HOWRAH TIMES ডিজিটাল ডেস্ক:- অর্ডার করেছিলেন আলুবখরা, প্যাকেট খুলে মিলল আলু! হ্যাঁ, দিনের পর দিন এমন 'প্রতারণা' ই চলছে হাওড়া স্টেশন 'ফুড প্লাজা'য়।হাওড়া স্টেশনে ট্রেনে ওঠার আগে আপনি ঠিক করলেন ফুড প্লাজা থেকে এক প্যাকেট বিরিয়ানি নিয়ে ট্রেনে উঠে খেয়ে শুয়ে পড়বেন। মোটা অঙ্কের দামও মিটিয়ে দিলেন । কিন্তুু ট্রেনে উঠে প্যাকেট খুলে যেটি মুখে দিতে গেলেন সেই অখাদ্য আর যাই হোক বিরিয়ানি নয়। ট্রেন ও তখন ছেড়ে দিয়েছে।অগত্যা গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে জল খেয়ে শুয়ে পড়া ছাড়া সেই রাতে আপনার আর কোনও উপায় নেই। এধরনের অভিজ্ঞতা অনেকেরই। হাওড়া স্টেশনের ফুড প্লাজার খাবার নিয়ে অভিযোগও বিস্তর। যে অনুপাতে খাবারের দাম নেওয়া হয় সেই অনুপাতে খাবারের মান নয় বলে অভিযোগ যাত্রীদের একাংশের। কখনও কাঁচা,কখনও পচা, আবার কখনও বা শো-কেসে যেটা দেখে অর্ডার দেওয়া হচ্ছে প্যাকেটে দেওয়া হচ্ছে সম্পূর্ণ বিপরীত নিকৃষ্ট খাবার।
সম্প্রতি এমনই একটি অভিযোগ এসেছে আমাদের কাছে। জনৈক ধ্রুব জ্যোতি সাত্তার ট্রেনে ওঠার আগে হাওড়া স্টেশনের 'ফুড প্লাজা' থেকে কিনেছিলেন 'চিকেন গ্রিল্ড স্যান্ডউইচ' । ধ্রুব জ্যোতি বাবুর কথায়, কাউন্টারের ডিসপ্লে ফ্রীজারে যে জিনিসটি রাখা ছিল আর যে বস্তুটি, ট্রেনে উঠে প্যাকেট খুলে পেলাম তার সম্পূর্ণ আলাদা জিনিষ ।
প্যাকেটে ছিলো গোটাকয়েক ত্রিকোণ সেঁকা পাউরুটি, উপরে চিপস ছড়ানো । বিল কিন্তু সেই ২৮৬ /টাকার- ।
এর আগেও একবার বিরিয়ানি কিনে প্রতারিত হন তিনি। সেবার বিরিয়ানি নামে প্যাকেটে ছিল 'ভাতভাজা' ।
একই ব্যাপার দুবার ঘটায় বিলে দেওয়া নম্বরে ফোন করেন ধ্রুব বাবু। জনৈক শ্রী আশিষ ত্রিবেদী (ম্যানেজার) তাঁকে সামনাসামনি বসে মীমাংসার প্রস্তাব দেন । ওই ভদ্রলোক বারবার তাঁকে অনুরোধও করেন যাতে এই বিষয়টি নিয়ে ধ্রুববাবু কোথাও অভিযোগ না জানান ।
হাওড়ার মত ব্যস্ত রেল স্টেশনে একটি ভরসাযোগ্য ফুড স্টল থেকে বেশি টাকা খরচ করে একটু ভাল খাবারের আশায় দিনের পর দিন রেল যাত্রীরা যদি এভাবে প্রতারিত হন তবে তার দায় কার! রেল কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট কড়া পদক্ষেপ গ্ৰহণ করতে পারবেন কি?



No comments:
Post a Comment