Howrah TIMES ডিজিটাল ডেস্ক:- ক্রিকেট বিশ্বকাপের ডামাডোলে কাটা আঙুল হারিয়ে ফেলে হাসপাতাল।যার জেরে এক তরুন ইঞ্জিনিয়ারের আঙুল জোড়া লাগার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়।অথচ ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে নিজেদের এই গাফিলতির কথা বেমালুম চেপে যাওয়ার চেষ্টা CMRI হাসপাতালের। প্রতিবাদে 'ছুটি' পেয়েও হাসপাতালের বেড আগলে ওয়ার্ডেই বসে আন্দুলের তরুন ইঞ্জিনিয়ার নীলোৎপল। তাঁর সাফ কথা, "হয় আঙুলের কাটা অংশ হাসপাতালকে ফেরৎ দিতে হবে। নচেৎ ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে হারিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করতে হবে।"
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে হাওড়ার ফোর রোড দিয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা নীলোৎপল। ৩৫ বছর বয়সী নীলোৎপল পেশায় কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। রং প্রস্তুতকারী একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত আছেন। বাইক চালানো অবস্থায় সম্ভবত পড়ে গিয়ে ক্লাচের ফাঁকে আটকে থেঁতলে কেটে গিয়েছিল নীলোৎপলের বাম হাতের মধ্যমা। নীলোৎপল নিজেই সেই আঙুল কুড়িয়ে কাগজে মুড়ে নিয়ে চলে যান হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানকার এক প্লাস্টিক সার্জন তাকে পরামর্শ দেন, একবালপুরে ডায়মন্ড হারবার রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যেতে। চিকিৎসক নিজে ওই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত।
হাওড়ার ঐ হাসপাতাল থেকেই নিয়ম মেনে কাটা আঙুল বরফ দিয়ে মুড়ে দেয়া হয়। সেই কাটা আঙুল নিয়ে বুধবার বিকেল ৪টা নাগাদ কলকাতার ওই হাসপাতালে ভর্তি হন নীলোৎপল।
ভর্তির পর যিনি অস্ত্রোপচার করবেন নীলোৎপলের সেই চিকিৎসক জানান যে, তিনি খুব ক্লান্ত। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যেহেতু কাটা অঙ্গ জুড়তে হয়, তাই তিনি ঠিক করেন বৃহস্পতিবার সকালে অস্ত্রোপচার করবেন।
কিন্তু অস্ত্রোপচারের সময় দেখা গেল কাটা আঙুল আর পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাওয়া যায়নি সেই আঙুল।সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হয়। তার পরেও খোঁজ মেলেনি ওই আঙুলের।
নীলোৎপলের পরিবারের অভিযোগ, এত কান্ডের পরেও হাসপাতাল তাদের ৮৪ হাজার টাকার বিল ধরিয়েছে।সে টাকা তারা মিটিয়েও দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ,হাসপা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর উপর ক্রমাগত মানসিক চাপ তৈরি করছে যাতে রোগী বাড়ি চলে যায়।CMRI কতৃপক্ষ ইতমধ্যেই বেশ কয়েকবার রোগীর পরিবারের সাথে বচসায় জড়িয়েছে বলে অভিযোগ। আলিপুর থানার ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রোগীর পরিবার। তাদের দাবি, "হাসপাতালের
অপদার্থতায় একটা ছেলে সারাজীবনের জন্য প্রতিবন্ধী হয়ে গেল, আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব"।

No comments:
Post a Comment