HOWRAH TIMES ডিজিটাল ডেস্ক:-বেআইনি নির্মাণের স্বর্গ রাজ্য হাওড়া শহর। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে এই মুহূর্তে হাওড়া শহরে বাস্তু জমি আর নেই বললেই চলে। কিন্তু তাতে কি! জমি হাঙরদের তাই এখন নজর পড়েছে জলাভূমি এবং পুকুরের উপরে।আইনকে কিভাবে বুড়ো আঙুল দেখাতে হয় তা তো বিলক্ষণ জানেন এই কাজের সাথে যুক্ত অসাধু প্রোমোটার চক্র।তার ওপর এদের মাথায় শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের আশীর্বাদের হাত তো থাকেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গলায় যখন প্রায়ই শোনা যায় জল ধরো জল ভরো শ্লোগান ,তখন ভাইদের (পড়ুন,দিদির ভাইদের) শ্লোগান,পুকুর ধরো পকেট ভরো।
এবার অভিযোগ, মহীয়াড়ী ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলকায় মহীযাড়ী মৌজায় রিজেন্ট হাটের সন্নিকটে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে ট্রাকে করে মাটি এনে একটি বিশাল জলাভূমি ভরাট করা চলছে অত্যন্ত দ্রুততায়।
কলকাতার মেয়র দিনকয়েক আগেই ঘোষণা করেছেন,নতুন করে আর একটি পুকুর ভরাট হলে তিনি মেয়র পদ ছাড়বেন। কিন্তু হাওড়ায় প্রতিদিন যে একটি একটি করে সমস্ত জলাভূমি ভরাট হয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কে?
মাটির জলস্তরের নিরিখে হাওড়ার অবস্থা হয়ত আরও খারাপ। বেআইনি জলের কারবার, শাঁকরাইল এবং জালান কমপ্লেক্স শিল্পতালুকে হিসেব বহির্ভূত ভাবে জলের অপচয়ে এমনিতেই জলস্তর নিম্নগামী তার উপরে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা এই জলাভূমি ভরাট একদিকে যেমন জলের জন্য ভবিষ্যতে হাহাকার ডেকে আনবে তেমন ই বর্ষায় জলের নিকাশি ব্যবস্থা কে নষ্ট করে অদূর ভবিষ্যতে বন্যার আশঙ্কা তৈরি করবে।
ভাবতে অবাক লাগে , রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ কার্যালয় যে শহরে সেই হাওড়া তে একের পর এক বেআইনি নির্মাণ, বেআইনিভাবে পুকুর ভরাট চলছে প্রশাসন ও আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে।
এর প্রতিকার কি!
No comments:
Post a Comment