Monday, June 17, 2019

শ্রী জগন্নাথদেবের স্নান যাত্রা কেন হয়? শ্রীক্ষেত্র পুরীতে কি হয় এদিন?


News H Times ওয়েব ডেস্ক:- স্কন্ধ পুরাণ অনুসারে রাজা ইন্দ্রদুম্ন যখন জগন্নাথদেবের কাঠের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করলেন তখন থেকে এই স্নান যাত্রার উৎসব শুরু। স্নান যাত্রার দিনটিকে জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব তিথি বা জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়।   শ্রীক্ষেত্র  পুরীতে স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে স্নান করানো হয়। এই দৃশ্য চাক্ষুস করতে এদিন পুরীতে ভিড় করেছেন বহু মানুষ।
জগন্নাথের ভক্তদের বিশ্বাস, স্নানযাত্রার দিন যদি জগন্নাথদেবকে দর্শন করা যায় তাহলে সকল পাপ থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব। এই জন্য অসংখ্য ভক্ত স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে পুরীর মন্দির দর্শনে যান। স্নান যাত্রার আগের দিন পুরীতে  জগন্নাথ, বলরাম,সুভদ্রা দেবী এবং সুদর্শন দেবকে বেদী থেকে বিশেষ ভাবে তৈরি করা স্নান বেদীতে নিয়ে আসা হয়। পুরীর মন্দির প্রাঙ্গনে বিশেষ ভাবে তৈরি করা এই মণ্ডপকে বলা হয় স্নান মণ্ডপ। এটা এত উঁচু যে মন্দির প্রাঙ্গনের বাইরে থেকেও বেদিতে উপবিষ্ট বিগ্রহ সমূহঅবলোকন করা যায়।অনুষ্ঠানের দিন স্নান মণ্ডপকে ঐতিহ্যবাহী ফুল, বাগান ও গাছের চিত্রকল্প দ্বারা সজ্জিত করা হয়। তোরণএবং পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়। জগন্নাথ,বলরাম ও সুভদ্রা দেবীর বিগ্রহ ফুল দিয়ে সাজানো হয়। এর পর বিগ্রহের উদ্দশ্যে ধুপ, ধুনা অর্পণ করা হয়।পুরীতে স্নানের জন্য সোনার তৈরি এক ধরনের কুয়া থেকে জল আনা হয়। জল আনার সময় পুরোহিতরা তাদের মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখেন যাতে জল তাদের মুখনিঃসৃত কোন কিছু দ্বারা এমনকি তাদের নিঃশ্বাস দ্বারা দূষিত না হয়।স্নান মহোৎসবের পূর্বে জগন্নাথ,বলরাম এবং সুভদ্রা দেবীকে সিল্কের কাপড় দ্বারা আবৃত করা হয় এবং তারপর লাল এক ধরনের পাউডার দিয়ে প্রলেপ দেওয়া হয়। ১০৮ টি স্বর্ণ পাত্র জল দ্বারা পূর্ণ থাকে।এই জল দ্বারা অভিষেক করা হয়। অভিষেকের সময় বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ,কীর্তন এবং শঙ্খ বাজানো হয়।


প্রতিবছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন নাকি মাথার যন্ত্রণায় কাহিল হয়ে পড়েন জগন্নাথদেব, তখন তাঁর মাথায় লাগানো হয় চন্দনের প্রলেপ।
সেই প্রলেপ তুলতেই রথযাত্রার ১৫দিন আগে স্নান করানো হয় তাঁকে।
লোকবিশ্বাস আরও বলে, স্নান করার পর নাকি জ্বর আসে প্রভু জগন্নাথের. তাই পরের পনেরোদিন কাউকে মূর্তি দর্শন করতে দেওয়া হয়না।


No comments:

Post a Comment

হাওড়া শ্যামপুরে বাছরী যুব সংঘে মা সাজবেন রেশমী সুতোর সাজে

অর্পণ দাস:  হাওড়া গ্রামীণ অঞ্চলের শ্যামপুর থানার বাছরী গ্রামের "বাছরী যুব সংঘের" সার্বজনীন দুর্গোৎসবের এবছর ৫৩ তম বর্ষ । বিগত...