Monday, July 1, 2019

হাওড়া জেলা তৃণমূল সদর কার্যালয়ে নজিরবিহীন 'কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি', মাঝপথে সভা ছেড়ে চলে গেলেন ফিরাদ হাকিম


রণতোষ মুখোপাধ্যায়:- নজিরবিহীন কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি'র সাক্ষী থাকল হাওড়া জেলা তৃণমূল সদর কার্যালয়। পরিস্থিতি এতটাই উওপ্ত হয়ে ওঠে যে যিনি হাওড়ার এই  সদর কার্যালয়ে কাউন্সিলর দের বৈঠকে ডেকেছিলেন সেই ফিরাদ হাকিম ই ভরা সভা থেকে মাঝপথে সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান।

হাওড়া পুর এলাকায় পুর পরিষেবা নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে গতকাল হাওড়া জেলা তৃণমূল সদর কার্যালয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন ফিরাদ। সেই বৈঠকেই হাওড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের নগ্নচিত্রটা আরও একবার প্রকাশ্যে এল। ফিরাদ ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া সদরের সভাপতি মন্ত্রী অরূপ রায়,লক্ষ্মীরতন শুক্লা, বৈশালী ডালমিয়া সহ বিধায়ক ও পুরসভার কাউন্সিলররা।

লোকসভা ভোটে মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা প্রচার ই করেননি বলে অভিযোগ করেন প্রাক্তন কাউন্সিলর গৌতম চৌধুরী।যা নিয়ে প্রথম থেকেই সভা উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এরপর ই  হাওড়া বালির বিধায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন এক প্রাক্তন কাউন্সিলর।    হাওড়ার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তফজিল আহমেদ সরাসরি অভিযোগ তোলেন, বিধায়ক  বৈশালী কাটমানি খান। তার অভিযোগ, সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার নাম করে নানাভাবে কাটমানি খেয়েছেন ঐ বিধায়ক। এই অভিযোগে ফুঁসে ওঠেন  বৈশালী। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

কি বলছেন বৈশালী?    - "যাঁরা অভিযোগ তুলছেন তাঁরা কি আমার পরিচয়টা জানেন? আমি জগমোহন ডালমিয়ার মেয়ে। আমি এম এল ডালমিয়া অ্যান্ড কোম্পানির কর্ণধার। বিশাল ব্যবসা সামলে দিদির কথায় রাজনীতিতে এসেছি। রাজনীতি করে আমাকে রোজগার করতে হয় না। বিশাল বাংলো ছেড়ে আমার কেন্দ্র বালিতে পড়ে থাকি সাধারণের জন্য কাজ করব বলে। যিনি অভিযোগ করছেন সেই চোর কাউন্সিলর ই সরু গলির মধ্যে ফ্ল্যাট বানিয়েছেন যা ভেঙে পড়ে।     যাঁরা অভিযোগ তুলেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আমি আদালতে যাচ্ছি। প্রমাণ করতে হবে আমি কাটমানি খেয়েছি। না হলে মানহানির মামলা করব ।"




No comments:

Post a Comment

হাওড়া শ্যামপুরে বাছরী যুব সংঘে মা সাজবেন রেশমী সুতোর সাজে

অর্পণ দাস:  হাওড়া গ্রামীণ অঞ্চলের শ্যামপুর থানার বাছরী গ্রামের "বাছরী যুব সংঘের" সার্বজনীন দুর্গোৎসবের এবছর ৫৩ তম বর্ষ । বিগত...