মাননীয়া,
রাজনীতিতে আপনি পোড় খাওয়া ব্যাক্তিত্ব,তাই রাজনীতি নিয়ে আপনাকে আমার জ্ঞান দেওয়া কিছুটা দুঃসাহসের নামান্তর।তবু সংবাদিকতার কাজে মাঠে ময়দানে ঘুরে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মনের কথা কিছুটা পড়তে পারি, যেটা ইদানিংকালে আপনার আর পড়া হয়ে ওঠে না।
মাননীয়া,আপনি যেদিন ঘোষণা করলেন ৪২ এ ৪২ সেদিনই গণতন্ত্র সঙ্কটে পরে গেল।৪২ এ ৪২ মানে তো বিরোধী শূন্য ,সেটা তো গনতন্ত্রের পক্ষে মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়!আর আপনার এই অন্যায় চাহিদা মেটাতে গ্রামের কেষ্ট বিষ্টুরা মানুষকে ভয় দেখাতে শুরু করল।আর ভয় এমন একটা জিনিষ যা বেশি দেখালে উধাও হয়ে যায়। হলোও তাই।পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ভয় আর সন্ত্রাসের জুজু দেখিয়েছিল আপনার নেতারা এবার সেটাই বুমেরাং হয়ে গেল।মানুষ ভয় সরিয়ে যখন ভোট দিতে পারল তখন সব ভোট বিরুদ্ধে গেল।
মাননীয়া,মানছি বাম ভোটের একটা বড় অংশ রামে গেছে ,কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখবেন তৃণমূলের ও একটা বড় অংশের ভোট রামে গেছে।তারা বেশিটাই পুরনো কর্মী যারা প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত হয় নিজের দলের ই ভুঁই ফোঁড় নব্য নেতাদের কাছে।যারা প্রথমদিন থেকে দল করছে তাদের থেকেও কাটমানি খায় আপনারই দলের কিছু খুচরো নেতা!আপনার উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌঁছানোর আগে নেতাদের পকেটে পৌঁছে যায়।সে অসন্তোষের খবর কি আপনার কাছে ছিলনা!
মাননীয়া,এই প্রথম আপনাকে দেখে ভোট হলনা। আপনাকে দেখে নয় প্রার্থীকে দেখে ভোট দিল মানুষ।যেমন বাঁকুড়ায়।মুনমুন সেনের ভুল সুব্রত মুখোপাধযায়কে দিয়েও শোধরাতে পারলেননা আপনি।বিজেপি হাওয়া তো ছিলই আপনি জয় শ্রী রাম শুনে গাড়ি থেকে নেমে পড়ায় ওদের পালে আরও হাওয়া লাগল।আপনি যত বাঁধতে গেলেন তত ছড়িয়ে গেল।মুসলিম সম্প্রদায় কোথাও বলেনি রোজার কারণে তাদের ভোট দিতে অসুবিধা হবে,কিন্তু আপনি যতবার তাদের অসুবিধার কথা মঞ্চে উঠে বলেছেন বিজেপির মেরুকরণের রাজনৈতিক হাত তত শক্ত হয়েছে।
মাননীয়া,আপনার দলে চামচা বেশি,দলের সমালোচক নেই।আপনি পছন্দ করেননা হয়ত তাই সাহস থাকলে ও সাধ্যে কুলোয় না অনেকের।এবারের ফলাফল স্পষ্ট এবার আত্মসমালোচনার সময় এসে গেছে।আবেগ দিয়ে রাজনীতি করার দিন শেষ।
মাননীয়া ,আপনি মাঠের রাজনীতি দিয়ে রাজ্যপাটে এসেছেন। কিন্তু যত দিন এগিয়েছে আপনার দলে ষ্ট্রাগল না করেও দিব্য আছেন ঠাটে বাটে থাকা নেতাদের সংখ্যা বেড়েছে। আপনার ভাইপো অভিষেক ও তার ব্যতিক্রম নয়।একজন সাধারণ এমপি এতগুলো গাড়ির কনভয় নিয়ে কেন যায় মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে। দুদিন রাজনীতি করেই অর্জুন সিং কে ২লক্ষ ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ নেওয়া মুখে যায় কাজে করতে গেলে মাঠে ময়দানে নেমে রাজনীতিটা করতে হয়।হোক না আপনার ভাইপো, সব ক্ষেত্রেই তৃণমূলকে আত্মসমালোচক হতেই হবে। দলের পুরনো কর্মীরা সম্মান পাননি, সি পি এম থেকে আগত নেতা বা দু আনা চার আনা নেতারা এখন এলাকার মানুষের থেকে বেশি আত্ম উন্নতিতে নিয়োজিত । যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য পদ দিতেই হবে এবার। দু দিনকার হঠাৎ তৃণমূলী, সুবিধাবাদী তৃণমূলী, থেকে দল ছোঁয়াচ বাঁচাক। দলের সাংগঠনিক দৃঢ়তা আরো বৃদ্ধির প্রয়োজন। বিশেষত,নিচু স্তরের দূর্নীতি র খবর পৌঁছোচ্ছে না শীর্ষ স্তরে। নিয়ন্ত্রিত হোক গোষ্ঠী দ্বন্দ ও ইগোর লড়াই। পুরসভার ভোট হতে পারেনি এই কারণে।মানুষ আর ঘাসে মুখ দিয়ে চলেনা। আমরা মমতা ব্যানার্জীর সৈনিক--- মুখে এই ডায়লগ দিয়ে অধিকাংশ নেতারা বৈভবের মধ্যে ডুবে, অহংবোধের নেশায় চূর।
মাননীয়া,আপনি বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙলে দ্রুত পৌঁছোন ঘটনাস্থলে,
টেট উত্তীর্ণ দের অনশন মঞ্চে পৌঁছাতে দেরি করেন।আপনি মঞ্চে উঠে শুধু কি করেছেন বলে যান গড়গড় করে,কি করতে হবে বা কি হয়নি তা শুনতে চাননা। অথচ মানুষের অভাব অভিযোগ মন দিয়ে শুনতেন বলেই না মানুষ আপনাকে এত অাপন করে নিয়েছিল!নেতাদের সাথে প্রশাসনিক বৈঠক না করে এবার মানুষের সাথে বৈঠক করুন সরাসরি।মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য মাসে একটা ফেসবুক লাইভ হোকনা।
মাননীয়া,স্মার্ট ফোন আসার পর মানুষ কিন্তু অনেক চালাক হয়ে গেছে।তাই চালাকির রাজনীতি খুব বেশিদিন চলবেনা আর।২ টাকা কিলো চাল বা সাইকেল দিয়ে আপনি যদি ভাবেন মানুষ আপনাকে ভুলে যাবেননা তবে খুব ভুল করবেন।যে সন্তান কে মা বাবা সবকিছু দিয়ে বড় করে তোলে সেও কিন্তু তাদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়!
মাননীয়া,যে গ্রাম একদিন আপনাকে ভালোবাসতো সেই পরিচিত বহু গ্রাম আজ আপনার উপরে ক্ষুব্ধ।আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।শিক্ষিত বেকারদের একটা বড় অংশ আপনার উপরে ক্ষুব্ধ।পশ্চিমবঙ্গের বহু গ্রাম আজ ও অনুন্নত অথচ তাদের কথা শোনার কেউ নেই।জেলা পরিষদ,পুরসভা এখনও ঘুঘুর বাসা।আপনি যেখানে প্রতিদিন বসেন সেই হাওড়া শহর যতুগৃহ,বেআইনি নির্মাণের স্বর্গ রাজ্য।
মাননীয়া,আপনার চারপাশে এখন অনেক বুদ্ধিজীবী,সংবাদিক,শিল্পী ঘোরাফেরা করে, হাততালি দেয়।সাবাশ সাবাশ বলে চেঁচিয়ে ওঠে। কোনও প্রয়োজন নেই ওদের থাকার।একজন থাকলেই হবে,এমন একজন যে হাততালি না দিয়ে অন্তত সাহস করে বলবে,দিদি,জয় শ্রী রাম শুনে ওভাবে গাড়ি থেকে নামাটা আপনার ঠিক হয়নি।
ছোট মুখে বড় কথা বলে ফেললাম,ক্ষমা করবেন।
বিনীত
সম্পাদক।
রাজনীতিতে আপনি পোড় খাওয়া ব্যাক্তিত্ব,তাই রাজনীতি নিয়ে আপনাকে আমার জ্ঞান দেওয়া কিছুটা দুঃসাহসের নামান্তর।তবু সংবাদিকতার কাজে মাঠে ময়দানে ঘুরে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মনের কথা কিছুটা পড়তে পারি, যেটা ইদানিংকালে আপনার আর পড়া হয়ে ওঠে না।
মাননীয়া,আপনি যেদিন ঘোষণা করলেন ৪২ এ ৪২ সেদিনই গণতন্ত্র সঙ্কটে পরে গেল।৪২ এ ৪২ মানে তো বিরোধী শূন্য ,সেটা তো গনতন্ত্রের পক্ষে মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়!আর আপনার এই অন্যায় চাহিদা মেটাতে গ্রামের কেষ্ট বিষ্টুরা মানুষকে ভয় দেখাতে শুরু করল।আর ভয় এমন একটা জিনিষ যা বেশি দেখালে উধাও হয়ে যায়। হলোও তাই।পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ভয় আর সন্ত্রাসের জুজু দেখিয়েছিল আপনার নেতারা এবার সেটাই বুমেরাং হয়ে গেল।মানুষ ভয় সরিয়ে যখন ভোট দিতে পারল তখন সব ভোট বিরুদ্ধে গেল।
মাননীয়া,মানছি বাম ভোটের একটা বড় অংশ রামে গেছে ,কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখবেন তৃণমূলের ও একটা বড় অংশের ভোট রামে গেছে।তারা বেশিটাই পুরনো কর্মী যারা প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত হয় নিজের দলের ই ভুঁই ফোঁড় নব্য নেতাদের কাছে।যারা প্রথমদিন থেকে দল করছে তাদের থেকেও কাটমানি খায় আপনারই দলের কিছু খুচরো নেতা!আপনার উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌঁছানোর আগে নেতাদের পকেটে পৌঁছে যায়।সে অসন্তোষের খবর কি আপনার কাছে ছিলনা!
মাননীয়া,এই প্রথম আপনাকে দেখে ভোট হলনা। আপনাকে দেখে নয় প্রার্থীকে দেখে ভোট দিল মানুষ।যেমন বাঁকুড়ায়।মুনমুন সেনের ভুল সুব্রত মুখোপাধযায়কে দিয়েও শোধরাতে পারলেননা আপনি।বিজেপি হাওয়া তো ছিলই আপনি জয় শ্রী রাম শুনে গাড়ি থেকে নেমে পড়ায় ওদের পালে আরও হাওয়া লাগল।আপনি যত বাঁধতে গেলেন তত ছড়িয়ে গেল।মুসলিম সম্প্রদায় কোথাও বলেনি রোজার কারণে তাদের ভোট দিতে অসুবিধা হবে,কিন্তু আপনি যতবার তাদের অসুবিধার কথা মঞ্চে উঠে বলেছেন বিজেপির মেরুকরণের রাজনৈতিক হাত তত শক্ত হয়েছে।
মাননীয়া,আপনার দলে চামচা বেশি,দলের সমালোচক নেই।আপনি পছন্দ করেননা হয়ত তাই সাহস থাকলে ও সাধ্যে কুলোয় না অনেকের।এবারের ফলাফল স্পষ্ট এবার আত্মসমালোচনার সময় এসে গেছে।আবেগ দিয়ে রাজনীতি করার দিন শেষ।
মাননীয়া ,আপনি মাঠের রাজনীতি দিয়ে রাজ্যপাটে এসেছেন। কিন্তু যত দিন এগিয়েছে আপনার দলে ষ্ট্রাগল না করেও দিব্য আছেন ঠাটে বাটে থাকা নেতাদের সংখ্যা বেড়েছে। আপনার ভাইপো অভিষেক ও তার ব্যতিক্রম নয়।একজন সাধারণ এমপি এতগুলো গাড়ির কনভয় নিয়ে কেন যায় মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে। দুদিন রাজনীতি করেই অর্জুন সিং কে ২লক্ষ ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ নেওয়া মুখে যায় কাজে করতে গেলে মাঠে ময়দানে নেমে রাজনীতিটা করতে হয়।হোক না আপনার ভাইপো, সব ক্ষেত্রেই তৃণমূলকে আত্মসমালোচক হতেই হবে। দলের পুরনো কর্মীরা সম্মান পাননি, সি পি এম থেকে আগত নেতা বা দু আনা চার আনা নেতারা এখন এলাকার মানুষের থেকে বেশি আত্ম উন্নতিতে নিয়োজিত । যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য পদ দিতেই হবে এবার। দু দিনকার হঠাৎ তৃণমূলী, সুবিধাবাদী তৃণমূলী, থেকে দল ছোঁয়াচ বাঁচাক। দলের সাংগঠনিক দৃঢ়তা আরো বৃদ্ধির প্রয়োজন। বিশেষত,নিচু স্তরের দূর্নীতি র খবর পৌঁছোচ্ছে না শীর্ষ স্তরে। নিয়ন্ত্রিত হোক গোষ্ঠী দ্বন্দ ও ইগোর লড়াই। পুরসভার ভোট হতে পারেনি এই কারণে।মানুষ আর ঘাসে মুখ দিয়ে চলেনা। আমরা মমতা ব্যানার্জীর সৈনিক--- মুখে এই ডায়লগ দিয়ে অধিকাংশ নেতারা বৈভবের মধ্যে ডুবে, অহংবোধের নেশায় চূর।
মাননীয়া,আপনি বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙলে দ্রুত পৌঁছোন ঘটনাস্থলে,
টেট উত্তীর্ণ দের অনশন মঞ্চে পৌঁছাতে দেরি করেন।আপনি মঞ্চে উঠে শুধু কি করেছেন বলে যান গড়গড় করে,কি করতে হবে বা কি হয়নি তা শুনতে চাননা। অথচ মানুষের অভাব অভিযোগ মন দিয়ে শুনতেন বলেই না মানুষ আপনাকে এত অাপন করে নিয়েছিল!নেতাদের সাথে প্রশাসনিক বৈঠক না করে এবার মানুষের সাথে বৈঠক করুন সরাসরি।মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য মাসে একটা ফেসবুক লাইভ হোকনা।
মাননীয়া,স্মার্ট ফোন আসার পর মানুষ কিন্তু অনেক চালাক হয়ে গেছে।তাই চালাকির রাজনীতি খুব বেশিদিন চলবেনা আর।২ টাকা কিলো চাল বা সাইকেল দিয়ে আপনি যদি ভাবেন মানুষ আপনাকে ভুলে যাবেননা তবে খুব ভুল করবেন।যে সন্তান কে মা বাবা সবকিছু দিয়ে বড় করে তোলে সেও কিন্তু তাদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়!
মাননীয়া,যে গ্রাম একদিন আপনাকে ভালোবাসতো সেই পরিচিত বহু গ্রাম আজ আপনার উপরে ক্ষুব্ধ।আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।শিক্ষিত বেকারদের একটা বড় অংশ আপনার উপরে ক্ষুব্ধ।পশ্চিমবঙ্গের বহু গ্রাম আজ ও অনুন্নত অথচ তাদের কথা শোনার কেউ নেই।জেলা পরিষদ,পুরসভা এখনও ঘুঘুর বাসা।আপনি যেখানে প্রতিদিন বসেন সেই হাওড়া শহর যতুগৃহ,বেআইনি নির্মাণের স্বর্গ রাজ্য।
মাননীয়া,আপনার চারপাশে এখন অনেক বুদ্ধিজীবী,সংবাদিক,শিল্পী ঘোরাফেরা করে, হাততালি দেয়।সাবাশ সাবাশ বলে চেঁচিয়ে ওঠে। কোনও প্রয়োজন নেই ওদের থাকার।একজন থাকলেই হবে,এমন একজন যে হাততালি না দিয়ে অন্তত সাহস করে বলবে,দিদি,জয় শ্রী রাম শুনে ওভাবে গাড়ি থেকে নামাটা আপনার ঠিক হয়নি।
ছোট মুখে বড় কথা বলে ফেললাম,ক্ষমা করবেন।
বিনীত
সম্পাদক।

No comments:
Post a Comment