News H Times ওয়েব ডেস্ক:- "বেঁচে ফিরে আসতে পারব ভাবতে পারিনি। সহযাত্রী রুদ্রপ্রসাদের শেরপা পূর্বা নিজের অক্সিজেন দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেলাম। পাহাড় চূড়ার একেবারে শেষ ধাপে ৩০ঘণ্টা জল না খেয়ে থাকার জন্য ডি- হাইড্রেশন হয়ে গিয়েছিল"-
কাঞ্চনজঙ্ঘা জয় করে কলকাতায় ফিরে এমন ই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন রমেশ রায়।
প্রসঙ্গত, কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গ জয়ের পর ফেরার পথে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দুই পর্বতারোহী রুদ্রপ্রসাদ হালদার এবং রমেশ রায়।তুষার ঝড়ের কবলে পড়েছিলেন তারা।পরে শেরপাদের দল তাদের উদ্ধার করে ক্যাম্প- ২'তে নামিয়ে আনে।সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে নামিয়ে এনে কাঠমান্ডু র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রমেশের হাতের ছয়-সাতটি আঙুলে এবং রুদ্রর হাতের তিনটি ও পায়ের দুটি আঙুলে তুষারক্ষত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে রমেশ ও রুদ্রর সহযাত্রী আরও দুই পর্বতারোহী কুন্তল কাঁড়ার এবং বিপ্লব বৈদ্যর দেহ রবিবার কাঠমান্ডু হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও এখনও ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি।৮০০০ মিটারের বেশি উচ্চতায় দীর্ঘ সময় ধরে থাকায় তাদের দেহ এতটাই শক্ত হয়ে গেছে যে দেহ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসার পরই ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হবে। সেক্ষেত্রে তাদের দেহ কলকাতায় আসতে শুক্রবার হয়ে যেতে পারে বলে অনুমান।




No comments:
Post a Comment