HOWRAH TIMES ডিজিটাল ডেস্ক:-বর্ধমান রেল স্টেশনের নাম বদলে যাবে শীঘ্রই। স্বাধীনতা সংগ্ৰামী বটুকেশ্বর দত্তের নামে হতে চলেছে এই স্টেশন।
কে এই বটুকেশ্বর দত্ত?
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ থানা এলাকার ওঁয়াড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বটুকেশ্বর দত্ত। ওয়ারি গ্রাম এখন পড়ে পূর্ব বধমান জেলায়। সেখানেই জন্ম হয়েছিল তাঁর |
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে উনিশ শতকের শূন্য দশকে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন বটুকেশ্বর দত্ত।
কানপুরে কলেজে পড়ার সময় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন বটুকেশ্বর দত্ত। জড়িয়ে পড়েন স্বাধীনতা আন্দোলনে।
১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল দিল্লিতে কেন্দ্রীয় আইনসভা কক্ষে ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত বোমা ফেলেন, “ইনকিলাব জিন্দাবাদ” স্লোগান দিয়ে দেশমুক্তির দাবিতে লিফলেট ছড়ান ও তারপর দু’জনেই স্বেচ্ছায় ধরা দেন।
জেলে তিনি এবং ভগৎ সিং ভারতীয় রাজনৈতিক জেলবন্দিদের সাথে নোংরা আচরণের বিরুদ্ধে ও রাজবন্দীর অধিকারের দাবীতে এক ঐতিহাসিক অনশনের শুরু করেন এবং কিছু অধিকার আদায়ে সক্ষম হন তাদের জন্য । তবে এই অনশনে শহীদ হন বিপ্লবী যতীন দাস।
লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ ভগৎ সিং, শুকদেব ও রাজগুরুর ফাঁসি হলেও বটুকেশ্বর দত্তের বয়স কম থাকায় তাঁকে ১৯৩০ সালের ৬ জুন ব্রিটিশ সরকার আন্দামানের সেলুলার জেলে পাঠিয়ে দেয়।
১৯৩৮ এ তিনি জেল থেকে মুক্ত হন।
১৯৬৩ সালে তিনি বিহার বিধান পরিষদের সদস্য হন।
বটুকেশ্বর দত্ত বিপ্লবী সদস্যদের নিকট বি কে নামে পরিচিত ছিলেন।
দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যিনি নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছিলেন সেই বিপ্লবীর শেষ জীবন কিন্তু ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক। জেল থেকে মুক্তি পেলেও স্বাধীন ভারতে তার মূল্যায়ন হয়নি, দারিদ্রের সাথে লড়াই করে জীবন কেটেছে। স্বাধীনতার পর বিবাহ করে বিহারের পাটনায় বসবাস করতেন। সরকারি সাহায্য বা সম্মান বিশেষ কিছু পাননি। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে পরিবহণ ব্যবসা করতেন। ২০ জুলাই ১৯৬৫ দিল্লীর একটি হাসপাতালে প্রায় লোকচক্ষুর অন্তরালে তার মৃত্যু হয়।
No comments:
Post a Comment