News H Timesওয়েব ডেস্ক:- মুড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে সোডিয়াম হাইড্রো সালফাইড। পাশাপাশি চলছে ইউরিয়া সারের যথেচ্ছ ব্যবহার।আর এই দুয়ের বিষাক্ত যাঁতাকলে পড়ে স্বাস্থ্য শিকেয় মুড়ি তেলেভাজা প্রিয় বাঙালির।মুড়ি তেলেভাজা ই বা শুধু বলি কেন,শরীর খারাপে তো জল মুড়ি চিনি আজও বাঙালির পয়লা নম্বর পথ্যি।অভিযোগ রয়েছে।
কমবেশি সর্বত্রই মুড়ি তৈরীতে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর সোডিয়াম হাইড্রো সালফাইড মেশানো হচ্ছে।
কিন্তু কেন!
সোডিয়াম হাইড্রো সালফাইড মেশানোর কারণে মুড়ি স্বাভাবিকের থেকে বেশি পরিমাণ ফুলেফেঁপে ওঠে। সাদা চকচকে হয়। ক্রেতাকে আকর্ষণ করে বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইড্রোজ একটি শক্তিশালী ক্ষারীয় পদার্থ। এটি পেটে গেলে মানব দেহে রক্তের শ্বেতকনিকা, হিমোগ্লোবিনের কার্যকারিতা নিয়ে ধিরে নষ্ট করে দেয়। আর এভাবেই ভেজাল দেওয়া মুড়ি প্রতিদিন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠছে। অনেকক্ষেত্রেই মুড়ি খাওয়ার ঠিক পর পরই মুখ টক হয়ে যায় আবার কখনো বা মুড়ি মুখে দিলেই এক ধরনের তেতো স্বাদ অনুভূত হয়।
এর কারণ, মুড়ি ভাজতে সাধারণত লবণ ও জলের মিশ্রণের প্রয়োজন হয়। এই লবণ মিশ্রিত জল মুড়িতে মেশানোর সময় হাইড্রোজ মিশিয়ে দেওয়া হয়। মুড়ি ভাজার সঙ্গে এই হাইড্রোজ মেশানোর কারণে মুড়ি বেশি পরিমাণ ফুলে ফেঁপে ওঠে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুড়িতে এভাবে হাইড্রোজ মেশানো মানব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যদিও খাদ্যে এভাবে হাইড্রোজ মেশানো নিষিদ্ধ কিন্তু বেশি মুনাফার লোভে সর্বত্র এভাবেই মুড়ি ভেজে বিক্রি করা হচ্ছে।হাওড়া,হূগলি সহ বিভিন্ন জেলায় মুড়ি ভাজার কারখানাগুলিতে রমরমিয়ে চলছে এই ভেজাল মেশানোর কাজটি। প্রশাসনের নজরদারি এক্ষেত্রেও শূন্য।
রমজানের মাসে মুড়ির চাহিদা বেড়ে যায় তাই আগে থেকেই প্রয়োজনীয় মুড়ি ভেজে বাজারে সাপ্লাই দেয় কারখানা গুলি।রমজানকে সামনে রেখে এসব কারখানাগুলিতে জোর কদমে চলে ভেজাল মেশানো মুড়ি র রমরমা কারবার।
কারখানায় ভাজা মুড়ির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আড়তদারদের প্ররোচনায় ঘরে ভাজা মুড়িতেও মিশছে এই বিষ। প্রতিযোগিতার বাজারে মুড়িকে আকর্ষণীয় করতে মুড়ি বেপারি এবং আড়তদারদের চক্রান্তে না বুঝে ঘরে ঘরে মুড়ি শ্রমিকরা লবণের বদলে চালে ইউরিয়া মিশিয়ে মুড়ি তৈরি করছেন।
এক কেজি ইউরিয়ায় প্রায় ১৬০ কেজি মুড়ি ভাজা হয়। লবণের দাম বেশি হওয়ায় আর বেপারি আড়তদারদের চক্রান্তে মুড়ি ভাজা চালে ইউরিয়া মিশিয়েই এখন মুড়ি ভাজা হচ্ছে।
ভেজাল মেশানো মুড়ি চেনার সহজ উপায় হলো এ ধরনের মুড়ির শরীরে অসংখ্য ছিদ্র থাকে, দেখতে খুব সাদা রঙের হয়। ৫০০বা ১ কেজির প্যাকেটে যে মুড়ি বিক্রি হয় তাতে এই ধরনের মুড়ি বেশি বিক্রি হয় বলে অভিযোগ।
তাই ধবধবে ফর্সা গোলগাল চেহারার মুড়ি না কিনে লালচে খেঁকুড়ে চেহারার মুড়ি কিনুন।
No comments:
Post a Comment