ও নদী রে,
একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে
বল কোথায় তোমার দেশ
তোমার নেইকি চলার শেষ---
News H Timesওয়েব ডেস্ক :- হয়তো শেষ নেই,কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ শেষ করে দেওয়ার খেলায় নেমেছেন। রাজনৈতিক মদতে সেই খেলা এখন সর্বগ্ৰাসী। হাওড়া জুড়ে একদিকে যখন পুকুর বা জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি নির্মাণের রমরমা কারবার চলছে অন্যদিকে তখন সরস্বতী নদীর পাড় বরাবর গড়ে উঠছে একের পর এক বেআইনি নির্মাণ। অথচ ১৯৭৮ এর ভয়াবহ বন্যায় আন্দুল, মৌড়ি, ডোমজুড় সহ বিস্তীর্ন অঞ্চলকে ভয়ংকর ক্ষতির থেকে রক্ষা করেছিল এই সরস্বতী নদী।আর আজ সেই নদীকে সংকীর্ণ করে সেই জমি লুঠ করছে রাজনৈতিক মদতপুষ্ট একদল লুম্পেন প্রমোটার।
অনেকেই জানেন না, রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার ৩২.১০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছিলেন সরস্বতী নদীর সংস্কার খাতে। কোথায় সেই কাজ, খরচের হিসেব কে দেবে?
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে (মামলা নং: ৬০৮৮/০৬) পরিষ্কার বলা আছে ,সরস্বতী নদীর পাড়ে বে-আইনি নির্মান বিলি বা বিক্রয়, বা নতুন নির্মান সম্পূর্ণ অবৈধ। কিন্তু বাস্তব চিত্র কি বলছে? বাস্তব এটাই আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হাওড়ার বহু জায়গায় সরস্বতী নদীকে সংকীর্ণ করে সেই জমি লুঠ করে স্থায়ী কংক্রিটের একাধিক নির্মাণ গড়ে উঠছে ।
সরস্বতীকে শেষ করে দেবার এই চক্রান্তের শিকড় প্রবেশ করেছে অনেক গভীরে। অভিযোগ,সরস্বতী নদীর মাপজোখ সম্বলিত কাগজপত্র ও নাকি বেপাওা!কেন?তার পাড় বরাবর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নির্মাণে যাতে হাত না পড়ে? আন্দুল বাজার সংলগ্ন জনবহুল এলাকায় এইভাবে সরস্বতী নদীর পথ আটকে এই নির্মাণ গড়ে উঠলেও কেন চুপ 'হাওড়া সরস্বতী নদী বাঁচাও কমিটি'। পূর্বতন 'সরস্বতী নদী বাঁচাও কমিটি 'মহালয়ার দিনে শাঁখ বাজানোর কর্মসূচী নিয়েছিল ,তাতে অবশ্য রক্ষা হয়নি সরস্বতীর আর এখনকার কমিটির তৎপরতা কতটা তার প্রমাণ এই ছবি।
সরস্বতী নদী বাঁচানোর আদৌ কোনও কর্মসূচী আছে নাকি তলে তলে সবটাই পকেট ভরানোর ফিকির!
প্রশ্ন অনেক কিন্তু উওর আজ পথ হারিয়েছে সরস্বতী নদীর মতই।

No comments:
Post a Comment