পরিবহর মাথায় হাত বুলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন - "ভাই, তুমি আমার ডাক্তার। আমি তোমাকে আমার আর আমার রাজ্যের সম্পদ ছাড়া অন্যকিছু ভাবি না। মানুষ তোমাদের ভরসা করে। আমি করি। তোমার ওপরে এই আক্রমণ মানে প্রকারান্তরে আমারই খুলি ফেটে যাওয়া। রেয়াত করব না কাউকে। তোমরা প্রত্যেকে জানবে আমি কি কি ব্যবস্থা নিচ্ছি। যদি তোমার বা তোমাদের মনে হয় এই কর্মবিরতি সুফলদায়ী, আমার কিছু বলার নেই।তোমাদে আন্দোলন চলুক। কিন্তু ভাই, প্রতিদিন যে লক্ষ লক্ষ মুমূর্ষু ফিরে যাচ্ছে, ওদেরও তো বাঁচানোর কেউ নেই তোমরা ছাড়া।"
তারপর মুখ্যমন্ত্রী গেলেন এন আর এসে। সেখানে গিয়ে বললেন - "এরপরে আমি নিরাপদে থাকি না থাকি, তোমাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা থাকবেই। কাজ করো ভাই, বিনা চিকিৎসায় একজনকেও মরতে দিও না। বাকিটা আমার ওপর ছাড়ো।"
রাজ্যের সব মেডিকেল কলেজের গেট খুলে গেল। মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই ডিউটেতে যোগ দিতে চাইলেন ডাঃ পরিবহ মুখোপাধ্যায় ....... এভাবেও করা যেত নাকি!
হল কই! আমরা ছেলেবেলায় ঘুঁড়ি ওড়াতে গিয়ে মাঞ্জা সুতোয় যেভাবে জট ছাড়াতে আরও জট পাকিয়ে ফেলতাম সেটাই হল।যেটা হৃদয় দিয়ে হত সেটা হুমকি দিয়ে করতে গিয়ে বেসামাল অবস্থায় ছবিটা আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গেল।
যতটুকু পড়লেন,পুরোটা গল্প, তবে গল্প হলেও সত্যি হতে পারত এরকম কিছু হলে। আসলে লড়াই টা ডাক্তার বনাম রোগীর নয়...
লড়াই টা নিরাপত্তা হীনতা ও ভগ্ন স্বাস্থ্য পরিসেবার কাঠামোর সাথে। সেই লড়াই এখন পরিবর্তিত মুখ্যমন্ত্রী বনাম ডাক্তারদের প্রেস্টিজ ফাইটে। যার মাশুল দিতে হচ্ছে নিরাপরাধ কিছু রোগী ও তাদের পরিজনদের।
সমাধান সূত্র খুঁজতেই হবে দুপক্ষ কে।

No comments:
Post a Comment