News H Timesওয়েব ডেস্ক:- বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল আইন অনুযায়ী চারতলা একটি বাড়ির অনুমোদন দিতে গেলে দেখতে হবে সেখানে সামনে কমপক্ষে ১৫ ফুটের রাস্তা থাকতে হবে। বহুতলের ক্ষেত্রেও আইন স্পষ্ট।অথচ বাম আমল থেকেই আইন ভাঙার যে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি দেখা যেত এখন তা একেবারে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের,বক্স অফিসে হিট।আর তাই বাম আমলের ১০ ফুট কমতে কমতে আজ দু থেকে আড়াই ফুট গলির মধ্যেও পাঁচতলা বিল্ডিং মাথা তুলেছে। কোনও রকম দূর্ঘটনা ঘটলে দমকলের ইঞ্জিন যেমন ঢুকতে পারবেনা তেমনই আশে পাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।
হাওড়া পুরসভায় ছ'জনের প্রশাসকমন্ডলী গঠনের পরই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।কি সেই কঠোর পদক্ষেপ?
বেআইনি নির্মাণ ভাঙার জন্য নোটিশ জারি করা।
বেশকিছু সংস্থাকে এই সংক্রান্ত নোটিশ পাঠানোর পরই তারা আদালতের দ্বারস্থ হওয়াতে পুরসভার 'কঠোর সিদ্ধান্ত' আপাতত বিশ বাঁও জলে। পুরসভার প্যানেলভুক্ত আইনজীবীরা সেই মামলা লড়বেন , মামলার নিষ্পত্তি হবে তবে না নির্মাণ ভাঙার প্রশ্ন!প্রায় ৩০টি নির্মাণ সংস্থাকে নোটিশ দিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যে সমস্ত বিল্ডিং প্ল্যান গত কয়েকবছরে অনুমোদন পেয়েছে, সেখানেও বেআইনি কিছু হচ্ছে কিনা তার দেখার জন্য প্রতিটি বরো অফিসের অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এই নিয়ে নিয়মিত পরিদর্শন করে কমিশনারের কাছে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
হাওড়া পুরসভার কমিশনার তথা প্রশাসক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য বিজিন কৃষ্ণার বক্তব্য, বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে আমরা কোনওরকম আপস করবো না
আর প্রশ্ন এখানেই, হাওড়ার অলি গলি র একটা বাচ্চাও জানে হাওড়ায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ঠিকমতো তদন্ত করলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে।
৯ বিনোদ বিহারী হালদার লেন
সরু গলির ভিতরেও মাথা
তুলেছে বহুতল।
সম্প্রতি, উত্তর হাওড়ার মদন বিশ্বাস লেনে একটি নির্মীয়মান বহুতলের একতলার অংশ হঠাৎ মাটিতে বসে যায়।ঘটনা পর পুরসভা জানতে পারে সেটি বেআইনি। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এলাকার কচি নেতাদের সিন্ডিকেট ব্যবসা র রমরমার পাশাপাশি এই ধরনের অসংখ্য বেআইনি নির্মাণে পকেট ভরছে হাওড়া পুরসভার এক শ্রেণীর অসাধু কর্মী থেকে কাউন্সিলরদের।সরু ঘুপচি জায়গায় গা ঘেঁষে একের পর এক বেআইনি নির্মাণ মাথা তুলছে হাওড়া শহরের সর্বত্র।
মাসখানেক আগে এই সালকিয়ারই ত্রিপুরা রায় লেনেই এলাকার একজন নবান্নের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাগিয়ে দেবার চেষ্টা হলেও অভিযোগ উঠেছিল প্রোমোটারের নিপীড়নের চাপ সামলাতে না পেরেই তিনি এই কান্ড ঘটিয়েছিলেন।আরও অভিযোগ, শাসকদলের এক নেতার যোগ থাকায় সেই ঘটনার সঠিক তদন্ত না হয়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়। সালকিয়ার ঐ বেআইনি নির্মাণ ভাঙা শুরু হলেও এই ঘটনাতেও প্রোমোটার ও রাজনৈতিক যোগসাজশের অসাধু আঁতাত আর একবার স্পষ্ট হল বলে মত হাওড়াবাসীর।

No comments:
Post a Comment