ব্যান্ডেলে পালিত তামিল "ভেল ভেল" উৎসব
শান্তনু চট্টোপাধ্যায়:-
হুগলির ব্যান্ডেলে আড়ম্বরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘ভেল উৎসব’। ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি মেনে প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তির আগে এই উৎসব পালন করা হয়। হুগলি জেলার ইতিহাসে এই মেলা শতাব্দী প্রাচীন । ব্যান্ডেলের ঐতিহ্যবাহী ওলাইচণ্ডী মায়ের মন্দির প্রাঙ্গনে ভেল উৎসবকে কেন্দ্র করে বিপুল জনসমাগম হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে যেমন গা জনের উৎসব হয় এই উৎসব অনেকটা সেরকমই।
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে পার্বতী তার পুত্র মুুরুগানকে (কার্তিক) একটি ভেল (শূল জাতীয় অস্ত্র) দান করেছিলেন, যার দ্বারা দুষ্ট আত্মা সুরপদ্যমানকে পরাজিত করতে পারে। মুরুগান ও সুরপদ্যমান এর যুদ্ধে মুরুগান সুরপদ্যমানের সমস্ত মন্দ বাহিনীকে চূর্ণ করার জন্য ভেল ব্যবহার করেছিলেন।
ভেল উৎসব মূলত শ্রীলঙ্কায় প্রচলিত তবে এই উৎসব দক্ষিণ ভারতের তামিনাড়ুতেও বিশেষ ভাবে দর্শনীয়। এই উৎসব এক মাদ্রাজি রীতি বিশেষ। মুুরুগানকে উৎসর্গ করা মন্দিরগুলিতে এই উৎসব বিশেষ ভাবে পালিত হতে দেখা যায়।এই উৎসবে শিব মন্দিরের প্রতি মিছিল করার সময় অনেক ভক্ত তাদের ত্বক, জিহ্বা ও গাল চিরে ত্রিশূল পথিত করে ফেলে।দড়ির মাধ্যমে পিঠে বরশি গেঁথে রথ বহন করে, পিঠে বুকে কাঁধে বরশি দিয়ে ঘণ্টা,ঘট,লেবু ও নানান ফলাদি গেঁথে বহন করে।
হুগলির ব্যান্ডেলে ওলাইচণ্ডী মা কে পুজো দিয়ে ছোট একটি রথ নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। এলাকা পরিক্রমা করে সেই রথ। প্রচলিত গাজন উৎসবের মত এখানেও ভক্তরা নিজেদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে যন্ত্রণা দিয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের মাধ্যমে ইষ্ট দেবতাকে তৃপ্ত করার চেষ্টা করেন। কোনও মহিলার ওপর প্রেতাত্মা বা দেবতা ইত্যাদির অধিষ্ঠান, যাকে বলা হয় ‘ভর’ সেটিও এখানে হতে দেখা যায়।
এখানকার ওলাইচণ্ডী মায়ের পুজোয় অপরিহার্য অর্ঘ্য হল ডাব। বিপুলসংখ্যক ডাব এখানে পুজোর জন্য নিবেদন করা হয়। তাই এই মেলাকে অনেকে ‘ডাবের মেলা’ বলেও উল্লেখ করেন।
শান্তনু চট্টোপাধ্যায়:-
হুগলির ব্যান্ডেলে আড়ম্বরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘ভেল উৎসব’। ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি মেনে প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তির আগে এই উৎসব পালন করা হয়। হুগলি জেলার ইতিহাসে এই মেলা শতাব্দী প্রাচীন । ব্যান্ডেলের ঐতিহ্যবাহী ওলাইচণ্ডী মায়ের মন্দির প্রাঙ্গনে ভেল উৎসবকে কেন্দ্র করে বিপুল জনসমাগম হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে যেমন গা জনের উৎসব হয় এই উৎসব অনেকটা সেরকমই।
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে পার্বতী তার পুত্র মুুরুগানকে (কার্তিক) একটি ভেল (শূল জাতীয় অস্ত্র) দান করেছিলেন, যার দ্বারা দুষ্ট আত্মা সুরপদ্যমানকে পরাজিত করতে পারে। মুরুগান ও সুরপদ্যমান এর যুদ্ধে মুরুগান সুরপদ্যমানের সমস্ত মন্দ বাহিনীকে চূর্ণ করার জন্য ভেল ব্যবহার করেছিলেন।
ভেল উৎসব মূলত শ্রীলঙ্কায় প্রচলিত তবে এই উৎসব দক্ষিণ ভারতের তামিনাড়ুতেও বিশেষ ভাবে দর্শনীয়। এই উৎসব এক মাদ্রাজি রীতি বিশেষ। মুুরুগানকে উৎসর্গ করা মন্দিরগুলিতে এই উৎসব বিশেষ ভাবে পালিত হতে দেখা যায়।এই উৎসবে শিব মন্দিরের প্রতি মিছিল করার সময় অনেক ভক্ত তাদের ত্বক, জিহ্বা ও গাল চিরে ত্রিশূল পথিত করে ফেলে।দড়ির মাধ্যমে পিঠে বরশি গেঁথে রথ বহন করে, পিঠে বুকে কাঁধে বরশি দিয়ে ঘণ্টা,ঘট,লেবু ও নানান ফলাদি গেঁথে বহন করে।
হুগলির ব্যান্ডেলে ওলাইচণ্ডী মা কে পুজো দিয়ে ছোট একটি রথ নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। এলাকা পরিক্রমা করে সেই রথ। প্রচলিত গাজন উৎসবের মত এখানেও ভক্তরা নিজেদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে যন্ত্রণা দিয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের মাধ্যমে ইষ্ট দেবতাকে তৃপ্ত করার চেষ্টা করেন। কোনও মহিলার ওপর প্রেতাত্মা বা দেবতা ইত্যাদির অধিষ্ঠান, যাকে বলা হয় ‘ভর’ সেটিও এখানে হতে দেখা যায়।
এখানকার ওলাইচণ্ডী মায়ের পুজোয় অপরিহার্য অর্ঘ্য হল ডাব। বিপুলসংখ্যক ডাব এখানে পুজোর জন্য নিবেদন করা হয়। তাই এই মেলাকে অনেকে ‘ডাবের মেলা’ বলেও উল্লেখ করেন।



No comments:
Post a Comment