পা রাখলাম আত্মবলিদানের সেই তীর্থ ক্ষেত্রে। গঙ্গাধরের মা বাবা আদর করে দেখালেন ছেলের ছবি, কলেজের কার্ড, ইউনিট থেকে পাঠিয়ে দেয়া ওর জামা কাপড়, ইউনিফর্ম, আর যত্ন করে তুল রাখা জাতীয় পতাকা, যাতে মুড়ে কফিন বন্দী হয়ে ছেলের পার্থিব শরীর গ্রামে ফিরে এসেছিল।
"-ছেলে আমার খেলাধুলাতে এক্সপার্ট ছিল। এখান থেকে সল্ট লেক স্টেডিয়ামে প্র্যাক্টিস করতে যেত শুধু মিলিটারি তে যাবে বলে।
বাবার গলা দিয়ে আক্ষেপ আর গর্ব দুইই ঝরে পরে এক সাথে। মা’র চোখের কোনে চিকচিক করে ওঠে শেষ বিকেলের অস্ত্রাগার,স্নেহের অশ্রুজল।
গঙ্গাধরের ছোট ভাই বরুন এখন ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে।
কেমন আছে শহীদের পরিবার ? আমাদের লজ্জা আজও আমাদের এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইতে হয়।
আর্মির থেকে যা পাওয়ার কথা সব পেয়ে গেছে। যেমন হয়ে থাকে। মা পাচ্ছেন পেনশন। বাবা মা কম্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসার সুজোগ পেলেও যেতে লজ্জা পান।ইউনিট যেখানেই থাক, ৬ নং বিহার রেজিমেন্টের কোনও অনুষ্ঠান হলে আমন্ত্রণ পান। সল্টলেকে নিক্কো পার্কের পাশেই দেখে থাকবেন একটা আর্মি ইউনিট আছে। তারাই ব্যবস্থা করে দেয় যাতায়াত আর সমস্ত কিছুর। আর পেয়েছেন দেশের বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তি আর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফ থেকে সম্বর্ধনা।
গুজরাতের এক বিজনেস হাউস, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ, অমিত শাহ, সিনেমা অভিনেতা সুনীল শেঠি এরকম অনেক নাম। গ্রামের স্কুল আর জগৎবল্লভপুরের কলেজে শহীদ গঙ্গাধরের ছবি দিয়ে লাগানো ব্যানার আর বাড়ির কাছে বসানো হয়েছে গঙ্গার শ্বেত পাথরের মূর্তী। হাতে ইনসাস, মাথায় ‘বেড়ে’ টুপি।
উরি নিয়ে তৈরি হয়েছে আস্ত একটা সিনেমা, উরির ঘটনা পড়ে অভিনেতা অক্ষয় কুমার ফলাও করে টিভি তে ঘোষণা করেছিলেন ব্যক্তি গত ভাবে তিনি শহীদ পরিবারদের হেল্প করবেন। যদিও উরির এই শহীদ পরিবারের কাছে তারপরও অবশ্য কোন ফোন আসেনি।
তবে ওঙ্কারনাথ বাবুর মনে কোনো অভিযোগ নেই, কোনও চাওয়া পাওয়া নেই। তবুও কথার ফাঁকে জানতে পারলাম রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মেলেনি কোন সাহায্যই।
স্থানীয় মন্ত্রী আজ আর ফোনও ধরেন না।
বি:দ্র:- বাড়ির কাছেই পটাশ পুর তরুণ সঙ্ঘ ক্লাব। তাদের ছেলেরা এসে এই পরিবারের কাছে মোটা টাকা দাবী করে গেছে !
ঋণ স্বীকার:-ফেসবুক গ্রুপ 'দেশ' ‘DESH’ । 'দেশ' সারা ভারতবর্ষে সেনা শহীদ পরিবারদের সাথে সম্পর্ক রেখে তাদের পরিবারকে সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট দেয়।






No comments:
Post a Comment