Tuesday, April 30, 2019

শিকাগো নয়, শ্রমিকের অধিকার আন্দোলনের আঁতুড়ঘর হাওড়া



রণতোষ মুখোপাধ্যায়:-আমরা সবাই জানি, এখন থেকে ১৩৩ বছরের ও আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করার অধিকার কায়েম করতে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, তারই রক্তাক্ত পরিণতি ঘটে পুলিশের গুলিতে, ৪ মে ১৮৮৬সালে।

এই রক্তাক্ত আত্মত্যাগের ভেতর দিয়েই তারা অর্জন করে দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রমদানের অধিকার। এই আত্মত্যাগকে চিরস্মরণীয় ও মহিমান্বিত করার লক্ষ্যে ’বিশ্ব শ্রম দিবস’ পালনের রেওয়াজ চালু হয় ১৮৯০ সাল থেকে।

 তবে যে ইতিহাস অজ্ঞাত তা হল , ১৮৮৬র অনেক আগেই ১৮৫২'র ১লা মে হাওড়ায় প্রথম  শ্রমিক আন্দোলন সংগঠিত হয় এবং সেই আন্দোলনে শহিদ হয়েছিলেন পাঁচজন।এই পয়লা মে-র কথা কিন্তু নেইই ইতিহাস বইয়ের পাতায়।

১৮৫৪ সালের ১৫ অগাস্ট হাওড়া ও হুগলীর মধ্যে চলেছিল প্রথম ট্রেন।সকাল সাড়ে আটটায় হাওড়া স্টেশন ছেড়ে ৯১ মিনিটে হুগলী পৌঁছেছিল ট্রেনটি।                                 (পিছিয়ে আসি তার দুবছর আগে)
সালটা ১৮৫২ ।  পুরাদস্তুর কাজ চলছে সেই রেল লাইন পাতার । কোম্পানি সেই রেলপ্রকল্প রূপায়ণে শ্রমিকদের খাটিয়ে নিচ্ছিল  অমানুষিক ভাবে । কোনো সময় নেই কাজ করার , বিশ্রাম নেই। খাবার ও অপর্যাপ্ত ।একের পর এক শ্রমিক  অসুস্থ হয়ে পড়লেন । অবস্থা দেখে কোম্পানির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন  এদের সুপারভাইজার গণেশ ভট্টাচার্য ।গণেশ বাবুর অনমনীয় মনোভাবে  অত্যাচার  কিছু টা কমায় কোম্পানি । তবু অদম্য গণেশ ভট্টাচার্য ।তার নেতৃত্বে লোকোমোটিভে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে।অবস্থা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে চার্লস” (পুরো নাম পাওয়া যায় নি) নামের এক ইংরেজ  গুলি চালিয়ে হত্যা করে ৫ জন শ্রমিককে।
এরপর শ্রমিকদের রক্তমাখা মেরজাই তুলে ধরে গণেশ ভট্টাচার্য এক দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন ।


তাই   মে দিবস প্রথম শিকাগোর হে মার্কেটে নয় ,
শ্রমিকের অধিকার অর্জনের লড়াই প্রথম  শুরু হয়েছিল এই পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া তে। ১৮৮৬র অনেক আগেই ১৮৫২য় ১লা মে হাওড়ায় শ্রমিক আন্দোলনে শহিদ হয়েছিলেন পাঁচজন।
কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এই পয়লা মে-র কথা আমাদের ইতিহাসের পাতায় নেই। গণেশ ভট্টাচার্যের নামও নেই । ৩৬ বছর পর শিকাগোর ঘটনা ইতিহাসে আছে, কিন্তু ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই শ্রমিকরা  এখনও অজ্ঞাত এবং অবহেলিত।

তথ্য ঋন:-দুঃখহরণ ঠাকুর চক্রবর্তী।







মাঝপথে থমকে পিয়ালীর এভারেস্ট শিখর ছোঁয়ার স্বপ্ন


রণতোষ মুখোপাধ্যায়:-চন্দননগরের পিয়ালী এভারেস্ট শীর্ষে আরোহণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন বেশ কয়েকদিন আগে। দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা এই  নির্ভয়া অত্যন্ত লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এভারেস্ট অভিযানের জন্য পা বাড়িয়েছেন।নিজের বাসস্থানটুকুও বন্ধক দিয়েছেন।প্রসঙ্গত,নিয়মানুযায়ী সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও তা পাননি পিয়ালী।যুবকল্যাণ দপ্তরের অধীনে ওয়েস্ট বেঙ্গল মাউন্টেনিয়ারিং এ্যান্ড এডভেঞ্চার স্পোর্ট ফাউন্ডেশন থেকে সাহায্যের আসায় বসে না থেকে পিয়ালী সাধারণ মানুষের থেকে সাহায্যের (ক্রাউড ফান্ডিং) আবেদন করেন।সাড়াও  মেলে।বাংলার বহু মানুষ পিয়ালী র ডাকে সাড়া দিয়ে পিয়ালী র পাশে এসে দাঁড়ান।  এই ভাবে সংগ্রহিত অর্থের পরিমাণ  দাঁড়ায় প্রায় ৬ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা। তার মধ্যে ৬  লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই এজেন্সি র হাতে তুলে দিয়েছেন পিয়ালী। সেই টাকা হাতে পাবার পর ই এজেন্সি তাকে বেস ক্যাম্পে পৌঁছে দেয়।আগামী ৪ ই মে র মধ্যে আরও প্রায় ৪ লক্ষ টাকা দিতে হবে এজেন্সি কে। তবেই বেস ক্যাম্প থেকে ক্যাম্প ওয়ানে পৌঁছতে পারবে পিয়ালী।না হলে এভারেস্ট শিখর ছোঁয়ার স্বপ্ন অসমাপ্ত রেখে পিয়ালী কে ফিরতে হবে সমতলে।তাই পিয়ালী আবারও  ক্রাউড ফান্ডিং এর অপেক্ষায়।


পিয়ালীর উৎসাহ দেখে এজেন্সি খরচ কমিয়েছে অনেকটাই।এখন দেখার, সাধারণ সামানুষের সাহায্যে প্রথম কনিষ্ঠা বাঙালি কন্যা হিসাবে পিয়ালী তার স্বপ্নের শিখরে পৌঁছতে পারে পারে কিনা।


Monday, April 29, 2019

চলন্ত টোটোর ব্যাটারি ফেটে বিস্ফোরণ

NHTওয়েব ডেস্ক: পরিবেশ বান্ধব এবং আরামে যাওয়া যায় , পোঁছে যাওয়া যায় গন্তব্যের দোরগোড়ায়।এসব কারণেই টোটো এখন মানুষজনের প্রিয় বাহন।কিন্তু সে বাহন ও আর নিরাপদ রইলনা।  এবার চলন্ত টোটো তে বিস্ফোরণ। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে হুগলির তারকেশ্বর এলাকায়। ব্যাটারি ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে টোটোয়। তার জেরেই আগুন ধরে যায় টোটো টিতে।কার্যত ভস্মীভূত হয়ে যায় টোটোটি।

ঘটনার সময়  টোটোয় একজন মাত্র যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন।ঘটনাস্থলের সামনেই ছিল বাজিতপুর দমকল অফিস। সেখান থেকে কর্মীরা এসে তত্পরতার সঙ্গে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তাই বড়সড় দূর্ঘটনা এড়ানো গেছে ‌‌ এ যাত্রায়।

         
                         For Advertising
                         Contact 8910463117

Sunday, April 28, 2019

প্রয়াত ' ' এশিয়ান পেলে' পি কান্নন


‘তুমি প্লেয়ার আছো না ম্যাজিসিয়ান আছো?’

সঞ্জীব মুখার্জি:- ১৯৬৬ সালে তিনি এসেছিলেন মোহনবাগানে। ষাটের দশকের প্রথমার্ধে যে দুর্দান্ত প্রতাপ মোহনবাগান দেখিয়েছিল তা তখন কিছুটা স্থিমিত হয়ে গেছে। এই দশকে লিগ, ডুরান্ড, শিল্ড একাধিকবার জিতলেও জেতা হয়নি রোভার্স কাপ। সেই ১৯৫৫ সালের পর আর মোহনবাগান তাঁবুতে ঢোকেনি এই ট্রফি।১৯৬৪ আর ১৯৬৫ তে ফাইনালে উঠেও মোহনবাগান হেরে গিয়েছিল যথাক্রমে বি এন আর এবং মফতলালের কাছে।   মোহনবাগানে রোভার্স কাপ আবার এল ১৯৬৬-১৯৬৭ মরশুমে। সেবার ফাইনালে মোহনবাগান মুখোমুখি হয়েছিল ভাস্কো ক্লাবের। ফাইনালে মোহনবাগানের প্রাধান্য ছিল একতরফা। খেলার সতেরো মিনিটে সুকুমার সমাজপতি এবং পুঙ্গম কান্নন নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া করে ভাস্কোর সীমানায় ঢুকে পড়েন। প্রায় ত্রিশ গজ দূর থেকে কান্নন তীব্র শট নিলেন। বল ক্রসপিসে লেগে ভাস্কোর গোলকিপার এঞ্জেলোকে পরাস্ত করে ঢুকে যায় গোলে। ঐ গোলেই খেলার মীমাংসা। দীর্ঘ ১২ বছর পরে আবার রোভার্স কাপ এল মোহনবাগানে।
শুধু এই একবারই নয়। তাঁর গোলে মোহনবাগান রোভার্স জিতেছে ১৯৭১-৭২ মরশুমেও। সেই ভাস্কো ক্লাবকেই হারিয়েই। খেলার বিরতির আগে শ্যামসুন্দর মান্নার থ্রু বল সুকল্যাণ ঘোষদস্তিদারের পা ঘুরে কান্ননের কাছে আসতেই তিনি বল জালে জড়িয়ে দেন।
১৯৬৬-৬৮, ১৯৭১, ১৯৭৩-৭৫ মোহনবাগানে খেলেছেন কান্নন। তাঁর পরিচিত হয়ে গিয়েছিল ‘এশিয়ান পেলে’ বলে। তাঁর ড্রিবলিং দেখে মুগ্ধ হয়ে একবার অমিতাভ বচ্চন বলেছিলেন, ‘তুমি ফুটবলার আছো না ম্যাজিসিয়ান আছো?’
কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা যারা ষাটের দশকের শেষভাগে খেলা দেখেছেন তাঁরা ভুলতে পারবেন কান্ননকে? মনে আছে সেই শ্লোগান, ‘সব ট্রফি বারবার, অমৃতবাজার একবার’। হ্যাঁ একবারই হয়েছিল। অমৃতবাজার সেন্টিনারি ট্রফি। অমৃতবাজার পত্রিকার শতবর্ষ উপলক্ষে ১৯৬৮ সালে।মোহনবাগান, মহামেডান আর ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে। প্রথম খেলায় পরিমল দে-র গোলে মহামেডান স্পোর্টিংকে হারাল ইস্টবেঙ্গল। একদিন পরেই মোহনবাগানের সাথে মহামেডানের খেলা। মোহনবাগান পিছিয়ে পড়ল দু’গোলে। মহামেডানের সাদাতুল্লা ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন সেদিন। একাই দুটি গোল করলেন। মোহনবাগানকে খেলায় ফেরালেন কান্নন। সীতেশ দাসের তোলা উঁচু বল মহামেডান গোলকিপার মুস্তাফা ঠিকমতো ফিস্ট করতে পারেননি। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুলচুক করেননি কান্নন। মোহনবাগানের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি শোধ করলেন নঈমুদ্দিন। ২-২ ড্র।
শেষদিন মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি। ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানকে জিততেই হবে। প্রথমার্ধ গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে জটলার মধ্যে থেকে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন অরুময়নৈগম। ইস্টবেঙ্গলের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতলেন কান্নন। খেলা শেষ হওয়ার সামান্য সময় আগে বল ধরে এগিয়ে চললেন তীব্র গতিতে। থঙ্গরাজ বাঁধা দিতে এগিয়ে এলে বল ঠেললেন গোলে। পোস্টে লেগে বল আশ্রয় নিল জালে।মোহনবাগানও অমৃতবাজার শতবর্ষ কাপ জয় নিশ্চিত করল।
ভারতীয় দলেরও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৬৬ সালে ব্যাংকক এশিয়ান গেমসে। ১৯৬৮তে মারডেকাতে। ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে তাঁর কিছু গোলও আছে। 
বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন কান্নন। আজ সন্ধ্যায় চলে গেলেন।

সৌরভের হাত ধরে ৭ বছর পর প্লে-অফে দিল্লি



 News H Times ওয়েব ডেস্ক:- গত বারের খরা কাটিয়ে প্লে-অফের রাস্তা পাকা করল দিল্লি! যে দলটা গতবারও সবার শেষে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল সেই দলই এবার সবার শীর্ষে। গতবার ১৪টি-র মধ্যে স্রেফ ৫টি ম্যাচেই জয় পেয়েছিল যারা এবার ২ ম্যাচ বাকি থাকতেই ১৬ পয়েন্ট নিয়ে একাবারে শীর্ষে  তাঁরাই। চেন্নাইয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে এবার প্লে-অফের জায়গা নিশ্চিত করেছে দিল্লি ক্যাপিটালস।  রান রেটে ধোনিদের থেকেও এগিয়ে তাঁরা।

অনুব্রত মণ্ডল কে নজরবন্দী করল নির্বাচন কমিশন

NHT ওয়েব ডেস্ক:- ভোটগ্রহণ শুরুর কয়েকঘণ্টা আগে ভোট কর্মী দের দাবি মেনে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করল নির্বাচন কমিশন। শনিবার সন্ধ্যায় কমিশন থেকে প্রশাসনের কাছে এই নির্দেশ আসে। নির্দেশে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নজরবন্দি থাকবেন অনুব্রত।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও নজরবন্দি করা হয় অনুব্রতকে। সেই প্রথম ভোটে কাউকে নজরবন্দি করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।
 
         মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত  অনুব্রতর সঙ্গে থাকবেন কমিশনের প্রতিনিধি ও আধাসেনা। নিয়ন্ত্রিত হবে তাঁর গতিবিধিও। 

মোদির বিরুদ্ধে মনোনয়ন পেশে বাধা কৃষকদের

NHT ওয়েব ডেস্ক: বারাণসী কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন দেশের অনেক গরিব কৃষক। কিন্তু তাদের মধ্যে ৫০ জন কৃষক মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তাঁদের রীতিমতো হুমকিও দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের তির উত্তরপ্রদেশের গোয়েন্দা অফিসারদের দিকে। এই সবকিছুই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশেই হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তেলেঙ্গানা স্টেট টারমারিক ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কোটাপাটি নরসিমা নায়ডু।
তাঁর অভিযোগ, তেলেঙ্গানার বিভিন্ন প্রান্তের ৫০ জন কৃষক শনিবার নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিতে বারাণসী পৌঁছান। বারাণসীর স্থানীয় কৃষকদের তাঁরা প্রার্থী পদের প্রস্তাবক হওয়ার কথা বলেন। তারপর থেকেই পদে পদে বাধা আসতে থাকে বলে অভিযোগ।

তবে এত প্রতিকূলতার পরেও তাঁরা মাথানত করবেন না বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। তাঁদের কথায়, 'আমরা কারও বিরোধিতা করতে চাই না। আমরা শুধু আমাদের সমস্যার কথা তুলতে ধরতে চাই।'

বিরিয়ানিতে এবার বিড়ালের মাংস মেশানোর অভিযোগ

NHT ওয়েব ডেস্ক:-  বালাজিনগরের একটি এলাকা।   এলাকাটি অদিবাসি অধ্যুষিত।   সেখান থেকে রহস্য জনকভাবে উধাও হয়ে  যাচ্ছিল একেরপর এক বেড়াল। একজন বাসিন্দা অভিযোগ করে যে বিগত কয়েকদিন ধরে উধাও হয়ে যাচ্ছে তার এবং প্রতিবেশিদের  বেড়াল।  থেকে  থেকে এই উধাও হওয়ার ঘটনাটি বাড়তে থাকে। ফলে তদন্তে নামে পুলিশ। নেমে তারা জানতে পারে যে বেড়াল চুরি করছে অদিবাসিদের ই  একাংশ।
বেশ কয়েকজনকে হেপাজতে নিয়ে জেরা করে পুলিশ। জেরা করাতে জানা যায় বেড়াল গুলিকে তারাই চুরি করেছে। চুরি করা বেড়াল গুলো কোথায় বিক্রি করা হচ্ছে এই ব্যাপারটা জানতে চাওয়াতে তাদের মধ্যে একজন নাম নেয় বিরিয়ানির বেশ কিছু দোকানের।
চেন্নাই শহরের বেশ কিছু জায়গা যেমন পাল্লাভারাম, আবাদি, পুম্পেজিল, কান্নিকাপুরাম এবং আরো কিছু জায়গাতে চালানো হয় লাগাতার তল্লাশি অভিযান। এই অভিযান চালানোয়  উদ্ধার  হয় ১২টি বেড়ালের মৃতদেহ।

 চেন্নাইতে পর পর সাত দিন পুলিশি অভিযানে বিরিয়ানির দোকান থেকে উদ্ধার করা হয় এই ১২ টি বেড়াল।ঐ‌ দোকানগুলিতে  বিরিয়ানির দাম বেশ কম তাই বেচাকেনাও হচ্ছিল জবরদস্ত।
কি বললেন,বেড়ালগুলো‌ ওখানে  কি করছিল!ভাগাড় কান্ড ভুলে গেলেন নাকি!

Saturday, April 27, 2019

সারেনি রেফার রোগ,৫ হাসপাতালে ঘুরেও মিলল না চিকিৎসা


N H T ওয়েব ডেস্ক:-২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরানোর অভিযোগ। হাওড়ার বালির রাজচন্দ্রপুরের বাসিন্দা পেশায় কনডাক্টর সঞ্জয় নাথ। পরিবারের দাবি, শুক্রবার তাঁকে মারধর করেন বাসের চালক। ঘাড়ে গুরুতর আঘাত পান বছর ছত্রিশের সঞ্জয়। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। অভিযোগ, গতকাল সেখান থেকে রোগীকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এরপর পাঠানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখান থেকে রেফার করা হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে ফেরানোর পর নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। তবে সেখানে গিয়েও সুরাহা হয়নি রোগীর। সেখান রোগীকে ভর্তি নেওয়া তো হয়নি  উল্টে বিনা চিকিত্সায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে রয়েছেন রোগী,এমনটাই অভিযোগ পরিবারের।

হাওড়ার চারমন্দির, অজানা ইতিহাসের নির্বাক আত্মকথা


                               ছবি:-পল্লব ভৌমিক



ছবি:-আকাশ দাস


মোদীর চাপে মৃত্যু হয়েছে সুলতান আহমেদের, বিস্ফোরক মমতা

 NHTওয়েব ডেস্ক:-প্রাক্তন সাংসদ সুলতান আহমেদের মৃত্যুতে নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার পাঁচলায় ভোটপ্রচারে তৃণমূল নেত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদী কম মানসিক নির্যাতন তো লোককে করেনি! কেউ সহ্য করতে পারে কেউ পারে না।
মমতার কথায়, ''অনেক মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে দেখালেও অনেক ক্ষেত্রে অস্বাভাবিককে স্বাভাবিক বলে দেখানো যায়''।



পাঁচলার সভায় মমতা আরও বলেন,''সুলতানের মৃত্যুর বয়স হয়নি। কিন্তু কতগুলো মানসিক নির্যাতন! বিজেপি তো কম  নির্যাতন লোককে করেনি।

গোটা দেশে নিষিদ্ধ জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি শ্যাম্পু !



NHTওয়েব ডেস্ক:-  ব্যবহার করা যাবে না জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি শ্যাম্পু! সম্প্রতি, রাজস্থানের ড্রাগস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন শ্যাম্পুর নমুমা পরীক্ষা করে জানিয়েছে, শ্যাম্পুটি একেবারেই নিরাপদ নয়, শ্যাম্পুর ব্যবহারে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে শিশুর। পাশাপাশি রাজস্থানের পর্যবেক্ষক সংস্থা আরও জানিয়েছে যে শ্যাম্পুর নমুনায় ক্ষতিকর ফর্মালডিহাইড মিলেছে। কাজেই পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পর্যন্ত নির্দেশ অনুযায়ী এই পণ্যের বিক্রয় বন্ধ রাখতে হবে প্রতিটি রাজ্যগুলিকে।এমন ই নির্দেশ দিয়েছে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইট (NCPCR)।

 যদিও প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি শ্যাম্পু একেবারেই নিরপদ এবং সমস্তরকম নিয়ম মেনেই তা তৈরি হয়েছে। 

Friday, April 26, 2019

হাওড়ার রূপসা ই "কে তুমি নন্দিনী"র নায়িকা

রণতোষ মুখোপাধ্যায়:-চারদিকে এখন শুধু ভোটের প্রচার।তার ই মধ্যে আজ ২৬এপ্রিল মুক্তি পেল বাংলা কমার্শিয়াল ছবি  'কে তুমি নন্দিনী'।ছবিতে লিড রোলে নায়িকার ভূমিকায় টেলিভিশন থেকে উঠে আসা অভিনেত্রী রূপসা মুখোপাধ্যায়।রূপসা আদতে হাওড়া আন্দুলের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতায় থাকে।


 এই ছবিতে রূপসা একজন   টমবয়িশ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন যদিও রূপসার দাবি ,তিনি একটু বেশিই মেয়েলি।তাই এই চরিত্রটা তার কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। নন্দিনী চরিত্রে প্রেম বলে কিছু নেই।সে খেলাধুলা করতে ভালোবাসে,ভালোবাসে বাচ্চাদের সাথে খুনসুটি করতে। পুতুলপিসি ই তাকে বোঝায় ,বাঁচতে গেলে প্রেম চাই,চাই প্রেমের মানুষ। এরপরই নন্দিনী সেই প্রেমের মানুষকে খুঁজতে বেরোয়।সে কি খুঁজে পাবে তার ভালোবাসার মানুষ কে নাকি একতরফা প্রেমের শাস্তি পাবে নন্দিনী?কে তুমি নন্দিনী তাই একাধারে  নন্দিনীর জার্নি আবার লাভ স্টোরি ও। এ ছবির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর রুদ্রনীল ঘোষ।ছবিতে একটি ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় ও করেছেন তিনি। নায়কের চরিত্রে বনি সেনগুপ্ত। এ ছবিতে তিনি সমাজকর্মী কাম ফিটনেস ট্রেনার।"ভালোবাসা ভালোবাসা","এসো মা লক্ষ্মী" সিরিয়ালে কাজের পর একেবারে বড়পর্দায়।নতুন জুটি,নতুন গল্প বাকিটা দর্শকদের হাতে।



রক্তাল্পতায় ভুগছে শহর, এগিয়ে এল পিজি

 NHT ওয়েব ডেস্ক:-  একে গ্রীষ্মকাল তারওপর লোকসভা ভোট।এই দু এর যাঁতাকলে পড়ে রক্ত সংগ্রহে যেমন ভাটা পড়েছে তেমনই ব্লাড ব্যাংক গুলি ও  তীব্র রক্ত সংকটে ভুগছে।সেই সঙ্কট মোকাবিলায় এবার এগিয়ে এল  পিজি। পিজির সুপার,অধিকর্তা থেকে শুরু করে কর্মচারী,ছাত্র ছাত্রী গতকাল হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংএর সামনের চত্বরে নিজেদের আয়োজনে করা রক্তদান শিবিরে রক্ত দিলেন।৫০০ ইউনিট লক্ষমাত্রা ধরে শুরু করে দেখা গেলো দিনের শেষে রক্তদান শিবির থেকে সংগৃহীত হয়েছে প্রায় ৭০০ ইউনিট রক্ত। সংগৃহীত রক্তের সিংহভাগ ই নিজেদের ব্লাড ব্যাঙ্কের চাহিদা মেটাতে ব্যাবহার করা হবে বলে পিজি সূত্রে জানানো হয়েছে।



NHT ওয়েব ডেস্ক:- তারাপীঠের পর এবার পুরীর মন্দিরে পুজো দিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার, সকালে তাঁকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য  ঢুকতে দেখা যায়। এদিন মন্দিরে ঢোকার সময় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে  ছিলেন মন্দিরের মুখ্য দৈতাপতি রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্র। 

তিনি অসুস্থ তাই এদিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।  সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে শুধু এটুকুই বলেন, ''মানত ছিল সেকারণেই পুজো দিতে এসেছেন।''পুজো শেষে ব্রাম্ভন ভোজনের ও আয়োজন করেন এই অভিনেতা।


বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন
৮৯১০৪৬৩১১৭


Thursday, April 25, 2019

আইনের হাত যখন সংবাদমাধ্যমের কলার ধরে


  রণতোষ মুখোপাধ্যায়:-  খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের হেনস্থার শিকার হতে হয় মাঝেমধ্যেই।পাড়ার গুন্ডা বা রাজনৈতিক দাদাদের থেকেই সচরাচর এই ধরনের ব্যবহার আমরা পেয়ে থাকি।কিন্তু তার জন্যে কর্মবিরতি পালন করিনা পরেরদিন। ওই বড়জোর  কালোব্যাজ পরে মৌন মিছিল আর প্রেস ক্লাবের লিখিত বিবৃতিতেতেই সব শেষ।কারণ আমরা অসংগঠিত শ্রমিক। আমাদের কোনও সংগঠন নেই আর মারধর খাওয়াটা তো  আমাদের প্রফেশনাল হ্যাজার্ড।
গতকালের ঘটনায় সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনাটা একটু অভিনব এই কারণেই ,আঘাতটা এসেছে আইনজীবীদের থেকে।বলা ভালো , আইন নিজেই নিজের হাতে আইন তুলে নিয়েছে।
গতকালের ঘটনায় এক  সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের  প্রতিনিধি আহত হয়েছেন তাই হোক প্রতিবাদ গোছের ভাবনা বা নিন্দার ঝড় একটু বেশিই বইছে সোশ্যালমিডিয়ায়। জেলার কোনও সাপ্তাহিক বা পাক্ষিক সংবাদপত্রের কোনও অখ্যাত সাংবাদিক এই ঘটনার শিকার হলে সে খবর বোকাবাক্সে বন্দী থাকে তার আর খবর হয়ে ওঠা হয় না।
গতকাল আইনজীবীদের উপর পুলিশের নির্মম লাঠি চালানোয় তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিশেষত কয়েকজন যেভাবে মাথায় আঘাত পেয়েছেন তাতে বিপদ হতে পারত।আপনাদের ওপর সহানুভূতি রেখেই বলি,

আপনাদের কথা অনুযায়ী ,পুরসভা পার্কিং থেকে বেআইনি পয়সা তুলছে।এই বেআইনি কাজের জন্য আইনি পথেও তো যাওয়া যেত।
একজন বা দুজন আইনজীবি যদি পুর কর্মী দের সাথে বচসা বা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তাহলে বাকিরা তাদেরকে নিরস্ত করে থানায় যাওয়া যেত।পারস্পরিক ইট ছোঁড়াছুঁড়ি র কি খুব প্রয়োজন ছিল।
একটা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ঘণ্টার পর ঘণ্টা থমকে গেল,আটকে রইল স্কুল ফেরত বাচ্চারা, অ্যাম্বুল্যান্স। আহত হলেন পথচলতি সাধারন মানুষ।

 ইঁটের আঘাতে মাথা ফেটেছিল এক মহিলা পুরকর্মীর।তাকে হাওড়া হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা হয়। হাওড়া জেলা হাসপাতালের গেট বন্ধ করে রাখতে হয় এই কারণে। হয়ত কোনো মুমূর্ষু রোগীও ওই সময় ঢুকতে না পেরে বিপদে পড়েছিলেন।

পুলিশের লাঠি চালনা যেমন সমর্থনযোগ্য নয় তেমনই আইন নিয়ে পড়াশোনা করা মানুষদের নিজের হাতে আইন তুলে নেবার এই অপরিণত কার্যকলাপ ও সমর্থনযোগ্য নয়।
এতে আইন ব্যবস্থার গরিমা এবং আইনজীবীদের ওপর সাধারণ মানুষের ভরসা কোথাও  আহত হয়।
আইন আইনের পথে চলে ঠিকই কিন্তু দু একজনের ব্যাক্তিগত স্বার্থে আইন কোলে  উঠে পরলেই বিপদ।আমি আইনজীবি মানেই যা খুশি করতে পারি এই ভাবনাটাই তো ভয়ঙ্কর।পুলিশ অন্যায় করেছে,পুর  কর্মীরা দোষ   করেছে  এটা যেমন ঠিক তেমনি এটাও ঠিক - দোষ করেছেন আপনারাও।কিন্তু নিজেদের দোষ টা না দেখে  কর্ম বিরতি পালনের মধ্যে দিয়ে সহানুভূতি আদায়ের এই  পথ কি একটা সিস্টেম কে চাপে রাখার চেষ্টা?
আইনের চোখ না হয়  বাঁধা কিন্তু আপনারাও যদি অন্ধ হয়ে যান----

Wednesday, April 24, 2019

বাড়ি, গাড়ি, জমি কিছুই নেই অভিষেকের

 NHTওয়েব ডেস্ক:-- ডায়ম হারবার কেন্দ্রে ফের প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মনোনয়নপত্র পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো।কমিশনে দেওয়া হলফনামায় অভিষেক জানিয়েছেন, তাঁর নামে কোনও বাড়ি নেই। পিসির বাড়ির ঠিকানা দিয়েছেন তিনি।
হলফনামায় অভিষেক লিখেছেন, ২০১৩-১৪ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩৬ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। তা বেড়ে হয়েছে ৫০ লক্ষ ৩ হাজার ১৩০ টাকা। নগদ অর্থ ৯২,৫০০ টাকা।এছাড়া ১৫ লক্ষ ৪০ হাজার ৭৮১ টাকার পলিসি রয়েছে। CESC সিকিউরিটি ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৩০০ টাকা। অভিষেকের কাছে সোনা হয়েছে ৩০ গ্রাম। ৬৫৮ গ্রাম সোনা রয়েছে স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৫১ লক্ষ ৬১ হাজার ১৫০ টাকা। স্ত্রীর হাতে নগদ অর্থ ৮৭,৩০০ টাকা।

রত্না ঘোষ কর কে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন


 বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এ বার রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষ করকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের তদারকিতে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনেন বিজেপি নেতৃত্ব। তার পরই তাঁকে শোকজ করা হল।

ভিডিও:-ট্যুইটার।

সম্প্রতি নদিয়ার চাকদহে দলের কর্মিসভায় বক্তৃতা করছিলেন রত্না ঘোষ কর। সেখানে তিনি বলেন, যুদ্ধে ন্যায়-অন্যায় বলে কিছু নেই। গণতন্ত্রের কথা মাথায় রাখলে চলবে না। বরং যুদ্ধ জিততে যে পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় করতে হবে।

কাল থেকে হাওড়া কোর্টে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি




N H T ওয়েব ডেস্ক:-  পার্কিংকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হাওড়া পুরসভা ও আদালত চত্বর।  পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে নামাতে হয  ব়্যাফ।  পরিস্থিতি স্বাভাবিকে আনতে করতে হয় লাঠিচার্জ।এখনও থমথমে এলাক। মোতায়েন রয়েছে বিশাল সংখ্যক পুলিশ।


জানা গিয়েছে, আজ সকালে হাওড়া পুরসভার বাইরে গাড়ি পার্কিং করছিলেন এক আইনজীবী। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে বাধা দেন পুরসভার এক কর্মী। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। অভিযোগ, এরপর হঠাৎই আদালতে চড়াও হন পুরসভার বেশ কয়েকজন কর্মী। আদালতের ভিতর ভাঙচুর চালায় তাঁরা। এমনকী আইনজীবীদেরও মারধর করার অভিযোগ ওঠে ওই পুরকর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হন ৫ আইনজীবী। অভিযোগ, এরপরই পালটা পুরকর্মীদের উপর হামলা চালায় আইনজীবীরা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়া পুরসভা ও আদালত চত্বর। শুরু হয় ইটবৃষ্টি।ঘটনায় আহত হয়েছেন দুপক্ষক্ষের বেশ কয়েকজন।আহত একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ কমশনার বিশাল গর্গ কে নিয়ে আদালত চত্বরে পৌঁছে যান মন্ত্রী অরূপ রায়।সাথে বিদায়ী মেয়র রথীন চক্রবর্তী।তাদের দেখে আইনজীবি রা গো ব্যাক স্লোগান তোলেন।


পুরকর্মীদের অভিযোগ, হাওড়া আদালত চত্বরে বেআইনিভাবে গাড়ি পার্কিং করতেন আইনজীবীরা। সে জন্যই তাদের বাধা দেওয়া হয়। এতেই তাদের ওপরে চড়াও হন আইনজীবীরা।
আইনজীবীদের অভিযোগ,পুলিশ আদালত চত্বরে ঢুকে নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে।মহিলা পুলিশ ছাড়াই পুলিশ আদালত চত্বরে ঢুকে মহিলা আইনজীবীদের মাটিতে ফেলে লাঠি চার্জ করে।তাই কাল থেকে তারা অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করবেন।

ছমাসেই বিপত্তি দক্ষিণেশ্বর স্কাই ওয়াকের মেঝেতে


NHT ওয়েব ডেস্ক:- হাঁটতে শিখেছে মাত্র ছমাস। এর ই মধ্যে ছন্দপতন।               
উদ্বোধনের ছমাসের মধ্যে ই দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের মেঝেতে পাতা টালি উঠে বিপত্তি। একটি অংশে প্রায় ২০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে ফুলে উঠেছে স্কাইওয়াকের মেঝে।   ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কাইওয়াকের স্টলমালিকদের মধ্যে।



  স্টলমালিকদের অভিযোগ,  এর আগেও একটি অংশে মেঝে ধসে গিয়েছিল। জল জমতে শুরু করেছিল ওই অংশে। তবে এ দিনের ঘটনা আতঙ্ক তৈরি করেছে ব্যবসায়ীদের মনে।

প্রসঙ্গত, গত বছর  নভেম্বর   মাসে কালী পুজোর আগেই দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  পূণ্যার্থীদের যাতায়াতের সুবিধা করতেই ওই স্কাইওয়াক তৈরি করা হয়। দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে মন্দিরের প্রধান দরজা পর্যন্ত বিস্তৃত ওই স্কাইওয়াক। এটি বানাতে খরচ হয় ৬০ কোটি টাকা।

Tuesday, April 23, 2019

মৃত মেয়ে শঙ্করী হয়ে উঠলেন শ্রী শ্রী শঙ্করী সিদ্ধেশ্বরী কালী।


         
                                                                                         ধ্রুব দত্ত চৌধুরী:-   সালটা প্রায় আনুমানিক ১৬৫০ দশকের প্রথমের দিকে গ্রাম আন্দুলে সম্ভব সাগ্নিক ব্রাহ্মণের অভাব মনে করেছিলেন জমিদার দত্তচৌধুরী পরিবার, যার ফলে হুগলি জেলা অন্তর্ভুক্ত নোয়া পাড়া থেকে দক্ষিণরাঢ়ীয় শ্রেণীর শান্ডিল্য গোত্রীয় বন্দ্যোপাধ্যায় বংশের ভট্টাচার্য পদবিধারি রঘুনাথ তর্কতীর্থ্যের নামের এক ব্রাহ্মণ সন্তানকে সপরিবারে আন্দুলে বসবাস করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয়। দত্তচৌধুরীদের কথা রেখেছিলেন তিনি। সপরিবার নিয়ে চলে আসলে দত্তচৌধুরী পরিবার সরস্বতী নদীর তীরে এঁদের জমি দেয় থাকার জন্য। এই ভাবে গ্রাম আন্দুলে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল ভট্টাচার্যরা, এমনি শোনা যায় পরিবারের সূত্রে।

পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা রঘুনাথ তর্কবাগীশ থেকে কয়েক পুরুষ পর জন্মে ছিলেন সে পরিবারের প্রাণপুরুষ শ্রীভৈরবী চরণ ভট্টাচার্য (বিদ্যাসাগর), যিনি ছিলেন এক তন্ত্রসাধক। তাঁর বাড়ির কাছেই একটি মহাকাল শিবমন্দিরের তলায় ছিল এক গুহা সেখানে একটা পঞ্চমুণ্ডীর আসনে বসে সাধনা করতেন। সেই গুহাটি এখনো বর্তমান।

শ্রীভৈরবীর ছিল ২টি পুত্রসন্তান - জগন্নাথ বাচস্পতি এবং গোপীনাথ ভট্টাচার্য, ও একটি একটি মাত্র কন্যাসন্তান যার ডাকনাম ছিল শঙ্করী, যে মাত্র ১১ বছর বয়েসে একটা অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয় অসময় মারা গেছিল। একবার সাধনা করা কালীন দেবী কালিকার দিব্যদর্শন পেয়েছিলেন সেই গুহাতে। সাধনায় সিদ্ধিলাভ করার সাথে-সাথে বর হিসেবে প্রার্থনা করেছিলেন যে তাঁর বংশে সবাই যেন 'না পড়ে পণ্ডিত' হতে পারে। কিছু দিন পর রোজগার মতন ভোর বেলা সরস্বতী নদীতে স্নান করতে গিয়ে দেখে যে একটা ছোট্ট মেয়ে অল্প বালি দিয়ে নদীর জল রোদ করার চেষ্টা করছে। কৌতুক স্বরূপ সাধক ভৈরবী তাকে বলেছিলেন, "ওরে বেটি, এই বালি দিয়ে কি আর জল আটকানো যায়?" তৎক্ষণাৎ সেই বালিকা উঠে তাঁকে পাল্টা বললো, "তাহলে না পড়ে কেউ কি পণ্ডিত হয় !" সাধক বুঝে ছিলেন যে সেই বালিকা ছিলেন তাঁরই ইষ্টদেবী কালী, একটা ছোট্ট মেয়ে রূপে এসে তাঁকে ব্রহ্মজ্ঞান দিয়ে গেলেন।


শোনাযায় যে একবার একটা স্বপ্নাদেশে তিনি গেছিলেন উত্তরপ্রদেশের কাশীতে। সেখানকার মণিকর্ণিকা ঘাট থেকে একটি কষ্টি পাথর উদ্ধার করেন। উনি ঠিক যেমন নির্দেশ দিয়েছিলেন ঠিক সেই ভাবেই সেই পাথর কাটা হয়েছিল। সেই বিগ্রহ একটি বামাকালী বিগ্রহের রূপ নেয়, কারণ দেবীর বাঁ পদ মহাকালের বক্ষস্থলে। সেই বিগ্রহ নিয়ে আসেন তাঁর আন্দুলের বাড়িতে। একটা মাটির মন্দিরে দক্ষিণাকালির বীজে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইংরেজির ১৭৫০ দশকের শেষের দিকে। তার সেই মৃত মেয়ের নামেই এই দেবীর নামকরণ করলেন শ্রীশ্রীশঙ্করী-সিদ্বেশ্বরী।

জমিদার দত্তচৌধুরী পরিবারের বাইশতম পুরুষ শ্রীরায়বাহাদুর মাধবচন্দ্র চৌধুরী বর্ত্তমান মন্দির এবং নাটমন্দির নির্মাণের জন্য জমি দিয়েছিল। সেখানে ইংরেজির ১৭৭১ খ্রিস্টাব্দে নাটমন্দির সহ মূল মন্দিরটি তৈরী করে পুনরায় সেই বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা হয়।

শ্রীভৈরবীচরনের  ছোটছেলে গোপীনাথ হাওড়া শহরের মল্লিক-ফটক অঞ্চলে চলে যায়, আর বড় জগন্নাথ নিলেন এই মন্দিরের দায়িত্ব। এই দেবী হলেন আন্দুলের শান্ডিল্য গোত্রীয় ভট্টাচার্য্যদের কুলদেবী, সাথে-সাথে গ্রামের অধিষ্ঠাত্রী।
ছবি:-লেখকের সৌজন্যে প্রাপ্ত।
    বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ ৮৯১০৪৬৩১১৭
     FOR ADVERTISING contact.8910463117

রাজ্যে ভোটের প্রথম বলি মুর্শিদাবাদের ‌‌‌টিয়ারুল


 NHT ওয়েব ডেস্ক:- ভোট  দিতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হল এক ভোটারকে।ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বালিগ্রামের ১৮৮নং বুথে। মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভোট ছিল মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে।এই কেন্দ্রের অন্তর্গত বালিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮৮ নং বুথে ভোট দিতে যান এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম টিয়ারুল।এদিন তিনি যখন ভোট দিতে যাচ্ছিলেন তখন তার উপর আক্রমণ করা হয়।অভিযোগ,শাসকদল আশ্রিত দুর্বৃত্তরা এলাকায় গুলি ও বোমা চালায়। পাশাপশি হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করে টিয়ারুলের উপর। গুরুতর আহত টি‌য়ারুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায়  লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।কিন্তু সেখানেই মৃত্যু হয় তার।

Monday, April 22, 2019

লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী ‌‌‌মোদী


NHT ওয়েব ডেস্ক:- গুজরাতে ভোট দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  সেখানেই তিনি গনতন্ত্রের এই উৎসবে ভোটদান কে   মহাকুম্ভের সাহি স্নানের সাথে তুলনা করেন। তিনি  বলেন, কুম্ভমেলায় স্নান করে যেমন একটা আনন্দ আসে, ঠিক তেমনই গণতন্ত্রের এই মহাপর্বে ভোটদান করে একই আনন্দের অনুভূতি প্রাপ্ত করি। আমি সকল নাগরিককে অনুরোধ কবর, গণতন্ত্রের এই উৎসবে প্রবল উৎসাহের সঙ্গে ভোটদান করুন।


শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব

NHT ওয়েব ডেস্ক:- শুরু হয়েছে লোকসভা ভোটের তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ পর্ব। আজ নির্ধারিত হবে অমিত শাহ, মুলায়েম সিংহ যাদব, রাহুল গাঁধীর মত হেভী ওয়েট প্রার্থীর ভাগ্য।
আজ দেশের ১৫টি রাজ্যের বাসিন্দা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোট হচ্ছে মোট ১১৭টি কেন্দ্রে।

এ রাজ্যে আজ ভোট হচ্ছে মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, বালুরঘাট, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। সব মিলিয়ে রয়েছে ৩২৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছে ১২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুই কেন্দ্রের ৯৬ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে বলে খবর। মালদা উত্তর ও দক্ষিণের ৯২ শতাংশ বুথেই মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। বালুরঘাট লোকসভা আসনের ১ হাজার ৫৩০টি বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ৫০২টি। নিরাপত্তায় রয়েছে ৫৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

এ রাজ্যের ৫ আসন ছাড়া এই তৃতীয় দফায় ভোট হচ্ছে গুজরাতের ২৬, কেরলের ২০, গোয়ার ২, দাদরা নগর হাভেলির ১ ও দমন দিউয়ের ১টি কেন্দ্রে। এই সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আজই সবকটি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ। অসমে ভোট হচ্ছে ৪টি আসনে, বিহারে ৫টিতে। ছত্তিশগড়ে ভোট হচ্ছে ৭টি আসনে, কর্নাটকের ১৪টি আসনে। এছাড়া মহারাষ্ট্রের ১৪, ওড়িশার ৬, ত্রিপুরার ১ ও উত্তর প্রদেশের ১০টি আসনে ভোট হচ্ছে।


হাওড়া শ্যামপুরে বাছরী যুব সংঘে মা সাজবেন রেশমী সুতোর সাজে

অর্পণ দাস:  হাওড়া গ্রামীণ অঞ্চলের শ্যামপুর থানার বাছরী গ্রামের "বাছরী যুব সংঘের" সার্বজনীন দুর্গোৎসবের এবছর ৫৩ তম বর্ষ । বিগত...