রণতোষ মুখোপাধ্যায়-
হাওড়া জেলায় বিখ্যাত হাজার হাতের কালীর কথা। হাওড়ার শিবপুরের ওলাবিবিতলায় হাজার হাতের কালীর মন্দির শতবর্ষ প্রাচীন।
মন্দিরের ইতিহাসের সূত্রপাত ১৮৮০ সালে। কথিত আছে, শিবপুরের ওলাবিবিতলায় মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির ছেলে তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মা চণ্ডীর স্বপ্নাদেশে কালীর ওই রূপ দেখতে পান । চন্ডীপুরাণ অনুযায়ী, অসুর বধের সময়ে দেবী দুর্গা অনেকগুলি রূপ ধারণ করেছিলেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল তাঁর হাজার হাতের অবতার।
আশুতোষ মুখোপাধ্য়ায় স্বপ্নাদেশ তো পেলেন, কিন্তু সেসময় তাঁর মন্দির নির্মাণ করে হাজার হাত কালী রূপে মা চণ্ডীকে প্রতিষ্ঠা করার মত সামর্থ্য ছিল না। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণেই সেসময়ে মন্দির নির্মাণে এগিয়ে আসে স্থানীয় হালদার পরিবার।। রণতোষ।এলাকার বাসিন্দারাও মন্দির নির্মাণে উঠে পড়ে লাগেন। এভাবেই বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন প্রতিষ্ঠিত হয় হাজার হাত কালী মন্দির। এই কালী মন্দির হলেও এখানে বলির প্রথা কোনওদিনই ছিল না।
বছরে দুদিন, অর্থাত্ বুদ্ধ পূর্ণিমায় প্রতিষ্ঠা দিবস ও কালীপুজোর দিন এই মন্দিরের জাঁকজমক থাকে সেই আগের মতই। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পরিবারই বংশানুক্রমে এই মন্দিরের সেবায়েতের কাজ করে। তবে কথিত আছে, মায়ের হাজার হাত নাকি গোনা যায় না। লোকশ্রুতি, একবার এক ব্যক্তি দেবীর এই হাজার হাত গুনতে শুরু করেছিলেন ।হাওড়া টাইমস।কিন্তু গননা শেষের আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। তার পর থেকেই এই কাজ করার সাহস আর কেউ করেননি।
স্থানীয়দের মতে, এই মন্দির খুবই জাগ্রত। ভক্তিভরে কিছু চাইলে মা কালী কাউকে ফিরিয়ে দেন না।দক্ষিন ভারতেও এই কালীমূর্তির মহিমা অপার।কুমারটুলির প্রিয়নাথ পাল বিগ্রহের রূপদান করেন।দেবী নীলবর্ণা,তাঁর জিভ বাইরে বের করা নয়,তাঁর বাহন সিংহ।এখানে দেবী মূর্তি তৈরি হয়েছে চুন-সুরকি দিয়ে।প্রথমে ৯৯৮টি হাত দেওয়ালে আঁকা ছিল,পরে সেগুলি মাটি দিয়ে তৈরি করেন প্রিয়নাথ পাল ।রণতোষ। কিন্তু সেগুলিও পরে ফেটে ভেঙে যাওয়ায় একইভাবে সেগুলিকেও চুন-সুরকি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে,নিয়ম রক্ষায় মেশানো হয়েছে মাটি-খড় ও তুষ।মায়ের অস্ত্র ও মুকুট তৈরি হয়েছে ১১-১২ কেজি রুপোয়।দেবীর মাথায় যে ছাতাটি রয়েছে সেটিও রুপোর।
শ্রাবণমাসের শুক্লপক্ষের শেষ শুক্রবারে এই দেবীর পুজো করেন কলকাতার দক্ষিণ ভারতীয়রা।বালিগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে তারা ভোগ রান্না করে আনেন।কালীপুজোর রাতে এখানে হয় মূল পুজো।দেবীকে পরানো হয় বেনারসী শাড়ি।আশুরোষবাবুর পোষা হনুমানের মৃত্যুর পর তার সমাধির উপরে গড়ে ওঠে মহাবীর মন্দির।
FOR ADVERTISING
FOR ADVERTISING
হাওড়া জেলায় বিখ্যাত হাজার হাতের কালীর কথা। হাওড়ার শিবপুরের ওলাবিবিতলায় হাজার হাতের কালীর মন্দির শতবর্ষ প্রাচীন।
মন্দিরের ইতিহাসের সূত্রপাত ১৮৮০ সালে। কথিত আছে, শিবপুরের ওলাবিবিতলায় মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির ছেলে তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মা চণ্ডীর স্বপ্নাদেশে কালীর ওই রূপ দেখতে পান । চন্ডীপুরাণ অনুযায়ী, অসুর বধের সময়ে দেবী দুর্গা অনেকগুলি রূপ ধারণ করেছিলেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল তাঁর হাজার হাতের অবতার।
আশুতোষ মুখোপাধ্য়ায় স্বপ্নাদেশ তো পেলেন, কিন্তু সেসময় তাঁর মন্দির নির্মাণ করে হাজার হাত কালী রূপে মা চণ্ডীকে প্রতিষ্ঠা করার মত সামর্থ্য ছিল না। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণেই সেসময়ে মন্দির নির্মাণে এগিয়ে আসে স্থানীয় হালদার পরিবার।। রণতোষ।এলাকার বাসিন্দারাও মন্দির নির্মাণে উঠে পড়ে লাগেন। এভাবেই বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন প্রতিষ্ঠিত হয় হাজার হাত কালী মন্দির। এই কালী মন্দির হলেও এখানে বলির প্রথা কোনওদিনই ছিল না।
বছরে দুদিন, অর্থাত্ বুদ্ধ পূর্ণিমায় প্রতিষ্ঠা দিবস ও কালীপুজোর দিন এই মন্দিরের জাঁকজমক থাকে সেই আগের মতই। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পরিবারই বংশানুক্রমে এই মন্দিরের সেবায়েতের কাজ করে। তবে কথিত আছে, মায়ের হাজার হাত নাকি গোনা যায় না। লোকশ্রুতি, একবার এক ব্যক্তি দেবীর এই হাজার হাত গুনতে শুরু করেছিলেন ।হাওড়া টাইমস।কিন্তু গননা শেষের আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। তার পর থেকেই এই কাজ করার সাহস আর কেউ করেননি।
স্থানীয়দের মতে, এই মন্দির খুবই জাগ্রত। ভক্তিভরে কিছু চাইলে মা কালী কাউকে ফিরিয়ে দেন না।দক্ষিন ভারতেও এই কালীমূর্তির মহিমা অপার।কুমারটুলির প্রিয়নাথ পাল বিগ্রহের রূপদান করেন।দেবী নীলবর্ণা,তাঁর জিভ বাইরে বের করা নয়,তাঁর বাহন সিংহ।এখানে দেবী মূর্তি তৈরি হয়েছে চুন-সুরকি দিয়ে।প্রথমে ৯৯৮টি হাত দেওয়ালে আঁকা ছিল,পরে সেগুলি মাটি দিয়ে তৈরি করেন প্রিয়নাথ পাল ।রণতোষ। কিন্তু সেগুলিও পরে ফেটে ভেঙে যাওয়ায় একইভাবে সেগুলিকেও চুন-সুরকি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে,নিয়ম রক্ষায় মেশানো হয়েছে মাটি-খড় ও তুষ।মায়ের অস্ত্র ও মুকুট তৈরি হয়েছে ১১-১২ কেজি রুপোয়।দেবীর মাথায় যে ছাতাটি রয়েছে সেটিও রুপোর।
শ্রাবণমাসের শুক্লপক্ষের শেষ শুক্রবারে এই দেবীর পুজো করেন কলকাতার দক্ষিণ ভারতীয়রা।বালিগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে তারা ভোগ রান্না করে আনেন।কালীপুজোর রাতে এখানে হয় মূল পুজো।দেবীকে পরানো হয় বেনারসী শাড়ি।আশুরোষবাবুর পোষা হনুমানের মৃত্যুর পর তার সমাধির উপরে গড়ে ওঠে মহাবীর মন্দির।
CONTACT 8910463117
FOR ADVERTISING
CONTACT 8910463117
FOR ADVERTISING
CONTACT 8910463117







No comments:
Post a Comment