Saturday, May 18, 2019

পুরী, যাওয়া না যাওয়ার দোলাচলে বাঙালি


News H Times ওয়েব ডেস্ক:- স্কুলে স্কুলে চলছে গরমের ছুটি।এই মে জুলাই মাসে হাজার হাজার পরিবার আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখেন জগন্নাথ দর্শনের,  সাথে  সমুদ্র স্নান তো আছেই।
তবে এবার ফনী পরবর্তী পুরী ভ্রমন নিয়ে ধন্দে বাঙালি।যাদের ট্রেনের টিকিট কাটা,হয়ত দু একদিনে মধ্যে  রওনা দেওয়ার কথা তারাও যাব না যাবনার দোলাচলে।একটা মাধ্যম থেকে প্রচার চলছে পুরী এখন স্বাভাবিক, বিদ্যুৎ এসে গেছে,জলের সমস্যা মিটেছে অনেক টা, ট্রেন চলাচল ও স্বাভাবিক।হোটেলগুলো ও তৈরি পর্যটকদের স্বাগত জানাতে।

কিন্তু বাস্তব ছবি কি বলছে


জগন্নাথ দেবের মন্দির ও মন্দির সংলগ্ন রাস্তাটুকু ছাড়া গোটা শহর আজ ও বিদ্যুৎ বিহীন।কাজ চলছে তবে আগামী পনেরো কুড়ি দিনেও কারেন্ট আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
আর জল? না জল নেই।আপনি তাহলে বলবেন ওখানকার মানুষ কি জল  পান না করে বেঁচে আছে।আপনাকে মনে রাখতে আপনি কিন্তু পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাবেন,জলের লাইন এ দাঁড়াতে নয়।টাকা থাকলেই যদি ভেবে থাকেন মিনারেল ওয়াটারের বোতল কিনে নেবেন সে গুড়ে বালি। কয়েকটি হোটেল হয়ত জেনারেটর সাপোর্ট দিচ্ছে কিন্তু ৪০ডিগ্ৰির বেশি উষ্ণতায়  তাপপ্রবাহের পুরীতে ঐ সাপোর্টে পরিবার নিয়ে থাকাটা কি একটু বেশি  হঠকারিতা হয়ে যাবে না! কমবেশি সব হোটেলে কাচের জানালা ভেঙে জল ঢুকেছিল ঘরে। ভিজিয়ে দিয়েছিল বালিশ বিছানা। তাই হোটেলের বারান্দায় যেখানে পর্যটকদের জামাকাপড় শুকোয় সেখানে এখন হোটেলের ই তোশক শুকোতে দেওয়া।


পুরী হোটেলের সামনে রাস্তা থিক থিক করছে বালি।রাস্তা এবং সিবীচ মিশে গেছে একসাথে। এখন স্বর্গদার কে দেখলে মনে হতে পারে কোনও পরিত্যক্ত মরুভূমি। যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ইলেকট্রিক্যাল তার ও নানা ধ্বংসাবশেষ। সমুদ্রের আশেপাশের সব দোকানগুলো   প্লাস্টিক দিয়ে মোড়া পড়ে আছে দিনের পর দিন।




মোবাইল আছে চার্জ নেই,যানবাহন আছে কিন্তু টায়ারে হাওয়া নেই কারন কারেন্টের অভাবে টায়ার পাম্পের মেশিন ও অচল।
প্রথমে ঝড়ের তান্ডব আর এখন তেতে পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ বিহীন  একটা আস্ত শহর মশার কামড় খেয়ে  রাত জাগছে প্রতিদিন। এই পরিস্থিতিতে যখন তারা নিজেরাই লড়াই করছে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার তখন আপনাদের ভালো পরিষেবা কিভাবে দিতে পারবে তারা সেটা যুক্তি দিয়ে বুঝতে হবে আপনাদেরকেই।  পানীয় জলের সমস্যা,ভাল মানের খাবার পাওয়ার সমস্যা মাথায় নিয়ে পরিবারের সাথে বেড়ানোর জন্য পুরী এই মুহূর্তে সেফ জোন নয়।


পুরী বাঙালির অন্যতম প্রিয় সমুদ্র সৈকত,একটা আবেগের ও জায়গা।কিন্তু বাস্তব আবেগের থেকে বেশী শক্তিশালী। ফনির তাণ্ডব রেহাই দেয়নি পুরীর মন্দিরকেও। মন্দিরের পূর্বদিকের সিংহ দূয়ার পাহারা দেয় যে জয় - বিজয় সেই জয় আজ ও ভাঙা হাত নিয়ে পড়ে আছে মাটিতে।


পুরী লড়াই করছে আগের অবস্থায় ফিরতে।রথের আগে ফিরতেই হবে তাদের। কারণ ওই সময় তাদের ভালো রকম  আয় হয় ।আর এবার সেটা খুব ই জরুরী।তবে এইমুহুর্তে পুরী খুব ই অসহায়।সব যুক্তিকে ঠেলে  সরিয়ে আপনি এবার কতটা যাবেন সে সিদ্ধান্ত কিন্তু আপনার একান্ত ব্যক্তিগত।

No comments:

Post a Comment

হাওড়া শ্যামপুরে বাছরী যুব সংঘে মা সাজবেন রেশমী সুতোর সাজে

অর্পণ দাস:  হাওড়া গ্রামীণ অঞ্চলের শ্যামপুর থানার বাছরী গ্রামের "বাছরী যুব সংঘের" সার্বজনীন দুর্গোৎসবের এবছর ৫৩ তম বর্ষ । বিগত...