সেবা করে চলেছেন। রাত দুটো হোক বা   তিনটে  রোগী ফোন করলে কোনো বিরক্ত নেই ওনার। আজকের দিনেও যখন এক ভাঁড় চা মেলে পাঁচ টাকায় তখন একজন এমবিবিএস ডাক্তারের ফিস মাত্র পাঁচ টাকা,বাবা যায়! 5 ইচ্ছে  করলেই তিনি গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে রোগীদের কাছ থেকে নিতেই পারতেন ৫০০ -১০০০ টাকা  অথচ আজও  এক পলক তাকিয়েও দেখেন না রোগীরা কে কি দিলো।

আজকের এই দু:সময়ে একদল অর্থগৃধ্ন্যু চিকিৎসকের জন্য ক্ষ চিকিৎসা নামক শব্দটি যখন সেবার পরিবর্তে  ব্যবসার সমার্থক  হয়ে দাঁড়িয়েছে তখন গৌরাঙ্গ বাবুদের
মতো মানুষ এই অসাড় সমাজে এক অনুসরণযোগ্য ব্যতিক্রম।
তথ্য সহায়তা:-- রিন্টু দাস।





Wednesday, May 29, 2019

বেআইনি নির্মাণের স্বর্গরাজ্য হাওড়া, পর্দা ফাঁস হাওড়া টাইমস 'র


News H Times ওয়েব ডেস্কবে- আইনি নির্মাণের স্বর্গ রাজ্য হয়ে উঠেছে হাওড়া শহর। প্রশাসনের সর্বোচ্চ কার্যালয় এই শহরে অথচ ক্রমশ জতুগৃহে পরিণত হওয়া এই শহরে আইন ভাঙাটাই এখন আইনে পরিণত হয়েছে।
কখনও কেউ শুনেছে, জরিমানা দিলে  বেআইনি নির্মাণ আইনি হয়ে যায়!শিব ঠাকুরের আপন দেশে মাসখানেক আগেও এরকম নিয়ম চালু ছিল হাওড়া পুরনিগমে।তাতে ফল যা হবার হয়েছে।একের পর এক বেআইনি নির্মাণ, থুড়ি, জরিমানা দেওয়া  আইনি নির্মাণ  বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে এই শহরে। জরিমানা নিয়ে বেআইনি কে আইনি করার এই সৎ প্রচেষ্টায় পকেট ভরেছে প্রশাসনের 'আলপিন থেকে এলিফ্যান্ট' সক্কলের।

                     ব্যতাইতলা সংলগ্ন এলাকায়
                     সরু গলির মধ্যেই মাথা তুলেছে
                     বহুতল।সামনেই বরো ৬ কার্যালয়।

বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল আইন অনুযায়ী চারতলা একটি বাড়ির অনুমোদন দিতে গেলে দেখতে হবে  সেখানে সামনে কমপক্ষে ১৫ ফুটের রাস্তা থাকতে হবে। বহুতলের ক্ষেত্রেও আইন স্পষ্ট।অথচ বাম আমল থেকেই আইন ভাঙার যে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি দেখা যেত এখন তা একেবারে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের,বক্স অফিসে হিট।আর তাই বাম আমলের  ১০ ফুট কমতে কমতে আজ দু থেকে আড়াই ফুট গলির মধ্যেও পাঁচতলা বিল্ডিং মাথা তুলেছে। কোনও রকম দূর্ঘটনা ঘটলে দমকলের ইঞ্জিন যেমন ঢুকতে পারবেনা তেমনই আশে পাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে । ক্রমশঃ-



ছবির শ্যুটিংয়ের কারনে ব্যাহত হাসপাতালের পরিষেবা, বিক্ষোভের জেরে বন্ধ শুটিং

News H Times ওয়েব ডেস্ক:- গত ২৫ মে থেকে ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্তে  'বাঁশুরি'  ছবির শ্যুটিং শুরু করেছিলেন পরিচালক হরি বিশ্বনাথ। সেইমতো ২৯ মে বুধবার সকাল ৯টা থেকে জলপাইগুড়ির সদর হাসপাতালের লেপ্রসি বিভাগের সামনে  চলছিল ছবির শ্যুটিং।  স্বাস্থ্য দফতরের প্রয়োজনীয় অনুমতি ছিল।   
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা আটকে শ্যুটিং চলায় এবং শ্যুটিং দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের। কাজে সমস্যা হচ্ছিল হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদেরও।  চিকিৎসায় সমস্যা হচ্ছিল প্রসূতি বিভাগেও। রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান।
তবে রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিক্ষোভের জেরে এদিন  সেই ছবির শ্যুটিং বন্ধ করে দেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল।

পর্বতারোহীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে নেপাল সরকার

রণতোষ মুখোপাধ্যায়:-
শীতে আলিপুর চিড়িয়াখানায় যেমন লাইন লাগে তেমনই এবছর মে জুন মাসে এভারেস্টের চূড়ায় চড়ার ও ভিড় লেগেছে।এবছর পাঁচশোরও বেশি মানুষ এভারেস্ট অভিযানে পা বাড়িয়েছেন।অবস্থা যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে পরের বছর  নেপাল সরকার যদি এভারেস্টে হানিমুন প্যাকেজ ঘোষণা করে আশ্চর্য হবেন না কেউ।

এত গেল প্রদীপের আলোর দিকটা,আর অন্ধকার!
এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন দেশ বিদেশের ১১ জন।আর এই অতিরিক্ত ভিড়ের কারনে স্বপ্নের কাছাকাছি এসেও এভারেস্ট শীর্ষে পৌঁছানোর স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে বহু প্রশিক্ষিত
পর্বতারোহীর। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা বা শারীরিক অক্ষমতার কারণে যদি অভিযান সফল না হয় তা মেনে নেওয়া যায় কিন্তু শুধুমাত্র জ্যামের কারণে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা এবং ফলস্বরূপ অক্সিজেনের অভাবে ফিরে আসতে বাধ্য হওটা মেনে নিতে পারছেন না এবারের মত স্বপ্ন (এভারেস্ট শিখরে আরোহণ) শেষ হওয়া অনেক অভিযাত্রীই।


আর নেপাল সরকার? এভারেস্ট এখন তাদের কাছে সোনার ডিম দেওয়া মুরগি।তাই এভারেস্ট দেখিয়ে পাকা কারবারীর মতো তারা অর্থ কামাতে ব্যস্ত। ৮০০০মিটার উচ্চতায় চড়ার কার প্রশিক্ষণ আছে কার নেই ওসব খতিয়ে দেখার বালাই নেই।ফেল কড়ি মাখো তেল থুড়ি চড় এভারেস্ট।আর এই ঢিলেঢালা
ব্যবস্থায় যখন এভারেস্টে চড়ার ঢল নেমেছে তখন চুটিয়ে ফায়দা তুলছে বিমা সংস্থাগুলো। আবেদন পত্র জমা দিলেই তারা বিমার প্রয়োজনীয় অর্থ নিয়ে নিচ্ছে আর সামান্য অসুস্থতা দেখলেই অভিযাত্রীদের নামিয়ে নিয়ে আসছে। এছাড়াও উপরে ওঠার জন্য ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে দূর্নীতি তো আছেই।
                       ছবিগুলি সংগৃহীত

নেপাল সরকারের এই অরাজকতা নিয়ে আমরা জানতে চেয়েছিলাম হাওড়ার বিশিষ্ট পর্বতারোহী এভারেস্টজয়ী মলয় মুখোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর মতে"নেপাল সরকারের অবিলম্বে এভারেস্টে চড়ার একটা মাপকাঠি বা কিছু নিয়ম মেনে এগনো। শুধুমাত্র টাকা থাকলেই তাকে এভারেস্টে চড়ার পারমিট দিয়ে দেওয়া,সে অন্ততঃ ছয় বা সাত হাজার মিটার ক্লাইম্ব করেছে কিনা তা না দেখেই যাকে তাকে এভারেস্টে চড়ার ছাড়পত্র দিয়ে দিচ্ছে নেপাল সরকার।এই অরাজকতা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।নচেৎ বেড়েই চলবে এই মৃত্যু মিছিল।আর আমি নিজে একজন এভারেস্ট জয়ী হয়েও বলছি এভারেস্ট সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হতে পারে কিন্তু এভারেস্ট জয় সর্বোচ্চ মাপকাঠি কখন ই নয়"।

কি বলছে নেপাল সরকার? তাদের সাফাই, অভিযাত্রীরা স্বেচ্ছায় এভারেস্ট জয় করতে আসেন তাই এই মৃত্যু মিছিলের জন্য তারা দায়ী নয়!



Tuesday, May 28, 2019

হাওড়ায় বেআইনি নির্মাণের রমরমা


পর্বতারোহীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে নেপাল সরকার!


হাওড়ার এই বাড়িতেই এসে থাকতেন উওমকুমার


     
            সত্যনারায়ণ খাঁর হাওড়ার সেই বাড়ি যেখানে
                শুটিং এ এসে থাকতেন উওমকুমার

রণতোষ মুখোপাধ্যায়-বেঁচে থাকলে আজ তিনি ৯২প্লাস, পোর্ট ট্রাস্টের সামান্য চাকুরে থেকে মহানায়কের আসন।৩৯ বছর আগে শেষ হয়েও শেষ না হওয়া  এক স্বপ্নের নায়কের  পথ শেষ না হওয়ার সফর যেন। আপামর বাঙালির  ভাবনায়, আকাঙ্খায়  চিরকালীন নায়ক তিনি। তিনি সর্বোওম ,
উত্তম কুমার।.                                                                                            মহানায়ককে নিয়ে যা লেখা হয়েছে তাতে অপ্রকাশিত কিছু থাকাটা প্রায় অসম্ভব তাই ঐ রাস্তায় পা না বাড়িয়ে এই হাওড়া জেলায় উওম যোগ নিয়ে সামান্য কিছু লেখনীতে  উওম স্মরণ।.                               

 'চন্ডীমাতা ফিল্মস' এর নাম শোনেননি এমন সিনেমাপ্রেমী মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার,'নারায়ণ পিকচার্স 'থেকে 'নন্দন' হয়ে 'চন্ডীমাতা ফিল্মস'যে ব্যানারে বহু জনপ্রিয় বাংলা ছবি নির্মিত হয়েছে। এই' চন্ডীমাতাফিল্মস'এর ব্যানারে একের পর এক সফল ছবি প্রযোজনা করে যিনি সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে ছিলেন তিনি সত্যনারায়ণ খাঁ। হাওড়া জগৎবল্লভপুরের গোহালপোতায় ছিল তাঁর আদিনিবাস আর সেই সূত্র ধরেই মহানায়কের পদধূলি পড়েছিল হাওড়ার অখ্যাত এই গ্রামে।চন্ডীমাতাফিল্মস'এর প্রযোজনায় বিখ্যাত দুই বাংলা ছবি 'সন্ন্যাসী রাজা'ও 'ধন্যি মেয়ে'র  শুটিং হয়েছিল এই গোহালপোতায়। সেই সময়  অনেকদিন এই  গ্রামে  কাটিয়েছেন উত্তমকুমার।স্হানীয় অনেক মানুষের মনে এখনও সেই স্মৃতি উজ্জ্বল।


            সেই মাঠ যেখানে ধন্যিমেয়ে ছবির বিখ্যাত ফুটবল                প্রতিযোগিতা র (হাড়ভাঙা' বনাম সর্বমঙ্গলা') দৃশ্যায়ন            হয়েছিল।.                                   

একই কোম্পানীর প্রযোজনায় উওমবাবু আবারও হাওড়ায় আসেন , এবার  'বনপলাশীর পদাবলী' র শুটিংয়ে ।হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বকপোতায় ,দামোদর সংলগ্ন তীরে সেই বিখ্যাত গান-'দেখুক পাড়াপড়শিতে কেমন মাছ গেঁথেছি --'র দৃশ্যায়ন হয়।               
৩৮ বছরে বাংলা ছবিতে নায়ক অনেকেই এসেছেন তবে মহানায়ক শব্দটি কোনও নামের গায়েই ফিট করেনি আজও।
আসলে তিনি আজও বাংলা সিনেমার শেষ' গুরু',বাঙালী মননে চিরন্তন  হৃদয়নায়ক। 


                          

দিদি ছেড়ে মোদীর শরণ নিতেই কি রাজীব কুমার উওর প্রদেশে!


News H Times ওয়েব ডেস্ক :- গতকাল সকাল ১০টায় রাজীব কুমারকে  সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে  হবে -- এই মর্মে সিবিআই য়ের তরফে   নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও   সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে যাননি রাজীব কুমার। বদলে সিবিআই অফিসারদের সাতদিনের সময় চেয়ে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি জানান,ব্যক্তিগত কাজে তিনি এখন উত্তর প্রদেশে আছেন।

কিন্তু কি সেই কাজ?
একটি বিশেষ সূত্রের খবর,  হেফাজতে যাওয়া আটকাতে রাজীব কুমার উত্তরপ্রদেশে গিয়েছেন বিজেপির সাহায্য নিতে। রাজীবের তরফে যদিও বলা হয়েছে  তিনি পারিবারিক কারণে উত্তর প্রদেশ গিয়েছেন। কিন্তু সিবিআই  জেনেছে, পারিবারিক কোনও কাজে নয়, রাজীব কুমার নিজের হেফাজত যাওয়া আটকাতে চরম গোপনীয়তায় নিজের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে দরবার করার চেষ্টা করেছেন ওই রাজ্যের বিজেপির এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে।

এই খবর পাওয়ার পরই তৎপরতা  বেড়েছে সিবিআই এর তরফে।  শোনা যাচ্ছে, রাজীবকে সিবিআই  সাত দিন সময় দিচ্ছেনা।  সিজিওতে তলব করে ফের নোটিস পাঠানো হচ্ছে তাঁকে।
এদিকে, মঙ্গলবার সিবিআই  রাজ্য পুলিশের 'সিট'-র অন্যতম তদন্তকারী আধিকারিক প্রভাকর নাথকে তাঁদের দফতরে তলব করেন। প্রভাকর সারদা তদন্তের সময়ে ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি নিউটাউন থানায় কর্মরত। এ দিন তাঁর কাছে ওই সময়ের তদন্ত সংক্রান্ত কিছু নথি চাওয়া হয়েছে।

দীর্ঘ টালবাহানা পেরিয়ে সারদা তদন্ত আবারও গতি পেয়েছে,এখন দেখার ,সেই গতির ধারা জারি থাকে নাকি আবারও রাজনীতির কানাগলিতে পথ হারায়।



দিল্লীতে গণ যোগদান তৃণমূলের বিধায়ক এবং কাউন্সিলরদের


News H Times ওয়েব ডেস্ক:-  একটা-দুটো নয়, চারটে পুরসভা তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর ও নৈহাটির সিংহভাগ কাউন্সিলর যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে।
দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় দাবি করলেন, কাঁচরাপাড়া পুরসভা ২৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৭ জনই এলেন বিজেপিকে। হালিশহর পুরসভার ২৩জন কাউন্সিলরের মধ্যে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান-সহ ১৭ জনই শিবির বদল করলেন। নৈহাটি পুরসভার ৩১টি ওয়ার্ড রয়েছে। তার মধ্যে ২৯জন কাউন্সিলরই গেরুয়া শিবিরে চলে এসেছেন। ফলে অঙ্কের নিয়মে তিনটি পুরসভাতেই এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি।

মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুও এদিন যোগ দেন বিজেপি তে।

তৃনমূল কে বড় ধাক্কা অর্জুনের, ভাটপাড়া পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজেপির,


News H Times ওয়েব ডেস্ক:- মঙ্গলবার অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ৮ কাউন্সিলর।  । ফলে ভাটপাড়া পুরসভা বিজেপির দখলে যাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।  ৩৪ আসনের ভাটপাড়া পৌরসভায় বর্তমানে বিজেপির দখলে ১৯টি ওয়ার্ড। তৃণমূলের ১৪টি।   দলবদলকারী কাউন্সিলরদের দাবি, তারা আগেই বিজেপিতে যোগদান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের চাপে করতে পারেননি। তাই লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর বিজেপিতে যোগদান করলেন তাঁরা।

লোকসভা ভোটে জয়ের পর  ব্যাকারপুর শিল্পাঞ্চলে  ফের একবার  তৃণমূলকে  বড় ধাক্কা  দিলেন  অর্জুন সিং।


হাওড়া শ্যামপুরে বাছরী যুব সংঘে মা সাজবেন রেশমী সুতোর সাজে

অর্পণ দাস:  হাওড়া গ্রামীণ অঞ্চলের শ্যামপুর থানার বাছরী গ্রামের "বাছরী যুব সংঘের" সার্বজনীন দুর্গোৎসবের এবছর ৫৩ তম বর্ষ । বিগত...