News H Timesওয়েব ডেস্ক:- মঙ্গলবার অমিত শাহের রোড শো-কে কেন্দ্র করে ভিতরে ভিতরে যে একটা গন্ডগোলের আবহ তৈরি হতে চলেছে স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের রিপোর্ট অনুযায়ী সেটা খুব ভাল করেই জানতেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। আগে থেকে পুলিশকে সতর্কও করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ।
আগাম সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও কেন পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হল না ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রিপোর্টে ইঙ্গিত ছিল, তৃণমূল সমর্থকেরা বিধান সরণি এবং কলেজ স্ট্রিটে রোড শোয়ের রুটেই অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন এবং এই বিক্ষোভ মূলত র্যালি রুটের উপরে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই হবে।
প্রশ্ন উঠছে,আগাম সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীদের আগেই সরিয়ে নেওয়া হল না কেন? বা বিক্ষোভকারীদেরই বা আগে থেকে ছত্রভঙ্গ করা হল না কেন! শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই যে এই বিক্ষোভ হতে পারে, তা জানা সত্ত্বেও বিদ্যাসাগর কলেজের মতো এত স্পর্শকাতর কলেজে আগে থেকে পুলিশি প্রহরা কেন ছিল না সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
বিজেপি সেল থেকে রিপোর্ট দিয়ে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, এই তৃণমূলের যে কোনও রকম বিক্ষোভের পাল্টা প্রতিরোধের জন্যও প্রস্তুত থাকবে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। হামলা হলে সেই হামলারও প্রত্যুত্তর দেবেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। অর্থাৎ দু’পক্ষই সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েই গতকাল নেমেছিল রাস্তায়। অথচ সব জেনেও শুধুমাত্র রাস্তার কিছু পয়েন্টে সামান্য সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেই দায়িত্ব সেরেছিল পুলিশ প্রশাসন।
প্রথমে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একদফা বিক্ষোভ এবং সংঘর্ষ হয় বিজেপি এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে। ম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের দরজা থেকে শুরু হয় টিএমসিপির বিক্ষোভ। অমিত শাহের গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে পৌঁছলেই এন এইচ টি ভিতর থেকে জলের বোতল, চটি এমনকি কয়েকজন ছাত্রকে ইটও ছুড়তে দেখা যায়। বিজেপি সমর্থকেরা গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকতে চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে ব্যারিকেড করে থাকা পুলিশের বাহিনী সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর পর বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে পৌঁছয় অমিত শাহের গাড়ি। স্পর্শকাতর এই কলেজের সামনে ছিলনা কোনও পুলিশি প্রহরা। কলেজের ভিতরে ২৫ থেকে ৩০ জন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবী, অমিত শাহের রোড শো যখন এই কলেজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল সে সময়ই হঠাৎ কলেজের ভিতর থেকে কাচের বোতল এবং মুহূর্মুহু ইট পড়তে শুরু করে অমিত শাহের গাড়ির সামনে। বিপদ বুঝে গাড়ির ভিতরে ঢুকে যান অমিত শাহ। অমিত শাহের গাড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের হস্টেলের গেট পেরিয়ে চলে যাওয়ার পরই শাহের পিছনের গাড়ি থেকে কয়েকশো বিজেপি সমর্থক ঝাপিয়ে পড়েন এবং রেলিং টপকে দ্রুত কলেজ বিল্ডিংয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েন। ভিতরে ঢুকে ইউনিয়নের ছেলেদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। রেহাই পায়নি গেটের পাশে থাকা বিদ্যাসাগরের মূর্তিও ।ভেঙে চুরমার করা হয় সেটিকে। কলেজের ভিতরেও তুমুল ভাঙচুর চলে।

No comments:
Post a Comment