রণতোষ মুখোপাধ্যায়:- উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরির একটি গল্পকে নিয়ে ১৯৬৯ সালে ৮ ই মে “সাদা-কালো” একটি ছবি ভারতে মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটি তৈরি করেন তাঁরই নাতি চলচিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। বাকিটা ইতিহাসের থেকেও বেশি কিছু।৫০ বছর আগে আজকের দিনেই অর্থাৎ ৮ই মে ছবিটি ভারতে মুক্তি লাভ করেছিল।অনান্য ছবির মত এ ছবিতেও চিত্রনাট্য রচনা ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সত্যজিৎ।শুধু তাই নয়, এই ছবির সবকটি গান রচনা ও সুরারোপ তাঁরই করা।
মূলত ছোটদের জন্য নির্মিত হলেও গুপী গাইন বাঘা বাইন সব বয়সের দর্শকদেরই উপভোগ্য। ছোটদের ছবি হিসেবে এটাকে দেখা হলেও, আসলে তো তা নয়। কত রকমের স্তর রয়েছে গল্পের মধ্যে। ছবির মূল আকর্ষণ সত্যজিৎ রচিত গানগুলি, সাড়ে ৬ মিনিটের ভূতের নৃত্যের একটি দৃশ্য ও ভারতীয় স্টাইলে নির্মিত বিশেষ কয়েকটি স্পেশাল এফেক্ট। মুক্তির ছয় মাসের মধ্যে ছবিটি সারা বাংলায় শুধু জনপ্রিয়তাই অর্জন করেনি সিনেমার ইতিহাসে এক মাইলস্টোনে পরিনত হয়েছে।দেশ বিদেশ মিলিয়ে এই ছবির ঝুলিতে রয়েছে অনেক গুলি পুরষ্কারও
• শ্রেষ্ঠ পরিচালনা পুরস্কার, নয়াদিল্লি, ১৯৬৮
• রাষ্ট্রপতি স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক, নয়াদিল্লি, ১৯৭০
• সিলভার ক্রস, অ্যাডেলেইড, ১৯৬৯
• শ্রেষ্ঠ পরিচালক, অকল্যান্ড, ১৯৬৯
• মেধা পুরস্কার, টোকিও, ১৯৭০
• শ্রেষ্ঠ ছবি, মেলবোর্ন, ১৯৭০
বলিউডের বিখ্যাত খলনায়ক এবং পার্শ্ব চরিত্রাভিনেতা পরিচালক টিনু আনন্দ এই ছবিতে সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় সহকারী ছিলেন।
আপামর বাঙালির কাছে ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ একটা ফেনোমেনন। গানে গানে সমাজের অনাচার, অনিয়ম গুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার এমন নজির বিশ্বের বিশ্বসিনেমাতেও খুব একটা নেই।
এই সিনেমার ৫০ বছর উপলক্ষে পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যা য়ের হাত ধরে নতুন ভাবে আসছে গুপী বাঘা। অভিনেতা প্রসেনজিৎ ও নাকি নতুন গুপী বাঘা উপহার দিতে চলেছেন দর্শকদের।
আশার খবর, সত্যজিৎ রায়ের যে সব ছবি আমেরিকার রসায়নাগারে ডিজিটালাইজড করার প্রক্রিয়া চলছিল তার মধ্যে “গুপি গাইন ও বাঘা বাইন” অন্যতম এবং সেটির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ছবির ৫০ বছর পূর্তিতে সেটিই সবথেকে বড় ট্রিবিউট।




No comments:
Post a Comment