ডানকুনিতে লজের ভিতর গৃহবধূ খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ সেলিম কে গ্রেফতার করল ডানকুনি থানার পুলিশ। ধৃত শেখ সেলিমের বাড়ি ডানকুনি থানার চাখুন্ডি ঠনঠনিয়া পাড়ায়। বছর দেড়েক আগে থেকে সেলিমের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে পিঙ্কি। গত দেড় বছরে সেলিম ও পিঙ্কি বিভিন্ন লজের রুম বুক করে একসঙ্গে থেকেছে। সম্প্রতি পিঙ্কি একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় সেলিমের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়।
উল্লেখ্য, ত্বকের চিকিৎসককে দেখাবেন বলে গত ৮ মে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন লিলুয়ার ঐ তরুণী গৃহবধূ পিঙ্কি। রাতেই তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় ডানকুনি এলাকার হাউজিং মোড়ের কাছে একটি হোটেলের ঘর থেকে। দেহের পাশ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই তরুণীর দেড় মাসের ছেলেকে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা করে ওই তরুণীকে গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে। ঘর থেকে মেলে একটি মদের বোতল। হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল , ওই তরুণী এক যুবকের সঙ্গে সেখানে এসেছিলেন। সেই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
৮ মে রাতে একনাগাড়ে শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে হোটেলের কর্মীদের সন্দেহ হয়। অনেক ডাকাডাকিতেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায়, ওই তরুণী মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। পাশে মাস দেড়েকের শিশু। শিশুটিকে রাতেই পাঠানো হয় একটি বেসরকারি হোমে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পিঙ্কি বারিক নামে ওই তরুণীর বাড়ি লিলুয়া থানার ভট্টনগর গোলবাড়ির দুর্গামন্দির এলাকায়। তাঁর বছর পাঁচেক বয়সী আরও একটি ছেলে রয়েছে। ওই রাতেই লিলুয়া থানাকে খবর পাঠায় হুগলি পুলিশ। লজ মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ডানকুনি থানার পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে সেলিম ঠান্ডা মাথায় পিঙ্কি ও তার শিশু সন্তানকে নিয়ে ৮ মে দুপুরে ঐ লজে গিয়ে ওঠে। খাওয়া দাওয়ার পর সেলিম পিঙ্কির গলায় শাড়ির ফাঁস লগিয়ে তাকে খুন করে পালিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন


No comments:
Post a Comment