সত্যনারায়ণ খাঁর হাওড়ার সেই বাড়ি যেখানে
শুটিং এ এসে থাকতেন উওমকুমার
রণতোষ মুখোপাধ্যায়-বেঁচে থাকলে আজ তিনি ৯২প্লাস, পোর্ট ট্রাস্টের সামান্য চাকুরে থেকে মহানায়কের আসন।৩৯ বছর আগে শেষ হয়েও শেষ না হওয়া এক স্বপ্নের নায়কের পথ শেষ না হওয়ার সফর যেন। আপামর বাঙালির ভাবনায়, আকাঙ্খায় চিরকালীন নায়ক তিনি। তিনি সর্বোওম ,
উত্তম কুমার।. মহানায়ককে নিয়ে যা লেখা হয়েছে তাতে অপ্রকাশিত কিছু থাকাটা প্রায় অসম্ভব তাই ঐ রাস্তায় পা না বাড়িয়ে এই হাওড়া জেলায় উওম যোগ নিয়ে সামান্য কিছু লেখনীতে উওম স্মরণ।.
'চন্ডীমাতা ফিল্মস' এর নাম শোনেননি এমন সিনেমাপ্রেমী মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার,'নারায়ণ পিকচার্স 'থেকে 'নন্দন' হয়ে 'চন্ডীমাতা ফিল্মস'যে ব্যানারে বহু জনপ্রিয় বাংলা ছবি নির্মিত হয়েছে। এই' চন্ডীমাতাফিল্মস'এর ব্যানারে একের পর এক সফল ছবি প্রযোজনা করে যিনি সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে ছিলেন তিনি সত্যনারায়ণ খাঁ। হাওড়া জগৎবল্লভপুরের গোহালপোতায় ছিল তাঁর আদিনিবাস আর সেই সূত্র ধরেই মহানায়কের পদধূলি পড়েছিল হাওড়ার অখ্যাত এই গ্রামে।চন্ডীমাতাফিল্মস'এর প্রযোজনায় বিখ্যাত দুই বাংলা ছবি 'সন্ন্যাসী রাজা'ও 'ধন্যি মেয়ে'র শুটিং হয়েছিল এই গোহালপোতায়। সেই সময় অনেকদিন এই গ্রামে কাটিয়েছেন উত্তমকুমার।স্হানীয় অনেক মানুষের মনে এখনও সেই স্মৃতি উজ্জ্বল।
সেই মাঠ যেখানে ধন্যিমেয়ে ছবির বিখ্যাত ফুটবল প্রতিযোগিতা র (হাড়ভাঙা' বনাম সর্বমঙ্গলা') দৃশ্যায়ন হয়েছিল।.
একই কোম্পানীর প্রযোজনায় উওমবাবু আবারও হাওড়ায় আসেন , এবার 'বনপলাশীর পদাবলী' র শুটিংয়ে ।হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বকপোতায় ,দামোদর সংলগ্ন তীরে সেই বিখ্যাত গান-'দেখুক পাড়াপড়শিতে কেমন মাছ গেঁথেছি --'র দৃশ্যায়ন হয়।
৩৮ বছরে বাংলা ছবিতে নায়ক অনেকেই এসেছেন তবে মহানায়ক শব্দটি কোনও নামের গায়েই ফিট করেনি আজও।
আসলে তিনি আজও বাংলা সিনেমার শেষ' গুরু',বাঙালী মননে চিরন্তন হৃদয়নায়ক।




No comments:
Post a Comment