অভিযোগ, সমুদ্রের খুব কাছে নিউ দিঘার একটি হোটেল ভাড়া নেন ঐ তরুণীরা৷ তাঁদের অভিযোগ, এসি ঘর বুক করা সত্ত্বেও তা ঠিকমতো কাজ করছিলনা। হোটেলের বাথরুমে ঠিকমতো জল পাচ্ছিলেন না চার তরুণী৷ বাধ্য হয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন তাঁরা৷ তবে তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷ এ সব সমস্যা যদিও বা তারা মানিয়ে নিয়েছিলেন কিন্তু সন্ধ্যে থেকেই তারা এক অন্যরকম সমস্যার মুখোমুখি হতে শুরু করলেন। সন্ধ্যার পর থেকেই কখনো দেশলাই কখনো অন্যকিছু চাইবার অছিলায় তাদের ঘরে দরজায় টোকা দিতে থাকে একের পর অচেনা লোকজন। তরুণীদের আরও অভিযোগ, মধ্যরাতে আচমকাই কেউ তাঁদের ঘরের দরজা ধাক্কা দিতে থাকে৷ কে জানতে চাইলে কোনও উত্তর পাননি তারা৷ ওই পর্যটকদের কথায়, ‘‘এত জোরে দরজায় ধাক্কা দেওয়া হচ্ছিল, যেন মনে হচ্ছিল ভেঙে যাবে৷ কিন্তু দরজা খোলার সাহস পায়নি৷ সারারাত জেগে বসেছিলাম চারজন৷’’
ভোর হতে না হতেই হোটেল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন তাঁরা৷ গতরাতের ঘটনা জানান চার তরুণী৷ সিসিটিভি ফুটেজও দেখতে চান তাঁরা৷ তবে সেকথা শুনে নাকি রেগে যান হোটেল ম্যানেজার৷ পালটা চার তরুণীকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ৷ পর্যটকদের আরও অভিযোগ, কথা কাটাকাটি চলাকালীন এক তরুণীকে লাথিও মারা হয়৷ বচসার সময় ফোনে রেকর্ড করা শুরু করলে, তা ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং হোটেল থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বাধ্য হয়ে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হন তরুণীরা৷ তবে সেখানেও সুবিচার পাননি তারা। তরুণীদের দাবি, ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে শান্ত মাথায় তাঁদের ই বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ থানার এক পুলিশ আধিকারিক তাঁদের জানান, রাজ্যে আইনজীবীদের কর্মবিরতির জেরে বিচারকের সামনে বয়ান রেকর্ডে সময় লাগবে। অভিযোগ জানালে ততদিন দীঘাতেই থাকতে হবে ওই যুবতীদের।
হোটেল মালিক আশিস প্রধান যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ কেন তুচ্ছ একটি ঘটনাকে নিয়ে ওই মহিলারা বাড়াবাড়ি করছেন তা বুঝতে পারছেন না বলেই দাবি ঐ হোটেল মালিকের৷
দীঘা-শংকরপুর হোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সচিব বিপ্রদাস চক্রবর্তী অবশ্য জানিয়েছেন, 'ওই হোটেলের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ এসেছে। এখানকার পর্যটনের জন্য এটা খুবই খারাপ বিষয়। হোটেলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
তড়িঘড়ি সফর কাটছাঁট করে শহরে ফিরে এসেছেন ঐ চার যুবতী। কলকাতা ও হাওড়া পুলিশের পদস্থ আধিকারিকের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসেও অভিযোগ জমা করেছেন তারা।


No comments:
Post a Comment