Thursday, July 11, 2019

বেসরকারি হাসপাতালে আঙুল চুরি! গাফালতির খেসারত সারা জীবন দিতে হবে হাওড়া আন্দুলের তরুন ইঞ্জিনিয়ারকে!


HOWRAH TIMES ডিজিটাল ডেস্ক:-  নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিকে ঘিরে সম্প্রতি গোটা রাজ্য উত্তাল হয়ে গিয়েছিল। রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সিনিয়ররাও সমর্থন করেছিলেন সে আন্দোলনকে। গোটা দেশের চিকিৎসক সমাজ বাংলায় শুরু হওয়া এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছিল। সমর্থন করেছিলেন সাধারণ মানুষও।

চিকিৎসকরা আন্দোলনে নামতে পারেন, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না হলে পরিষেবা দেওয়াও বন্ধ করে দিতে পারেন। কিন্তু কোনও রোগী বা চিকিৎসাপ্রার্থীর ক্ষেত্রে  একজন ডাক্তার বা হাসপাতালের পরিষেবা বা দায়বদ্ধতার মারাত্মক অভাব ঘটলে সেই রোগী বা তার পরিবার কি এবার   আন্দোলনের পথে‌ নামবেন? সেই প্রশ্ন ই  উঠেছে হাওড়া আন্দুলের বাসিন্দা তরুন ইঞ্জিনিয়ার নীলোৎপল চক্রবর্তী'র চিকিৎসা সংক্রান্ত গাফিলতির ঘটনায়।

প্রসঙ্গত,  বুধবার দুপুরে হাওড়ার ফোরশোর রোড দিয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা নীলোৎপল। ৩৫ বছর বয়সী নীলোৎপল পেশায় কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। রং প্রস্তুতকারী একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত আছেন। বাইক চালানো অবস্থায় সম্ভবত পড়ে গিয়ে  ক্লাচের ফাঁকে আটকে থেঁতলে কেটে গিয়েছিল নীলোৎপলের বাম হাতের মধ্যমা। নীলোৎপল নিজেই সেই আঙুল কুড়িয়ে কাগজে মুড়ে নিয়ে চলে যান হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানকার এক প্লাস্টিক সার্জন তাকে পরামর্শ দেন, একবালপুরে ডায়মন্ড হারবার রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যেতে। চিকিৎসক নিজে ওই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত।
হাওড়ার ঐ  হাসপাতাল থেকেই নিয়ম মেনে কাটা আঙুল বরফ দিয়ে মুড়ে দেয়া হয়। সেই কাটা আঙুল নিয়ে বুধবার বিকেল ৪টা নাগাদ কলকাতার ওই হাসপাতালে ভর্তি হন নীলোৎপল।
ভর্তির পর যিনি অস্ত্রোপচার করবেন নীলোৎপলের সেই চিকিৎসক জানান যে, তিনি খুব ক্লান্ত। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যেহেতু কাটা অঙ্গ জুড়তে হয়, তাই তিনি ঠিক করেন বৃহস্পতিবার সকালে অস্ত্রোপচার করবেন।
কিন্তু অস্ত্রোপচারের সময় দেখা গেল কাটা আঙুল আর পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাওয়া যায়নি সেই আঙুল।সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হয়। তার পরেও খোঁজ মেলেনি ওই আঙুলের।

শেষাবধি কাটা আঙুল খুঁজে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে রোগীর পরিবার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পরই বোঝা যাবে, বিষয়টি আসলে কী আর কারইবা দোষ। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আঙুল খুঁজে পেলেও সে  আঙুল জোড়া লাগার আর কোনও সম্ভাবনাই নেই।একজন  তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের এই মারাত্মক ক্ষতিটার মাশুল কে দেবেন? কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চরম  গাফিলতির  এই মারাত্মক  খেসারত সারা জীবন ধরে দিতে হবে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে?
কে দেবেন উওর?

No comments:

Post a Comment

হাওড়া শ্যামপুরে বাছরী যুব সংঘে মা সাজবেন রেশমী সুতোর সাজে

অর্পণ দাস:  হাওড়া গ্রামীণ অঞ্চলের শ্যামপুর থানার বাছরী গ্রামের "বাছরী যুব সংঘের" সার্বজনীন দুর্গোৎসবের এবছর ৫৩ তম বর্ষ । বিগত...