দেবাশীষ তালুকদার:- রুই কাতলার মতো হুগলির মগরাতে পুকুরে বড় হচ্ছে ইলিশ মাছ।
শুনতে আশ্চর্য লাগলেও হুগলি জেলার মগরাতে রুই, কাতলার সঙ্গেই বেড়ে উঠছে দশ লক্ষ ইলিশ মাছের চারা। একেকটির বয়স প্রায় আঠারো মাস। ওজন হয়েছে প্রায় পাঁচশ গ্রাম।
হুগলি জেলার মগরার বাসিন্দা চন্ডীচরণ চট্টোপাধ্যায়ের রয়েছে প্রায় ৫৯ একরের একটি হ্যাচারি। সেই হ্যাচারিতেই ডিম থেকে ইলিশের পোনার জন্ম। এখন সেই পোনাগুলোই বড় হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছে গঙ্গার দুই মোহনা ডায়মন্ডহারবার ও খড়গপুরের কাছে গঙ্গায় ইলিশ ছাড়া হবে। ।
রাজ্যের ইলিশ বিষেশজ্ঞরা বলছেন, গঙ্গায় যেহেতু জোয়ার-ভাটা হয়, তাই ইলিশের ওজনও দ্রুত বাড়ে। গঙ্গায় আঠারো মাসে একটি ইলিশের ওজন হয় প্রায় এক কেজির কাছাকাছি। এই হ্যাচারিতে ইলিশের ওজন হয়েছে মাত্র পাঁচশো গ্রাম।
কিভাবে এটা সম্ভব হলো? সেটাই জানিয়েছেন চন্ডীচরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালের জুলাই মাসের এক দুপুরে তিনি হাজির হলেছিলেন সল্টলেকের মীন ভবনে। মত্স্য দফতরের কর্মকর্তাদের তিনি একটি প্রস্তাব দেন।
সে সময় তার কথা শুনে কেউ তেমন গুরুত্ব দেননি। তবে কথাটা কানে আসতেই চন্ডীবাবুকে নিজের ঘরে ডেকে নেন চন্দ্রনাথ সিনহা। সব শুনে সরকারি সাহায্যর প্রতিশ্রুতি দেন। আর ফিরে তাকাতে হয়নি চন্ডীবাবুকে।
সরকারি সহায়তা আর অদম্য সাহস নিয়ে পুকুরের মিঠা জলেতেই নোনা ইলিশ চাষ করে দেখিয়েছেন তিনি। স্বাদ আর গন্ধেও কোন পার্থক্য নেই বলে দাবি তার। চন্ডীবাবু বলেন, ‘ইলিশ উত্পাদনে স্বাবলম্বী হতে হবে। এমনটাই জেদ চেপেছিল মাথায়। আজ আমি সেটা করে দেখিয়েছি। সত্যিই আমি খুব খুশি।’
সাহায্যে- ইন্টারনেট